মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা ও ক্বিয়াস শরীফ উনাদের বিস্তারিত সর্বজনমান্য, গ্রহণযোগ্য, নির্ভরযোগ্য ও অকাট্য সম্মানিত দলীল-আদিল্লাহ মুবারক উনাদের মাধ্যমে অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবে প্রমাণিত হলো যে, খলীফায়ে আশির, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি অতিশীঘ্রই বাংলার পবিত্র ভূমিতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ। অতঃপর সেই সম্মানিত আযীমুশ শান সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত, এশিয়া; এমনকি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে ছড়িয়ে পড়বে। তিনি হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম উনার ন্যায় সারা পৃথিবীতো অবশ্যই; এমনকি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরিপূর্ণ হাক্বীক্বী ক্বায়িম-মাক্বাম হয়ে সীমাহীন প্রতাপ ও ব্যাপকতার সাথে সারা পৃথিবীব্যাপী, সারা কায়িনাতব্যাপী সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক পরিচালনা করবেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়; উনার প্রতিষ্ঠিত সেই মহাসম্মানিত খিলাফত মুবারকই উনার সুমহান আওলাদ, ১১তম খলীফা, খলীফাতুল উমাম, আল মানছূর সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার পরবর্তী মুবারক বংশধর আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যম দিয়ে ১২তম খলীফা হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার পর্যন্ত যেয়ে পৌঁছবে। সুবহানাল্লাহ! আর তিনিও হবেন সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার মুবারক বংশধর আলাইহিমুস সালাম উনাদের অর্ন্তভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা ও ক্বিয়াস শরীফ উনাদের এত অধিক সুস্পষ্ট, চির অকাট্য, নির্ভরযোগ্য ও সর্বজনমান্য সম্মানিত দলীল-আদিল্লাহভিত্তিক প্রমাণের পরও যেসকল লোক আলিম-উলামা, সূফী-দরবেশ, মাওলানা, মুফতী, মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, ফক্বীহ নামধারণ করে এই ব্যাপারে চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করে, তা মূলত অজ্ঞতার কারণেই। তাদের জন্য এরূপ করাটাই স্বাভাবিক। কারণ, তাদের গুরু মুনাফিক্বরাও এরূপই করতো।

এ প্রসঙ্গে খন্দকের সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার ইতিহাস বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। ওই সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পরিখা খননকালে ইরশাদ মুবারক করেছিলেন, আমি রোম ও পারস্যের প্রাসাদগুলো দেখতে পাচ্ছি এবং এই রাজ্যগুলো আমাদের জয় হবে। কাজেই, আপনারা সুসংবাদ গ্রহণ করুন, খুশি প্রকাশ করুন। এতে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা অত্যন্ত খুশি প্রকাশ করেন এবং বলে উঠেন, ‘আলহামদুল্লিাহ’- এটা সত্য প্রতিশ্রুতি মুবারক। তখন মুনাফিক্বরা বলছিলো, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কা--কারখানা কি তোমাদের মনে বিস্ময়ের সঞ্চার করেছে? এই সব মিথ্যা প্রলোভন ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। উনার কা- দেখো, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে অবস্থান করে তিনি বলছেন যে, তিনি হীরা রাজ্যের রাজ-প্রাসাদ ও পারস্য সাম্রাজ্যের শহরগুলো দেখছেন। শুধু কি তাই? ওই রাজ্যগুলো তোমরা জয় করবে। এগুলো মিথ্যা প্রলোভন ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। নিজেদের দুরবস্থা তো সম্যক উপলব্ধি করতে পারছো। তোমরা ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে এখন আত্মরক্ষার জন্যে খন্দক খুঁড়ছো। বাইরে বের হয়ে মুকাবিলার সাহস পাচ্ছো না। শত্রুর ভয়ে এদিক-ওদিক বিচরণ করতে পারো না। ” না‘ঊযুবিল্লাহ!

তারা ঠাট্টাচ্ছলে আরো বলছিলো যে, “আমরা জান বাঁচানোর জন্যে পরিখা খনন করছি আর উনি আমাদেরকে পারস্য ও রোমান সাম্রাজ্য বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ” না‘ঊযুবিল্লাহ!

সত্যের বিজয় ও কাফির-মুশরিকদের নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মুনাফিক্বদের এই অদ্ভুত বিশ্বাস, সংকীর্ণ দৃষ্টি ও জিহালতীর প্রতিবাদ স্বরূপ মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করলেন,

قُلِ اللّٰهُمَّ مٰلِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِى الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِـمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْـخَيْرُ اِنَّكَ عَلـٰى كُـلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ

অর্থ: “আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন- আয় বারে এলাহী, মহা আল্লাহ পাক! আপনি সারা পৃথিবী, সারা কায়িনাতের একক মালিক। আপনি যাকে ইচ্ছা, তাকে রাজ্য বা পৃথিবীর কর্তৃত্ব মুবারক দান করেন এবং যার নিকট থেকে ইচ্ছা, রাজ্য ছিনিয়ে নেন। আর যাকে ইচ্ছা, শক্তিশালী করেন এবং যাকে ইচ্ছা, পদানত করেন। আপনার হাত মুবারকেই সমস্ত কল্যাণ, খায়ের-বরকত, রহমত মুবারক। নিশ্চয়ই আপনি সর্ববিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আল ‘ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬)

সুতরাং, কাফির, মুশরিক, ওলামায়ে সূ’ ও মুনাফিক্ব এবং তাদের অনুসারীরা যেটাই চিন্তা করুক না কেন, বলে বেড়াক না কেনÑ সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি কাফির-মুশরিক, মুনাফিক্ব এবং ওলামায়ে সূ’দেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে অতিশীঘ্রই বাংলাদেশ তো অবশ্যই; এমনকি সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেনই করবেন ইনশাআল্লাহ।

তাই, আমরা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট প্রার্থনা করবো, তিনি যেন আমাদের সবাইকে খলীফায়ে আশির, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনাকে চেনার, উনাকে মহাসম্মানিত খলীফা হিসেবে মেনে নেয়ার, উনার সম্মানিত হাত মুবারক-এ সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার বাইআত গ্রহণ করার, উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করার, উনার মুবারক আদেশ-নিষেধ মুতাবিক চলার, উনার হাক্বীক্বী গোলামী করার এবং হাক্বীক্বী রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।