সাইয়্যিদুনা খলীফাতুল উমাম হযরত আল মানছূর আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন বেমেছাল শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার মালিক:
, ০৯ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০১ হাদি ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০১ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রি:, ১৮ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
عَنْ حَضْرَتْ اِمَامِ الْاَوَّلِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ شَجَرَةُ النُّبُوَّةِ وَمَعْدِنُ الرِّسَالَـةِ لَيْسَ اَحَدٌ مِّـنَ الْـخَلَائِقِ يَفْضُلُ اَهْلَ بَيْـتِـىْ غَيْرِىْ
অর্থ: “ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমরা সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার সম্মানিত বৃক্ষ মুবারক এবং সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার সম্মানিত খনি মুবারক। সুবহানাল্লাহ! সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে একমাত্র আমি ব্যতীত দ্বিতীয় আর কেউ নেই, যে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে। অর্থাৎ সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে আমার পরেই আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক, ফযীলত মুবারক।” সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ لَّا يُقَاسُ بِنَا اَحَدٌ
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমাদের সাথে অন্য কারো ক্বিয়াস বা তুলনা করা যাবে না।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (দায়লামী ৪/২৮৩, জামি‘উল আহাদীছ ২২/২১৯, কানযুল উম্মাল ১২/১০৪, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/২৪৯৫০, যাখায়েরুল ‘উক্ববাহ ফী মানাক্বিবে যাওইল কুরবা লিমুহিব্বে ত্ববারী ১/১৭, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/৭)
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খ¦মিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন,
اِنَّا نَـحْنُ اَهْلُ الْبَيْتِ لَا يُقَاسُ بِنَا اَحَدٌ مَنْ قَاسَ بِنَا اَحَدًا فَقَدْ كَفَرَ
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমাদের সাথে অন্য কারো ক্বিয়াস বা তুলনা করা যাবে না। সুবহানাল্লাহ! যে ব্যক্তি আমাদের সাথে অন্য কাউকে তুলনা করবে, সে কুফরী করবে।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
একমাত্র খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টির জন্য ফরযে আইন হচ্ছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি ঈমান আনা, উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া। সুবহানাল্লাহ
সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক হচ্ছেন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন, সাইয়্যিদুনা খলীফাতুল উমাম হযরত আল মানছূর আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি হচ্ছেন বেমেছাল শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার মালিক। সুবহানাল্লাহ!
এই সম্পর্কে দুখানা ওয়াক্বেয়াহ মুবারক রয়েছেন, যেগুলো উল্লেখ করলে বিষয়টি বুঝা আরো সহজ হবে। আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “যেমন একটা ঘটনা। এটা আসলে তোমাদের আক্বীদা শুদ্ধ রাখবে। বেশ কিছু দিন আগের কথা। আমি হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে নিয়ে এক স্থানে তাশরীফ মুবারক নিয়েছি। একটি বড় বিল্ডিং। অনেক বড় বিল্ডিং! সেখানে তাশরীফ মুবারক নিয়েছি। ওখানে তাশরীফ মুবারক নিয়ে দেখি, সেখানে চার মাযহাবের চারজন ইমাম উনারা আছেন। চারজন চারটা বিছানায় শুয়ে আছেন। প্রথম ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি, দ্বিতীয় হযরত শাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। এরপর উনারা বাকীরা। সবাই তো মনে হয় মৃতপ্রায়। ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিষয়টা একটা বাচ্চা শিশুর মতো। প্রথম উনি। আমি হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে নিয়ে বাচ্চা শিশুর কাপড়-চোপড় যেভাবে পাল্টায় ঠিক ঠাক করে, তেমন সব ঠিক ঠাক করে দিলে উনি যুবক খুব সুন্দর হয়ে গেলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
দ্বিতীয় ইমাম শাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি শোয়া আছেন। উনি সেলোয়ার কামিজ পরে শোয়া। গায়ে কোনো চাদর পরা নেই। উনি অনেক শুকনা মনে হলো। স্যালাইনের রুগি যেমন শুকনা থাকে উনাদের বাকীরাও ওরকম অনেকটা। এরপর উনাদেরকেও করা হলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) মোটামটি একটা অবস্থায় দেওয়া হলো। এর মধ্যে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। মূল ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি সবচেয়ে শক্তিশালী যুবক হলেন। আর উনারা মোটামটি একটা অবস্থায় আসলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) দেখা গেলো উনাদের কোনো খাদিম-খুদ্দাম কেউ নেই। আর শারীরিক দিক থেকে শরীর অনেক শুকনা ও দূর্বল। স্যালাইনের রুগি না বললেও কাছাকাছি। পরে মোটামোটি একটা অবস্থায় পৌঁছেছেন। এরকম অনেক ঘটনা আছে। একখানা ঘটনা মুবারক বললাম।
এখন মহান আল্লাহ পাক তিনি একেক জনকে দিয়ে একেক জনের কাছে ফায়দা পৌঁছান। এটা আগের পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত না।
এ রকম আরো অনেক বড় বড় ওলীআল্লাহ উনাদের অনেক ঘটনা মুবারক আছে।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
مَنْ يُّرِدِ اللهُ بِه خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ وَإِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ، وَاللَّهُ يُعْطِي
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি যার ভালাই চান, তাকে দ্বীনের ছহীহ সমঝ দান করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদিয়া মুবারক করেন, আর আমি বন্টনকারী।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
এটার অনেক অর্থ। এটা সৃষ্টির শুরু হতে শেষ পযর্ন্ত সংযুক্ত। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ঐটার অন্তর্ভুক্ত যদি কেউ হতে পারে, উনার দ্বারা কাজগুলো মহান আল্লাহ পাক তিনি নেন, উনার দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কাজগুলো নেন। কারণ নেয়ামতটা যেতে তো একটা রাস্তা লাগবে। যাবে কোন্ দিক দিয়ে? এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা শুরু হতে শেষ পর্যন্ত। ওখানে সংযুক্ত হতে পারলে, ওখান থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি যাকে দান করেন, উনার মাধ্যম দিয়ে ছড়িয়ে দেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন উনারা যাই হন।
وَإِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ
(অর্থাৎ) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বন্টন করেন। উনি তো বন্টন করেন। মালিক অনেক সময় সরাসরি না দিয়ে, মধ্যস্থতা দিয়ে দেন।
মানুষের আক্বীদা নষ্ট হয়ে গেছে। আমল নষ্ট হয়ে গেছে। যিকির নেই, ফিকির নেই। অন্তর গালিজে ভরা। অন্তরে তো কিছু নেই। বুঝবে কিভাবে? দেখোনা আমরা যা বলি এগুলি বুঝে কেউ? কেউ তো বুঝে না। আরো উল্টো বুঝে? উল্টো বুঝে একটা আব্দুল উজ্জা হয়ে যায়। কোনটা আব্দুল উজ্জার শাগরিদ হয়ে যায়।
সবাই সবটা বুঝে না। একটা কথার প্রসঙ্গে আমি বলছিলাম যে, যারা অতীতে মুজাদ্দীদ হয়ে গেছে, তারাই আমার পক্ষ থেকে কাজগুলি আনজাম দিবেন।
এই যে বিষয়গুলো- এই বিষয়গুলো বুঝবে কিভাবে? সেগুলো আনজাম দেয়ার জন্যই তো অনেকে আসছেন, করছেন। এখন মানুষ এটা বুঝবে কিভাবে?”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৫শে শাওওয়াল শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আজকে একটা ঘটনা ঘটেছে। তোমরা তো এটা শুনার উপযুক্ত না। (১৪৪২ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৪শে শাওওয়াল শরীফ ইয়ামুল আহাদ শরীফ) সকালের দিকে, ১০-১১টার দিকে হঠাৎ আমি দেখলাম- হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি আসছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনি এসে আমাকে বলতেছেন যে, এক জায়গায় যেতে হবে। কোথায় যেতে হবে? ঐ যে আপনি গিয়েছিলেন চার ইমাম উনাদের ওখানে। উনাদের অবস্থা নিষ্ক্রিয়। সক্রিয় করতে হবে।
কিভাবে করতে হবে? বললেন, ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিতে হবে। কিভাবে ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিতে হবে? বললেন, সেখানে গেলেই চলবে। আমি হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকেসহ রওনা হলাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) গেলাম সেখানে। দেখলাম যে, বিরান। আগেই বিরান দেখে এসেছি। ঐ রকমই দেখেছি। বললেন, আবাদ করতে হবে। কিভাবে আবাদ করতে হবে? তো উনি কিছু ব্রাশ, রং নিয়ে বললেন, আমরা রং করে দেই। উনিসহ আমরা তিনজন মিলে রং করলাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আবাদ হলো। উনারা চার জনই একদম পুরো সতেজ হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) গতবার তো ধারাবাহিকতাটা দেখা হয়নি। এবার দেখলাম- ইমামে আ‘যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি এক নাম্বার। তারপর ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, তারপর ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি, তারপর ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি। এই চারজন। উনারা উনাদের কাজ শুরু করলেন।
ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি বললেন, উনারা তো সক্রিয় নেই, সক্রিয় করতে হবে। তো সক্রিয় হলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
তারপর একখানে আমাদের বসার ব্যবস্থা করলেন, খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলেন। আচ্ছা, ঠিক আছে; বসলাম। কিছু দিলেন, খেলাম। উনাদের কাজ উনারা করতেছেন। তারপরে বললেন যে, আমাদের কাজ তো আমরা করেছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে উনারা কিছু ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দিবেন। ভালো কথা। উনারা বললেন যে, ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনিও আছেন। উনাকে আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উনি জামিউন নিসবত। এখন ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দেওয়া হবে। আমাকে বললেন, তাহলে আপনার পরিবারের সবাইকে আনেন, ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ্ দেওয়া হবে। তোমাদের আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনিসহ সবাইকে এনে আমি বসালাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সিরিয়াল মতো সবাইকে বসিয়েছি। যারা আছেন সবাইকে বসিয়েছি। নাকিবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম, শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনারাসহ ছোট-বড় সবাইকে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনারা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিলেন। যাই হোক, অনেকক্ষণ থাকলাম। এরপরে এসে পড়লাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি বললেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা তো চারটা মাযহাবই কবুল করেছেন, তাই এই চারটা মাযহাব জারী করার দরকার আছে। নিষ্ক্রিয় থাকলে কিভাবে চলবে? তাহলে যেয়ে একটু ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিয়ে আসেন। আমরা সক্রিয় করে দেই। ওই হিসাবে গেলাম। এখন সক্রিয় হোক, তাহলে দ্বীনের খিদমতের আন্জাম হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
উনি বললেন যেটা- মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা কবুল করেছেন চার মাযহাব। এগুলি এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। এগুলো সক্রিয় করতে হবে। তাই ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিতে হবে। কিভাবে ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ দিবো? বললেন, ওখানে গেলেই চলবে। আর কিছু লাগবে না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি গেলাম, সক্রিয় হলো একদম পুরো সতেজ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এগুলি বুঝবে মানুষ? কিভাবে বুঝবে? বুঝবে এরা কোনো দিন? মাযহাব তো আরো সক্রিয় হলো। উনারা উঠে বসে যার যার কাজ শুরু করলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এটা এভাবে বলা হয়- হানাফী, শাফেয়ী, হাম্বলী, মালেকী। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এর মধ্যে একটা ঘটনা ঘটেছে। যখন আমরা ঐ ইমাম সাহেবদের পরিষ্কার করতেছিলাম, তখন হঠাৎ ইমামুস সাদিস আলাইহিস সালাম উনি বললেন, ‘আরে! ইবলিসটা আসতেছে।’ ইবলিসটা উড়ে আসতেছিলো। আমি বললাম, এইটারে পাকড়াও করো। করে একদম হাজার মাইল দূরে ফেলে দাও নিয়ে। তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা ধরে নিয়ে ইবলিসটাকে হাজার মাইল দূরে ফেলে দিয়ে আসলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সে বাধা দেওয়ার জন্য আসতে চেয়েছিলো। আমি বললাম, এটাকে পাকড়াও করো। ঠিকই পাকড়াও করা হলো। আমরা প্রথমে খেয়াল করিনি। উনিই খেয়াল করছেন প্রথমে। একটা গেঞ্জির মতো পরা আর একটা লুঙ্গির মতো পরা। উড়ে আসতেছিলো। আমি বললাম, পাকড়াও করো এটাকে। পাকড়াও করে হাজার মাইল দূরে ফেলে দাও। ইবলিসটাকে ধরে নিয়ে ফেলে দিয়ে আসলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সে কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করার জন্য আসতে চেয়েছিলো। শয়তান তো শয়তানী করবেই। ওয়াসওয়াসা দিবে। তো ওয়াসওয়াসা দিলে, এটা ডিঙ্গিয়ে যেতে হবে। তাহলেই হবে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
কাজেই, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন, সাইয়্যিদুনা খলীফাতুল উমাম হযরত আল মানছূর আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন বেমেছাল শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার মালিক। সুবহানাল্লাহ!
যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন, সাইয়্যিদুনা খলীফাতুল উমাম হযরত আল মানছূর আলাইহিস সালাম উনার হাক্বীক্বী শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক আমাদের সবাইকে উপলব্ধি করার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করার, উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার মাধ্যমে অনন্তকালব্যাপী হাক্বীক্বীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালাইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমত মুবারক উনার নূরের আলোতে পুরো পবিত্র হুজরা শরীফ আলোকিত হওয়া
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৫)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত যায়িদ বিন হারেছাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বেমেছাল মুহব্বত মুবারক
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস মুবারক
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৪)
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক উনার গুরুত্ব এবং আবশ্যকতা
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলেন না (৩)
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)