সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ
যাঁরা খালছিভাবে মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি সাইয়্যদিু সাইয়্যদিলি আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবনে, উনাদরে কোনো হসিাব নকিাশ হবে না। উনারা বনিা হসিাবে সম্মানতি জান্নাত মুবারক-এ প্রবশে করবনে
, ০৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৮ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৪ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৭ই মুহররমুল হারাম শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) ইরশাদ মুবারক করেন- “মালিক তো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। তাহলে মালিক উনার আলোচনা করতে বাধা দিবে কে? কারো ক্ষমতা আছে? ক্ষমতা আছে কারো কোনো? কারো কোনো ক্ষমতা নেই। কবরে, হাশরে-নশরে, মীযানে, পুলসিরাতে এবং জান্নাতে যেয়েও অনন্তকালব্যাপী সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
কেউ যদি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে, তাহলে তাকে তা’যীম করে বেহেস্তে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হবে। কিসের হিসাব-নিকাশ? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) যারা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করবে, এদের হিসাব-নিকাশ হবে কেন? হিসাব-নিকাশ হবে তো যারা ফাসিক-ফুজ্জার তাদের। যারা খালিছভাবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করতে পারবে, এদের হিসাব-নিকাশ হবে কেন? এদের বিনা হিসাবে বেহেস্তে যেতে হবে। এরা হিসাব-নিকাশ ছাড়াই বেহেস্তে যাবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন খালিছভাবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করতে হবে। এজন্য যিকির-ফিকির করুক। তখন ফায়দা পাবে। নাহলে ফায়দা পাবে কোথা থেকে? ‘সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ’ উনার মালিক হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি। মালিক উনার কাজ করলে বাধা দিতে পারে কে? কেউ বাধা দিতে পারবে না। তাহলে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করলে কোনো সমস্যা থাকার কথা না। এখন মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ববূল করার মালিক। কোশেশ করতে হবে। কোশেশ না করলে কিভাবে হবে? আমি বলেছিলাম, আমি একদিন দেখলাম- নূরে মুজাসাসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে। অনেক লম্বা ঘটনা মুবারক। আমি সংক্ষিপ্তভাবে বলবো- “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমি। উনি আসলেন। আমি বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি দাঁড়িয়ে থাকবেন, এটা কেমন দেখা যায়? একটি আসন মুবারক দরকার। ’ একটি কুদরতী আসন মুবারক এসে পড়লো। আমি বললাম, ‘আপনি এখানে দয়া করে তাশরীফ মুবারক রাখেন। ’ উনি বসলেন। আমি বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অনেক লোক তো আসতেছে দেখা করার জন্য। তারা আপনার সাথে দেখা করবে। ’ উনি বললেন, ‘ঠিক আছে আসুক। ’ উনি খুব খুশি। আসলো। আমাদের অনেক লোক। চিনি অনেককে। হাজার হাজার লোক লাইন ধরে আসতেছে। আসার পর আমি বললাম, ‘কদমবুুছি করো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুরুদ দারাজাত মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক উনার তল দিয়ে। ’ সবাই ক্বদমবুছি করতেছে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুরুদ দারাজাত মুবারক অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বদম মুবারক উনার তল দিয়ে। কদমবুছি মুবারক করার পর তারা কোথায় যাবে? আমি বললাম, ‘এই যে ডান দিক দিয়ে যাও। এই যে উঁচু জায়গাটা দেখো, ডান দিক দিয়ে গেলেই সামনে বেহেস্ত। কোনো হিসাব-নিকাশ কিছুই নেই। এমনেই বেহেস্তে প্রবেশ করো। ’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন, ‘হ্যাঁ; ঠিক আছে। ’ সবাই লাইন ধরে গিয়ে বেহেস্তে প্রবেশ করলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
এই যে বিষয়টা। মালিক যিনি উনি যদি অনুমতি দেন, তাহলে এখানে চূ-চেরা করবে কে? কার ক্ষমতা আছে? (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ক্ষমতা তো কারো নেই। আমি বললাম, ‘লাইন ধরে সবাই বেহেস্তে প্রবেশ করো। ’ সবাই বেহেস্তে প্রবেশ করলো। এরকম ভাগে ভাগে কয়েকবার দেখলাম। এখন যিকির-ফিকির তো করতে হবে এবং জারীও করতে হবে। সাথে সাথে পাছ আনফাছও জারী করতে হবে। তাহলে ফয়ছালা হয়ে যাবে। এজন্য বললাম, যারা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আই’য়াদ শরীফ পালন করবে, এদের কোনো হিসাব-নিকাশ হবে না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) খালিছ নিয়তে করুক, বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে। ইনশাআল্লাহ। ” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঝুটা মুবারক খাওয়ার ফলে বরকত মুবারক লাভ
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল বারাকাত মুবারক উনার ফলে কূপের পানি সবচেয়ে অধিক সুপেয় ও সুমিষ্ট হয়ে যাওয়া
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বগল মুবারক উনার শুভ্রতা মুবারক
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (৩)
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো দুনিয়ার যমীন ইনছাফ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুলি মুবারক করা পানি কূপে পতিত হওয়ার কারণে কুপ থেকে মেশকের চেয়ে অধিক সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুন আলা নূর মুবারক উনার মাঝে দায়িমীভাবে নূর মুবারক চমকানো
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাসি মুবারককালে পাশ্ববর্তী দেয়ালসমূহ আলোকিত হয়ে যাওয়া
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কথা মুবারক বলার সময় নূর মুবারক বিচ্ছুরিত হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত ত্বীব মুবারক থেকে নূর মুবারক সৃষ্টি হওয়া
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)