মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ সম্পর্কে সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
, ২৮ শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩২ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ১৫ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরু থেকে অদ্যবধি মহান আল্লাহ পাক উনার হাক্বীক্বী দীদার মুবারক-এ মশগূল রয়েছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ সেই সম্মানিত হাক্বীক্বী দীদার মুবারক-এ মশগুল থাকবেন। তিনি কখনো মহান আল্লাহ পাক উনার হাক্বীক্বী দায়িমী দীদার মুবারক থেকে এক পলকের তরেও জুদা ছিলেন না, এখনো নেই এবং অনন্তকাল যাবৎ কখনোই থাকবেন না। সুবহানাল্লাহ! সেই বিষয়টিই তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন,
لِىْ مَعَ اللهِ وَقْتٌ لَّا يَسْعٰنِىْ فِيْهِ مَلَكٌ مُّقَرَّبٌ وَلَا نَبِىٌّ مُّرْسَلٌ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে আমার দায়িমীভাবে এমন নিসবত মুবারক রয়েছেন, যেখানে কোনো নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্থান সঙ্কুলান হয় না। ” সুবহানাল্লাহ! (সিররুল আসরার শরীফ)
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দায়িমীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার হাক্বীক্বী দীদার মুবারক-এ মশগূল রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! যেখানে কোনো নৈকট্যপ্রাপ্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্থান সঙ্কুলান হয় না। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনার বিষয়টি কায়িনাতের মাঝে স্পষ্ট করে দেয়ার জন্যই আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার অবতারণা মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন যে, দেখ! আমার সাথে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কি বেমেছাল নিসবত মুবারক, সম্পর্ক মুবারক। যেখানে কোনো হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের, কোনো নৈকট্যপ্রাপ্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্থান সঙ্কুলান হয় না। সুবহানাল্লাহ! আমার সাথে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্ক হচ্ছেন ‘ক্বাবা কাওসাইনি আও আদনা। ’ সুবহানাল্লাহ!
সেটাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّى. فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى
অর্থ: “তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম তিনি (মহান আল্লাহ পাক উনার) নিকটবর্তী হলেন এবং ঝুকে গেলেন। একটা ধনুকের দুই মাথা টান দিলে যতটুকু মিলে যায়, তার চেয়েও বেশি তিনি নিকটবর্তী হয়ে গেলেন। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নজম শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৮-৯)
তাহলে তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কতটুকু নিকটবর্তী হয়েছিলেন, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
মূলত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে এই মহাসম্মানিত নিসবত মুবারক-এ সৃষ্টির শুরু থেকেই ছিলেন, এখনো আছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! কস্মিনকালেও তিনি এই মহাসম্মানিত নিসবত মুবারক থেকে জুদা হবেন না। সুবহানাল্লাহ! কারণ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুদরত মুবারক উনার অধীন। সুবহানাল্লাহ! আর মহান আল্লাহ পাক তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ হাদিয়া করে, সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে জানিয়ে দিলেন যে, দেখ! আমার সাথে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কি বেমেছাল নিসবত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
মূলত এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ, উনার কোটি কোটি শান মুবারক উনাদের মধ্যে একখানা বিশেষ শান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِي شَأْنٍ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি একেক দিন একেক শান মুবারক-এ থাকেন। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইয়াসীন শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৯)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি তো ক্বাদীম। তিনি শুরুতে যা করেছিলেন, এখনো তাই করেন। তবে তিনি কোনো কোনো সময় উনার কোনো কোনো বিশেষ শান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক ঘটান। সুবহানাল্লাহ! একইভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদেছ হওয়ার পরও ক্বদীম উনার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেছেন। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে তিনিও শুরুতে যা করেছিলেন, এখনও তাই করেন। তবে তিনি কোনো কোনো সময় উনার কোনো কোনো বিশেষ শান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক ঘটান। সুবহানাল্লাহ! যেমন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ হচ্ছেন উনার একখানা বিশেষ শান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
আর এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ সংঘটিত হয়েছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৭শে রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার রাতে)। সুবাহানাল্লাহ! তাহলে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৭শে রজবুল হারাম শরীফ উনার কত বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক তা এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়। সুবাহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (৫)
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, জান্নাতী ইমাম, সাইয়্যিদুল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহনাওয়াসা আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুহব্বত মুবারক করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (৪)
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো ‘বাশার’ বা মানুষ বলা কাট্টা কুফরী
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড(৩)
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ‘আল মানছূর’ লক্বব মুবারক উনার অর্থ মুবারক
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যদিুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহসি সালাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বশিষে শান মুবারক
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড(২)
০৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড(১)
০৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
০৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
০৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)