প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পর মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হাদীছ শরীফ لِـىْ مَعَ اللهِ وَقْتٌ উনার হাক্বীক্বত মুবারক প্রকাশ
, ২১ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৪ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১৪ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ২৮ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪০ হিজরী শরীফ উনার ১৭ই রমাদ্বান শরীফ লাইলাতুল খ¦মীস শরীফ (বৃহস্পতিবার রাত) সম্মানিত তারাবীহ নামায উনার পর সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
لِـىْ مَعَ اللهِ وَقْتٌ لَّا يَسْٰنِـىْ فِـيْهِ مَلَكٌ مُّقَـرَّبٌ وَلَا نَبِـىٌّ مُّـرْسَلٌ
প্রকৃতপক্ষে মানুষ এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার অর্থ বুঝে না। তারা অর্থ করে থাকে যে, لِـىْ مَعَ اللهِ وَقْتٌ যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব উনার সাথে আমার একটা সময় রয়েছে। এখানে وَقْتٌ বলতে মানুষ মনে করে- একটা সময় রয়েছে। না‘ঊযুবিল্লাহ!
প্রকৃতপক্ষে وَالْعَصْرِ বলতে যেমন সমস্ত সময় বুঝানো হয়, وَقْتٌ দ্বারাও সমস্ত সময় বুঝানো হয়।
لِـىْ مَعَ اللهِ وَقْتٌ لَّا يَسْعٰنِىْ فِيْهِ مَلَكٌ مُّقَرَّبٌ وَلَا نَبِـىٌّ مُّرْسَلٌ
এমন নিসবত-কুরবত এর মধ্যে কোনো নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতা, কোনো নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রবেশ করার কোনো পথ সেখানে নেই। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অর্থাৎ দায়িমী যে নিসবত। এখন এর মধ্যে অনেক ফিকির রয়েছে, অনেক সূক্ষ্ম ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ রয়েছে। যেটা সাধারণভাবে মানুষের পক্ষে উপলব্ধি করা কঠিন। এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মিছদাক্ব মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাও। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফখানা আমি একদিন ফিকির করতেছিলাম। বিষয়টা রূহানীভাবে।
لَا يَسْعٰنِـىْ فِـيْهِ مَلَكٌ مُّقَرَّبٌ وَلَا نَبِـىٌّ مُّرْسَلٌ
এখানে সংযোগের কোনো রাস্তা নেই। যখন আমি ফিকির করলাম, এর হাক্বীক্বতে প্রবেশ করার কোশেশ করলাম, তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন যে, ‘وَقْتٌ (ওয়াক্বতুন) শব্দের আসলে অর্থ হচ্ছে- অনন্তকাল।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এখানে কারো কোনো প্রবেশ করার সুযোগ নেই। ঠিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ যেমন রয়েছেন, উনার মধ্যে প্রবেশ করার সুযোগ নেই, এখানেও কোনো সুযোগ নেই। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
لَا اِلـٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ
(‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।’) এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ উনার মধ্যে কারো প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই। ঠিক যিনি খ¦ালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক, যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে কারো প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! শুধু এতটুকু নয়; বরং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের যে বিষয়টা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যে একটা বিশেষ নৈকট্য মুবারক, নিসবত মুবারক এর মধ্যে কারো প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বিষয়টা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ফিকিরের বিষয়। কাজেই উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক মানুষ কতটুকু বর্ণনা করবে? সেজন্যই বলা হচ্ছে,
نَـحْنُ اَهْلُ بَـيْتٍ لَّا يُـقَاسُ بِنَا اَحَدٌ
অর্থ: “আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভূক্ত। আমাদের সাথে কারো কোনো ক্বিয়াস করা চলবে না।”
لَـيْسَ اَحَدٌ مِّـنَ الْـخَلَائِقِ يَـفْضُلُ اَهْلَ بَـيْـتِـىْ غَـيْـرِىْ
অর্থ: “সৃষ্টির কোনো সৃষ্টি নেই, যাকে তুলনা করা যেতে পারে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে। কেউ তুল্য নেই একমাত্র মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ব্যতীত।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
ফিকির করতে হবে। বিষয়টা অত্যন্ত সূক্ষ্ম, ফিকিরের বিষয়। কাজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলছেন,
اَنَا وَاَهْلُ بَـيْـتِـىْ مُطَهَّرُوْنَ مِنَ الذُّنُـوْبِ
অর্থ: “আমি এবং আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সমস্ত কিছু থেকে পবিত্র। অর্থাৎ পবিত্রতা দানকারী।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
এখন উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক মানুষ কতটুকু বর্ণনা করবে? অনেক সূক্ষ্ম ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ রয়েছে, এর অনেক হাক্বীক্বত রয়েছে। তবে আপাতত বুঝার জন্য এতটুকু। যে আসলে এমন নিসবত, এমন কুরবত, এমন নৈকট্য এর পরে আর কোনো নৈকট্য নেই।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহান খলীফা হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিস সালাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৮)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (২০)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৪)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৭)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৯)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ‘আন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি’ উনার হাক্বীক্বী অর্থ ও তাফসীর মুবারক এবং এ বিষয়ে বদ আক্বীদাহধারীদের কুফরীমূলক বক্তব্যের দলীলভিত্তিক খন্ডনমূলক জবাব (৬)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট কতিপয় আয়াত শরীফ (১৮)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত মহাসম্মানিত ১২ খলীফা আলাইহিমুস সালাম (২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)