মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- ‘আমি প্রত্যেক হযরত নবী ও হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ক্বওমের ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি।’ সুবহানাল্লাহ!
প্রত্যেক হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রেরণ করা হয়েছে। তাই মাতৃভাষাকে মুহব্বত করা পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! ভাষার জন্য যে মুসলমানরা প্রাণ দিয়েছেন তাদের জন্য শরয়ী তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক যেমন- পবিত্র কুরআন শরীফ খতম, পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ এবং তওবা-ইস্তিগফার করে দুআ-মুনাজাতের মাধ্যমে তাদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আর সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার খিলাফ তর্জ-তরীক্বা যেমন- খালি পায়ে চলা, শহীদ মিনারে ফুল দেয়া, গান-বাজনা করা ও বেপর্দা-বেহায়াপনা ইত্যাদি কাজগুলো পবিত্র ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নাজায়িয। তাই মুসলমানদের জন্য এসব হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা ফরয।
, ১০ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৩ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০৮ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মাতৃভূমিকে মুহব্বত করা পবিত্র ঈমান উনার অঙ্গ।” এর ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘মাতৃভাষাকে মুহব্বত করাও পবিত্র ঈমান উনার অঙ্গ’। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, জামাতী দেওবন্দী ওহাবী খারিজী উলামায়ে ‘সূ’ গংয়ের প্ররোচনায় যালিম সম্প্রদায় এদেশের মুসলমানদেরকে সেই পবিত্র সুন্নত মুবারক পালন বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলো। কাজেই যে মুসলমানরা প্রকৃতপক্ষে মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছে তারা শহীদী দরজা অর্জন করেছে। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এদেশবাসী মুসলমানের উচিত- ভাষার জন্য যে মুসলমানরা প্রকৃতপক্ষে প্রাণ দিয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা, তাদের উপকার করার চেষ্টা করা।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত- ভাষার জন্য যে মুসলমানরা প্রাণ দিয়েছে তাদের উপকারার্থে তাদের জন্য ইস্তিগফার পাঠ করে, মাগফিরাত কামনা করে, পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করে তাদের জন্য পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে দুআ করা অর্থাৎ তাদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খালি পায়ে চলা, শহীদ মিনারে ফুল দেয়া, গান-বাজনা করা, বেপর্দা-বেহায়াপনাজনিত অনুষ্ঠান দ্বারা যারা জীবিত তারা কঠিন গুনাহে গুনাহগার হয় অর্থাৎ কবীরা ও কুফরী গুনাহে গুনাহগার হয়। আর যে মুসলমানরা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে কবরে আছে তাদের কোনোই উপকার হয় না। বরং তারা এসব কাজের জন্য ভীষণ লজ্জিত হয় ও কষ্ট পায়। কারণ, তারা সবই দেখতে পায়। কেবলমাত্র তারা নির্বাক বলেই কিছু বলতে পারে না।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমান হিসেবে এদেশবাসীর সবারই সেভাবে আমল করা উচিত, যেভাবে আমল করলে ভাষার জন্য যে মুসলমানরা জীবন দিয়েছে তাদের উপকার হবে। অর্থাৎ ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের জন্য দুআ-ইস্তিগফার, পবিত্র কুরআন শরীফ খতম ও পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে তাদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া। পাশাপাশি গান-বাজনাসহ সর্বপ্রকার হারাম, কুফরী ও সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার বিরোধী সর্বপ্রকার আমল ও সর্বপ্রকার বদ রসম থেকে বিরত থাকা সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য অর্থাৎ ফরয।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে ‘যে ব্যক্তি পর্দা করে না ও অধীনস্থদের পর্দায় রাখে না, সে দাইয়্যূছ। ’ নাউযুবিল্লাহ! ছবি, টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, ফ্যাশন শো, সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা, সেলফি, গান-বাজনা, খেলাধুলা এগুলো মুসলমানদেরকে ‘দাইয়্যূছ’ বানানোর অর্থাৎ বেপর্দা-বেহায়া করার বিধর্মীয় বা বিজাতীয় সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র। নাউযুবিল্লাহ!
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- মুসলমান দাবীদার যারা পূজামন্ডপ ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পরিদর্শন করেছে, গীতা বা মন্ত্র পাঠ করেছে, যেখানে তথাকথিত ইসলামী গজল পরিবেশন করেছে, প্রসাদ খেয়েছে ও পূজায় আর্থিক সাহায্য-সহায়তা করেছে- তারা সবাই কুফরী করার কারণে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে মুরতাদ হয়ে গেছে। নাউযুবিল্লাহ!
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউছ ছানী শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ” মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সেহেতু প্রতি আরবী মাসের এ মুবারক তারিখটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ সুমহান বরকতপূর্ণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১১ই রবীউছ ছানী শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সৃষ্টির মূল। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত হাছিল করতে হলে উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত হাছিল করতে হবে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত হাছিল করার বিশেষ উছীলা হলো- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ পালন করা।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ খলীফা হলেন উনারা যারা সম্মানিত সুন্নত মুবারক প্রচার-প্রসার করবেন এবং উনাদের উপরই মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ রহমত অবধারিত। সুবহানাল্লাহ! আর সে লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শাফায়াত মুবারক পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারী উম্মতদের জন্য ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের জন্য রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিবেন এবং উনাদের জন্য হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মাগফিরাত কামনা করবেন। ফলে উনারা নাজাত লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই রবীউছ ছানী শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার সম্মানিত আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
তোমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করো, উনাকে তা’যীম-তাকরীম মুবারক করো এবং উনার ছানা-ছিফত মুবারক বা প্রশংসা মুবারক বর্ণনা করো সকাল-সন্ধ্যা। ” অর্থাৎ দায়িমীভাবে সদা-সর্বদা অনন্তকাল ধরে। সুবহানাল্লাহ!
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৫ই রবীউছ ছানী শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুশ শাবাবী আহলিল জান্নাহ, রাইহানু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ও পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
০৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩রা রবীউছ ছানী শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা বিনতু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)