পবিত্র হামদ্ শরীফ, পবিত্র না’ত শরীফ ও পবিত্র ক্বাছীদাহ শরীফ লেখা, পাঠ করা ও শোনা খাছ সুন্নত মুবারক
গান-বাজনা করা, শোনা হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত-৪
, ০৫ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২২ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ২১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
পবিত্র সামা শরীফ সম্মানিত শরীয়তসম্মততো অবশ্যই বরং মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত
ভারতের আজমীর শরীফ-এ শুয়ে আছেন ৭ম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, সুলত্বানুল হিন্দ, খাজা গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি (৫৩৬-৬৩৩ হিজরী) এবং দিল্লীতে রয়েছেন ৮ম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মাহবূব-ই-ইলাহী হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি (৬৩৫-৭২৫ হিজরী) উনারা। এই মহান মুজাদ্দিদদ্বয় রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণে পবিত্র হামদ-নাত ও ক্বাছীদা শরীফ শুনতেন এবং পবিত্র সামা শরীফ উনার মাহফিলের আয়োজন করতেন। আজকে উনাদের পবিত্র মাযার শরীফ প্রাঙ্গনে আয়োজিত কাওয়ালী অনুষ্ঠান দিয়ে উনাদের সামা শরীফ শোনার বিষয়টি যেমনি উপলব্ধি করা সম্ভব নয়, তেমনি কিছু কিতাবী ইলম দিয়ে মুজাদ্দিদগণ উনাদের পরিচয় পাওয়া সম্ভব নয়। তবুও আমরা মুজাদ্দিদগণ উনাদের উপর কিছুটা আলোচনা করবো যাতে বোঝা যায় উনাদের পক্ষে কাওয়ালী শোনা কী আদৌ সম্ভব ছিল কিনা। যদিও এ রকম ধারণা করাও আদবের খিলাফ কিন্তু আমাদের লেখার স্বচ্ছতা এবং সাধারণের উপলব্ধিকে শানিত করার লক্ষ্যেই এই চেষ্টা।
পবিত্র হাদীছে কুদছী শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে, যা আবূ দাউদ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে যে, “প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে মহান আল্লাহ পাক তিনি একজন মুজাদ্দিদ পাঠাবেন, যিনি সম্মানিত দ্বীন উনার তাজদীদ মুবারক করবেন।” একজন মানুষ কষ্ট সাধনা করে ওলীআল্লাহ হতে পারেন কিন্তু মুজাদ্দিদ হিসেবে আসা মানুষের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল নয়। মুজাদ্দিদগণ উনারা বিশেষভাবে মনোনীত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে সম্মানিত দ্বীন মুবারক রেখে গেছেন, মুজাদ্দিদগণ উনারা হচ্ছেন প্রকৃত ওয়ারিছ। উনারা হুবহু সেই দ্বীনকে আবার জাগরিত করেছেন, করে যাচ্ছেন এবং করবেন। সামান্য কমও নয়, বেশিও নয়।
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের যুগের পর প্রথম মুজাদ্দিদ হিসেবে আসেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম আবূ হানিফাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি (৮০-১৫০ হিজরী)। এভাবে ৭ম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ ছিলেন সুলত্বানুল হিন্দ খাজা গরীব নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি (৫৩৬-৬৩৩ হিজরী) এবং ৮ম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ ছিলেন মাহবুব-ই ইলাহী হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি (৬৩৫-৭২৫ হিজরী)।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم بعثت لكسر المزامير والأصنام.
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,“আমি প্রেরিত হয়েছি বাদ্যযন্ত্র ও মূর্তি ধ্বংস করার জন্য।
সুতরাং মুজাদ্দিদগণ উনারা কিভাবে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে কাওয়ালী শোনার বা গাওয়ার অনুমতি দেবেন? এসব বলা এবং ভাবাও চরম পর্যায়ের বেয়াদবি ও কুফরী। উনাদের অন্তরের পবিত্রতা সাধারণ মানুষের উপলব্ধির বাইরে। কিন্তু যারা নফসের অনুসরণ করে তারাই অবলীলায় বলতে পারে- ভারতে শুয়ে থাকা এই মহান মুজাদ্দিদদ্বয় উনারা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সামা, কাওয়ালী শুনতেন। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদগণ উনারা সূক্ষ¥াতিসূক্ষ¥ সুন্নত মুুবারক উনার আমল করেন এবং সেই সময়ের অবলুপ্ত সুন্নত মুবারকসমূহ জিন্দা কওে থাকেন। পবিত্র ক্বাছীদাহ শরীফ শোনা, লেখা, পাঠ করা, শোনার আয়োজন করা, উৎসাহ দিয়ে লিখানো সবই খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ উনার মধ্যে একটি আলাদা মিম্বর শরীফ বানিয়ে দিয়েছিলেন যেখানে বসে বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত হাসসান বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পবিত্র ক্বাছীদাহ শরীফ পরিবেশন করতেন।
পাশের মহাসম্মানিত মিম্বর শরীফ উনার মধ্যে বসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তা শ্রবণ মুবারক করতেন এবং কখনো আওড়াতেন। মূলত, ৭ম এবং ৮ম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদগণ উনারা সেই সুমহান সুন্নত মুবারক উনার হুবহু অনুসরণে পবিত্র ক্বাছীদাহ শরীফ বা সামা শরীফ শোনার আয়োজন করতেন। যা সম্পূর্ণ শরীয়তসম্মত এবং খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। (অসমাপ্ত)
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সুন্নতী খাবার পরিচিতি
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
জানাযা নামাযের হুকুম-আহকাম ও মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক (১)
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী লিবাস ‘জুব্বা’
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র আযানের জবাব দেয়ার হুকুম-আহকাম ও খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক (১)
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার যব ও যবের রুটি
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে (নববর্ষ) বা নওরোজ পালন করা হারাম (৩)
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘হাইস’
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে (নববর্ষ) বা নওরোজ পালন করা হারাম (২)
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার “হারীসাহ
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে (নববর্ষ) বা নওরোজ পালন করা হারাম (১)
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সেলাইবিহীন সুন্নতী ইযার বা লুঙ্গি
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সুন্নতী খাবার পরিচিতি ও উপকারিতা : দুধজাতীয় খাবার
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)