মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ করলো, সে মূলত মহান আল্লাহ পাক উনারই অনুসরণ করলো।” সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ খলীফা হলেন উনারা যারা সম্মানিত সুন্নত মুবারক প্রচার-প্রসার করবেন এবং উনাদের উপরই মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ রহমত অবধারিত। সুবহানাল্লাহ! আর সে লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’। এই মুবারক প্রতিষ্ঠানটি সুপরিকল্পনার মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়ানোর জন্য বিশেষভাবে জোর দিতে হবে। যেহেতু একটি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ফযীলত কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ফযীলত মুবারক, নাজাতের সনদ, এবং চূড়ান্ত কামিয়া
যা সকলের জন্যই ইহকাল ও পরকালে নিশ্চিত নাজাত লাভের কারণ। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, প্রচার ও প্রসারে অগ্রগামী হয়ে, পবিত্র সুন্নত মুবারক অনুসরণের মাধ্যমেই হাক্বীক্বী হিদায়েত মুবারক লাভ করার সাথে সাথে উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন করা।
, ২৭ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমি একদিন স্বপ্ন দেখলাম, আমার সম্মানিত শায়েখ যাত্রাবাড়ি দরবার শরীফের সম্মানিত পীর ছাহিব কুতুবুল আলম, সুলতানুল আরেফীন আলাইহিস সালাম তিনি বড় আকারে মজলিস করছেন এবং রুহানী জগতে আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে সে বিষয়টি আলোকপাত করছেন। তখন সেখানে আমি ছিলাম না। আমি দূরে ছিলাম। পরক্ষণে আমি সেখানে গেলাম তিনি আমাকে বললেন, রুহানী জগতে পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে তো এটা পরিকল্পনা করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমি বললাম ঠিক আছে। পরক্ষণে সম্মানিত হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার সে মজলিশ থেকে বের হয়ে আসলাম। কিন্তু বের হয়ে দেখি সেখানে সম্মানিত হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি নেই, উনার পরিবর্তে সেখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। তিনি উনার নূরূল মাগফিরাত মুবারক তথা হাত মুবারক আমার মাথা মুবারকে রাখলেন এবং কিছু বললেন, উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বক্তব্য মুবারক উনার মুল বিষয় যা বললেন তা হলো- আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় আমি অনেক সন্তুষ্ট ও খুশি হয়েছি। তবে এটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার কি কোন পরিকল্পনা করা হয়েছে? এরপর তিনি সুপরিকল্পনার অনেক নছীহত ও পরিকল্পনার তা’লীম দিলেন। আমি বললাম, পরিকল্পনা করা হয়নি তবে আপনারা তওফীক্ব দিলে পরিকল্পনা করা হবে অবশ্যই। সুবহানাল্লাহ! উল্লেখ্য, এবার তিনি জিয়ারত মুবারক দেয়ার সময় অন্যবার থেকে বিশেষ শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ফযীলত মুবারক এমন যে, “সৃষ্টির শুরু থেকে ক্বিয়ামত অবধী হযরত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা, উনাদের সমস্ত উম্মত, পূর্বকাল এবং পরবর্তী সমস্ত আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাসহ দুনিয়ার সমস্ত মানুষের সমস্ত নেক আমলগুলো যদি মীযানের এক পাল্লায় রাখা হয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম একটি সুন্নত মুবারক এক পাল্লায় রাখা হয়; তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে সেই একটি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ওজন তথা ফযীলত মুবারক-ই সবচেয়ে বেশী ভারী ও সর্বশ্রেষ্ঠ-সর্বোত্তম এবং সম্মানিত হবে। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শুরুর যামানায় মানুষ যেরকম আমল মুবারক করে ফযীলত হাছিল করেছিলেন ঠিক শেষ যামানায় তথা বর্তমান যামানাতেও উম্মতেরা তেমনি ফযীলত মুবারক হাছিল করবেন। সুবহানাল্লাহ! যারা পবিত্র সুন্নত মুবারক শতভাগ পালন করার নিয়ত করবেন যদিও তিনি শতভাগ পালন করতে নাও পারেন, তবুও উনারা উক্ত ছহীহ নিয়তের কারণেই পরিপূর্ণ ফযীলত হাছিল করবেন। সুবহানাল্লাহ! কাজেই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, প্রচার ও প্রসারে অগ্রগামী হয়ে সুন্নত মুবারক অনুসরণের মাধ্যমেই হাক্বীক্বী হিদায়েত মুবারক লাভ করার সাথে সাথে ঈমান ও আমলের উপর ইস্তিকামত থেকে বিরাট সফলতা লাভ করে উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন করা। সুবহানাল্লাহ!
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ সুমহান বরকতময় ২২শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি খলীফায়ে ছানী, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার দায়িত্ব গ্রহণের সুমহান দিন। সুবহানাল্লাহ!
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ দিনটি সকলের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- শরাব বা মদসহ সর্বপ্রকার মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্যই হারাম। অথচ বাংলাদেশে সরাসরি শরাব বা মদ তো বিক্রি হচ্ছেই; এমনকি কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকসের নামেও প্রকাশ্যে শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো মতেই কোনো মোড়কেই শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্য চলতে পারে না এবং শরাব বা মদ তৈরির অনুমতিও সরকার দিতে পারে না।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- গান-বাজনা করা ও শ্রবণ করা কবীরাহ গুনাহ। গান-বাজনার আসরে বসা ফাসিক্বী এবং গান-বাজনার স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সালাম আদান-প্রদান করা হচ্ছে ‘শিয়ারুল ইসলাম’। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে সালাম দেয়া খাছ সুন্নত। আর ‘সালাম’ উনার জাওয়াব দেয়া হচ্ছে ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান শান মুবারক সম্পর্কে কটূক্তির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ! কারণ পবিত্র মসজিদ ও মসজিদের জায়গা উনার একচ্ছত্র মালিক হচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি। সুবহানাল্লাহ!
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে হাক্বীক্বী তা’যীম-তাকরীম করতে পারলেই- দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা, সার্বিক শান্তি ও কল্যাণ লাভ করা এবং বিজয় দিবসের যথাযথ সম্মান করা সহজ ও সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ!
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফে” মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, ইবনে হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)