মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত সূরা বাক্বারাহ শরীফ উনার ১০৫ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

وَاللّٰهُ يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهٖ مَنْ يَشَاءُ.

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে চান উনাকে রহমত মুবারক দ্বারা খাছ করে নেন।”(পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ; পবিত্র আয়াত শরীফ: ১০৫)

এই মহাসম্মানিত আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বী ও পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে আখাছ্ছুল খাছ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম হিসেবে মনোনীত করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। যার কারণে স্বাভাবিকভাবেই তিনি খাছ রহমত মুবারক উনার মহাসম্মানিত মালিক।

কিভাবে সম্মানিত দ্বীন-ইসলাম উনার মাঝে পরিপূর্ণভাবে দাখিল হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করে রহমত-বরকত হাছিল করা যায়, সেই বিষয়গুলিই মুসলিম উম্মাহকে হাতে-কলমে শিক্ষা দিচ্ছেন; সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

اَللّٰـهُ وَلِيُّ الَّذِيْنَ آمَنُوْا يُخْرِجُهُمْ مِّنَ الظُّلُمَاتِ اِلَى النُّوْرِ.

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি মু’মিনগণ উনাদের অভিভাবক, উনাদেরকে গোমরাহী থেকে বের করে হিদায়েত উনার দিকে নিয়ে আসেন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ; পবিত্র আয়াত শরীফ: ২৫৭)

উল্লেখ্য, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার মহাসম্মানিত হাবীব-মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে উত্তম অভিভাবক হিসাবে মেনে নেন, মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারাই উনাকে সমস্ত বিদয়াত-বেশরা, হারাম, গুনাহ থেকে হেফাজত করেন এবং মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইত্তেবা করার তাওফীক্ব দান করেন।

অনুরূপভাবে যারা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে অভিভাবক হিসেবে উত্তমভাবে গ্রহণ করবেন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকেও গোমরাহী থেকে বের করে হিদায়েত উনার দিকে নিয়ে আসবেন।

যিনি যতো বেশি মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইত্তেবা মুবারক করেন তিনিই ততো বেশি হিদায়াতপ্রাপ্ত। আর বান্দা-বান্দীকে সর্বোচ্চভাবে হিদায়াত দেয়ার লক্ষ্যেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পরামর্শ মুবারক ও পরিকল্পনা মুবারক অনুযায়ী প্রতিষ্ঠা করা হয় পবিত্র ক্যান্টিন শরীফ অর্থাৎ “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র”। সুবহানাল্লাহ!

এই “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র” উনার মাধ্যমে আজ সারা বিশ্বে মহাসম্মানিত সুন্নতী দ্রব্য সামগ্রী, সুন্নতী খাদ্য, সুন্নতী লিবাস, সুন্নতী আমলসহ যাবতীয় মহাসম্মানিত সুন্নতী বিষয় সম্পর্কে কায়িনাতবাসী জানতে পারছে ও আমলে বাস্তবায়ন করতে পারছে। শুধু তাই নয়, অসংখ্য পরিবার, অসংখ্য পুরুষ-মহিলার মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীবে, হালাল উপায়ে রিযিকের ব্যবস্থা হয়ে যাচ্ছে। সুবহানাল্লাহ!



মহিলারা সুন্নতী তারতীবে পর্দার সহিত কাজ করে অর্থ উপার্জন করবে এবং সেই উপার্জিত অর্থ নেক কাজে খরচ করতে পারবে, সেই মহান শিক্ষা মুবারকও সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি আমাদেরকে দিয়ে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!

মহিলারা যেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে উত্তম আদর্শ মুবারক হিসেবে গ্রহণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে উনার বরকতময় একখানা ঘটনা মুবারক আলোকপাত করা হলো-

একদিন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত নূরুস সালাম মুবারকে (মহাসম্মানিত জবান মুবারকে) বলেন, “আমি সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনাকে বললাম, মাস শেষে আমি আপনাকে যে হাদিয়া মুবারক দিয়ে থাকি কোন পুরুষ কি সেই পরিমাণ অর্থ মুবারক হাদিয়া দিয়ে থাকে? সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাবাস্সুম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুচকি হাসি মুবারক) দিয়ে বলেন, না.. দিতে পারে না। সুবহানাল্লাহ!

শুধু তাই নয়, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুস সালাম মুবারকে প্রায় সময় ইরশাদ মুবারক করে থাকেন, আর্থিকভাবে খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দিয়ে যে নিয়ামত মুবারক হাছিল করা যায় অন্য কোনভাবে সেই নিয়ামত মুবারক হাছিল করা যায় না। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের অনুসরণে, উনাদের পরিপূর্ণ ক্বায়িম-মাক্বাম হিসেবে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারকে আর্থিকভাবে ও সার্বিকভাবে বেমেছাল, সর্বোচ্চ আঞ্জাম মুবারক দিয়ে যাচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!

বলাবাহুল্য, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি এক বিশেষ ছোহবত মুবারকে উনার মহাপবিত্র নুরুস সালাম মুবারকে বলেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব-মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে আমি রহমত-বরকতসহ যমীনে প্রেরিত হয়েছি।” সুবহানাল্লাহ!

কাজেই সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে অনুসরণ-অনুকরণ মুবারক করা, উনার গোলামী মুবারক উনার আঞ্জাম মুবারক দেয়া। আর আমরা যদি সম্মানিত সুন্নতী তারতীবে অর্থ আয় করতে চাই এবং নেক কাজে বেশী বেশী খরচ করতে চাই , তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই অবশ্যই “আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র” এই বরকতময় প্রতিষ্ঠান উনার সাথে সংযুক্ত হতে হবে। মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ব্যবসা করতে হবে, প্রচার-প্রসার করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

-আহমদ হুসাইন