ফানা-বাক্বার বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক-
আমর ইবনে আব্দে উদ্দকে হত্যা:
ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি আমর ইবনে আব্দে উদ্দকে বললেন, ‘তুমি না মহান আল্লাহ পাক উনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছো যে, যদি সম্মানিত কুরাইশ উনাদের কোনো ব্যক্তি তোমাকে বন্ধুত্বের দিকে আহ্বান করে তবে তুমি তা গ্রহণ করবে। ’ সে বললো, ‘হ্যাঁ; আমি তা বলেছি। ’ তিনি বললেন, ‘তাহলে শুনো-
فأنا أدعوك إلى الله وإلى رسول الله صلى الله عليه وسلم وإلى الإسلام فقال لا حاجة لي بذلك
‘আমি তোমাকে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, মহাসম্ বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَرَفَـعْنَا لَكَ ذِكْـرَكَ
অর্থ: “আর (আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যিকির মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আলোচনা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলাম নাশ্রহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূর বাকি অংশ পড়ুন...
সপ্তম প্রমাণ (১ম অংশ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ মুবারক উনার থেকে এই বিষয়টিও সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত- বর্তমানে যেসমস্ত অত্যাধুনিক অস্ত্র, এটম বোমা, হাইড্রোজেন বোমা, নিউট্রন বোমা, জীবাণু অস্ত্র, রাসায়নিক অস্ত্র, তেজষ্ক্রিয় অস্ত্র, পিস্তল, কামান, ট্যাঙ্ক, পারমাণবিক চুল্লি ইত্যাদি রয়েছে; হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম উনার সময় এই সমস্ত অত্যাধুনিক অস্ত্রপাতি থাকবে না। তখন থাকবে ঢাল, তলোয়ার, তীর, বল্লম, আর যুদ্ধের বাহন হিসেবে থাকবে ঘোড়া, উট ইত্যাদি। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, হযরত বাকি অংশ পড়ুন...
ফানা-বাক্বার বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক-
আমর ইবনে আব্দে উদ্দকে হত্যা:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দো‘আ মুবারক করেন-
اللهم إنك أخذت مني حضرت عبيدة بن الحارث رضى الله تعالى عنه يوم بدر وحضرت حمزة بن عبد المطلب عليه السلام يوم أحد وهذا أخي حضرت علي بن أبي طالب عليه السلام رب لا تذرني فردا وأنت خير الوارثين
‘আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমার থেকে বদরের দিন হযরত উবায়দাহ্ ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু বাকি অংশ পড়ুন...
মুক্বদ্দিমাহ্: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক কি? মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ফাত্হ মুবারক হচ্ছেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চুল মুবারক। যেহেতু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টির অন্য কারো মতো সম্বোধন মুবারক করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হয বাকি অংশ পড়ুন...
ষষ্ঠ প্রমাণ (তৃতীয় অংশ)
বর্তমানে মুসলমানদের এমন ভয়াবহ অবস্থা যে, বর্তমান যামানায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনাদের ভিতর সিসি টিভি রয়েছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! ইহুদী-নাছারা, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজূসী, মুশরিকরা সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান মুবারক নিয়ে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করছে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ ব্যঙ্গচিত্র করে যাচ্ছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল বাকি অংশ পড়ুন...
ফানা-বাক্বার বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক-
আমর ইবনে আব্দে উদ্দকে হত্যা:
খন্দকের সম্মানিত জিহাদ মুবারক সংঘটিত হয় ৬ষ্ঠ হিজরী শরীফ উনার শুরুর দিকে। ৬ষ্ঠ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে প্রায় এক মাস খন্দক খনন করা হয়। তারপর সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) মাসে খন্দকের মূল সম্মানিত জিহাদ মুবারক হয়। ‘খন্দক’ শব্দের অর্থ পরিখা বা গর্ত। যেহেতু এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার ৩ দিকে দীর্ঘ খন্দক বা পরিখা খনন করা হয়েছিল, তাই এই সম্মানিত জিহাদ মুবা বাকি অংশ পড়ুন...
ষষ্ঠ প্রমাণ (দ্বিতীয় অংশ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوْشِكُ الْمُسْلِمُوْنَ اَنْ يـُّحَاصَرُوْا اِلَى الْمَدِيْنَةِ حَتّٰى يَكُوْنَ اَبْعَدَ مَسَالِـحِهِمْ سَلَاحُ
অর্থ: “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, অদূর ভবিষ্যতে সম্মানিত মুসলমানগণ উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে অবরুদ্ধ হবেন এ বাকি অংশ পড়ুন...
ফানা-বাক্বার বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক-
কাট্টা কাফির আবূ রফেকে হত্যা:
কাট্টা কাফির কুখ্যাত ইহুদী আবূ রফের হত্যার সূত্রপাত হচ্ছে- আউস গোত্রের মুহম্মদ ইবনে মাসলামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি এবং অন্যান্য হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা যখন সম্মিলিতভাবে কাট্টা কাফির কা’ব বিন আশরাফকে হত্যা করলেন, তখন খাযরাজ গোত্রের হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা চিন্তা করলেন যে, উনারাও কাট্টা কাফির কা’ব বিন আশরাফের মতো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ফাতহ শরীফ উনার ৯ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّاۤ اَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا
অর্থ: ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে (আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) সাক্ষ্যদানকারী, প্রত্যক্ষদশীর্ হিসেবে প্রেরণ করেছি।’
জানা আবশ্যক, যিনি সাক্ষ্য দিবেন উনার জন্য যেরূপ হাযির বা উপস্থিত থাকা শর্ত, তদ্রƒপ নাযির বা দেখাও শর্ত।
কাজেই, বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট কুল-মাখলুক্বাতের সবকিছুই হাযির ও নাযির।
এটিই হচ্ছে বাকি অংশ পড়ুন...
১) তিনি নূরে মুজাসসাম।
২) তিনি হায়াতুন্ নবী।
৩) তিনি মুত্তালা আলাল গ্বইব।
৪) তিনি হাযির-নাযির।
বাকি অংশ পড়ুন...












