কাজেই চাল-চলন, আচার-ব্যবহার, পোশাক-পরিচ্ছদে কোন মতেই যেন তাদের কোন সৌন্দর্য প্রকাশ না পায়। সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন। সেদিক থেকে সাবধান থাকতে হবে।
কারণ, যদি তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ পায় এবং বেগানা পুরুষ আকৃষ্ট হয় তাহলে অবশ্যই সে زَانِيَةٌ অর্থাৎ ব্যভিচারিণী হিসেবে মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে সাব্যস্ত হবে। কিন্তু সে জানবে না, মনে করবে সে তো শরীয়ত মতই চলে, হয়ত সে বোরকাও পরেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বোরকার ভিতরে সে এমন সুঘ্রাণ ব্যবহার করতেছে অথবা সে রাস্তায় চলার সময় এমনভাবে হাঁটছে, তার সৌন্দর্য ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় প্রকাশ পেয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
যে ব্যক্তি পারলৌকিক সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত রয়েছে, বুঝতে হবে যে, সৌভাগ্যের পথে সে ব্যক্তি আদৌ চলেনি। না চলার কারণ অনুসন্ধান করলে জানা যাবে যে, সে ব্যক্তি সৌভাগ্যের পথ চিনতেই পারেনি অথবা চিনতে পেরেছিলো বটে, কিন্তু চলতে পারেনি। চিনেও চলতে না পারার কারণ অনুসন্ধান করলে বুঝা যাবে যে, প্রবৃত্তির কবলে বন্দী হয়ে পড়েছিলো। কুপ্রবৃত্তির সাথে সংগ্রাম করে জয়ী হতে পারেনি। সুতরাং পারলৌকিক সৌভাগ্যের পথ চিনেও প্রবৃত্তি কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে দ্বীনি পথে চলতে অক্ষম হয়েছিলো। যারা পারলৌকিক পথ চিনতেই পারেনি, সেদিকে চলতে না পেরে সৌভাগ্য হ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الَّذِينَ اتَّخَذُوا دِينَكُمْ هُزُوًا وَلَعِبًا مِّنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ وَالْكُفَّارَ أَوْلِيَاءَ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ ﴿٥٧﴾
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমাদের পূর্ববর্তী আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে যারা তোমাদের দ্বীন উনাকে খেল-তামাশা হিসেবে গ্রহণ করে এবং যারা কাফির, তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো যদি মু’মিন হয়ে থাকো। (পবিত্র সূরা মায়িদা: আয়াত শরীফ ৫৭)
বাকি অংশ পড়ুন...
আমরা জানি যে, প্রতিটি আরবী হরফ উনার নিজস্ব সাংখ্যমান রয়েছে। উল্লেখ্য, আমরা যেভাবে ‘আলিফ’, ‘বা’ এরপর ‘তা’ পড়ে এসেছি মক্তবের সিপারাহসমূহে, সাংখ্যমান অনুযায়ী আরবী মানের ক্রম সেরকম নয়। সাংখ্যমান অনুযায়ী ‘আলিফ’, ‘বা’ তারপর ‘জীম’ তারপর ‘দাল’ এরকম হয়ে থাকে। যেমন ‘আলিফ’ হরফ উনার সাংখ্যমান ১, ‘বা’ হরফ উনার ২। এভাবে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত সংখ্যা ও তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট আরবী হরফসমূহ হচ্ছে, আলিফ (ا) -১, বা (ب) -২, জীম (ج) -৩, দাল (د) -৪, ছোট হা (ه) -৫, ওয়াও (و) -৬, ঝা (ز) -৭, বড় হা (ح) -৮, তোয়া (ط) -৯, ইয়া (ي) -১০।
এরপর স্বাভাবিকভাবেই পরবর্তী মানটি ১০ এর পর হওয়ার কথা ১১। কিন্তু আ বাকি অংশ পড়ুন...
ঠিক অনুরূপ আরেকটা হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন-
قَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِمُ الْجَنَّةَ
‘মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ সমস্ত লোকদের জন্য জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন-
مُدْمِنُ الْخَمْرِ ، وَالْعَاقُّ ، وَالدَّيُّوثُ
এখানেও তিন প্রকার লোকের কথা বলা হয়েছে, তিন প্রকার লোকের জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি জান্নাতকে হারাম করে দিয়েছেন-
مُدْمِنُ الْخَمْرِ
যে দায়িমীভাবে শরাব পান করে সেই শরাবখোর।
وَالْعَاقُّ
পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান।
وَالدَّيُّوثُ
যে নিজের অধীনস্থ মহিলাদের পর্দা করায় না সে হচ্ছে দাইয়ূছ, সে জান্নাতে প্ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ أَمَرَ بِإِحْفَاءِ الشَّوَارِبِ وَإِعْفَاءِ اللِّحْيَةِ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করে বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন গোঁফ ছোট করার ও দাড়ি লম্বা করার। (দারহী কী শরয়ী হাইছিয়ত)
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فُضِّلْتُ عَلٰى الْاَنْبِيَاءِ بِسِتٍّ اُعْطِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ وَجُعِلَتْ لِيَ الاَرْضُ طَهُورًا وَمَسْجِدًا وَأُرْسِلْتُ اِلٰى الْخَلْقِ كَافَّةً وَخُتِمَ بِيَ النَّبِيُّونَ.
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সকল বাকি অংশ পড়ুন...
“তাফরিহুল আজকিয়া ফি আহ্ওয়ালিল আম্বিয়া” নামক কিতাব উনার ২য় খ- ১১০ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে যে, ইয়েমেনের বাদশাহ্ হযরত আসআদ বিন র্কাব তুব্বা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইরাক ও সিরিয়া জয় করার উদ্দেশ্যে বের হলে পথিমধ্যে তিনি আমিয়া শহরে (যা বর্তমানে পবিত্র মদীনা শরীফ নামে পরিচিত) সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সেটি দখল করে নেন এবং উনার পুত্রকে সেখানকার অধিকর্তা নিয়োগ করে দেশে ফিরে যান, কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই হযরত আসআদ বিন র্কাব তুব্বা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পুত্রকে কে বা কারা হত্যা করে।
পুত্র হত্যার সংবাদে তিনি এতোই প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠেন যে, আ বাকি অংশ পড়ুন...
হে রসূলে মাদানী
হন মাহবূবে সুবহানী
উম্মু রসূলী মণি
আরব নূরের খনি
খোদ আমার আল্লাহজী
আপনার ইশকে আজি
মুহব্বতে বলেন
ছল্লু আলা নাজি
এতো ইশকের কারসাজি
মাশুক আশিকী ধ্বণি
আপনারই নামেতে
সব সৃষ্টি ধরাতে
সব আলোকিত হয়
হাবীবী নূরেতে
মু’মিন ক্বলবেতে
আপনারই নাম শুনি
আপনাকে দেই সালাম
হে হাশেমী ইনাম
আপনি জানায় দিলেন
রিসালতী পয়গাম
নবুওওয়াত শিরোনাম
আখেরী রৌশনী
সেরা কামলিওয়ালা
ও মাদীনাওয়ালা
হে রসূল হে মাওলা
বানান আপনাওয়ালা
এই গরিবের মেলায়
তাকান একটুখানি
বাকি অংশ পড়ুন...
হে রসূলে মাদানী
হন মাহবূবে সুবহানী
উম্মু রসূলী মণি
আরব নূরের খনি
খোদ আমার আল্লাহজী
আপনার ইশকে আজি
মুহব্বতে বলেন
ছল্লু আলা নাজি
এতো ইশকের কারসাজি
মাশুক আশিকী ধ্বণি
আপনারই নামেতে
সব সৃষ্টি ধরাতে
সব আলোকিত হয়
হাবীবী নূরেতে
মু’মিন ক্বলবেতে
আপনারই নাম শুনি
আপনাকে দেই সালাম
হে হাশেমী ইনাম
আপনি জানায় দিলেন
রিসালতী পয়গাম
নবুওওয়াত শিরোনাম
আখেরী রৌশনী
সেরা কামলিওয়ালা
ও মাদীনাওয়ালা
হে রসূল হে মাওলা
বানান আপনাওয়ালা
এই গরিবের মেলায়
তাকান একটুখানি
বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَوْلَاكَ لَمَا خَلَقْتُ الْأَفْلَاكَ
পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, “আমি (মহান আল্লাহ পাক) আমার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি না করলে আসমান-যমীন কিছুই সৃষ্টি করতাম না।”
আরো ইরশাদ মুবারক করেন, আমার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর বাকি অংশ পড়ুন...












