পবিত্র কুরবানী উনার পশুর বৈশিষ্ট্য
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- فَصَلّ لِرَبّكَ وَانْـحَرْ ◌
অর্থ : “আপনার মহান রব তায়ালা উনার উদ্দেশ্যে নামায পড়–ন এবং কুরবানী করুন। ” (পবিত্র সূরা কাওছার শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২)
এখন কুরবানী করতে হলে কুরবানী উনার পশুর কতগুলো বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য রাখতে হয়। নি¤েœ সে বিষয়ে আলোচনা করা হলো-
ক) কুরবানী যোগ্য পশু গৃহপালিত হতে হবে বন্য পশু দ্বারা কুরবানী দেয়া নাজায়িয : ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে পবিত্র কুরবানী উনার জন্য পশুকে গৃহপালিত হওয়ার শর্ত বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি বাকি অংশ পড়ুন...
২০ পর্ব;
এটা হচ্ছে একটা ফযীলত এখানে বলা হয়েছে। আরেক পবিত্র হাদীছ শরীফে বলা হয়, যে পবিত্র হাদীছ শরীফ হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। এটা একটা লম্বা বড় হাদীছ শরীফ।
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ، قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ يَوْمُ عَرَفَةَ إِنَّ اللهَ يَـنْزِلُ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْـيَا فَـيُـبَاهِيْ بِهِمُ الْمَلَائِكَةَ فَـيَـقُوْلُ: انْظُرُوْا إِلٰى عِبَادِيْ أَتَـوْنِي شُعْثًا غُبْـرًا ضَاجِّيْنَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيْقٍ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ فَـيَـقُوْلُ الْمَلَائِكَةُ: يَا رَبِّ فُلَانٌ كَانَ يُـرَهَّقُ وَفُلَانٌ وَفُلَانَةُ قَالَ: يَـقُوْلُ اللهُ ع বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اجْتَنِبُوْا كَثِيْرًا مِّنَ الظَّنِّ اِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ اِثْـمٌ ۖ
অর্থ : “হে মু’মিনগণ! তোমরা অনেক ধারণা হতে বেঁচে থাক। নিশ্চয়ই কোন কোন ধারণা পাপজনক হয়ে থাকে।” (পবিত্র সূরা হুজুরাত শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১২)
উদ্ধৃত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে অনেক ধারণা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে অর্থাৎ অনুমান করে ধারণা করা সম্মানিত শরীয়তসম্মত নয়। সেজন্যই বলা হয়েছে যে, কোন কোন ধারণা পাপ বা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত।
যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرِتْ اَب বাকি অংশ পড়ুন...
ঘ) কুরবানীর পশুর রক্তের বিনিময়ে গুনাহখ¦তা ক্ষমা করা হবে : পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিনে বান্দার পবিত্র কুরবানী উনার পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই মহান আল্লাহ পাক তার গুণাহ মাফ করে দেন।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এ ব্যাপারে আরো বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي سَعِيدٍ الْـخُدْرِيِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا فَاطِمَةُ ع বাকি অংশ পড়ুন...
১৯
অন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলেছেন-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: حُجُّوْا
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা হজ্জ সম্পাদন করো যাদের হজ্জ ফরয হয়েছে। কেন?
فَإِنَّ الْـحَجَّ يَغْسِلُ الذُّنُـوْبَ
নিশ্চয়ই হজ্জ সমস্ত গুনাহগুলিকে ধুয়ে পরিস্কার করে দেয়, মা’ছূম নিস্পাপ করে দেয়।
كَمَا يَغْسِلُ الْمَاءُ الدَّرَنَ
যেমন পানি ময়লাগুলি দূর করে দেয়। ঠিক একইভাবে হজ্জ মানুষের সমস্ত গুনাহখাতাগুলি দূর করে মা বাকি অংশ পড়ুন...
১৮ পর্ব:
মহান আল্লাহ পাক যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক যিনি রব তিনি উনার পবিত্র কালাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে, আর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফে পবিত্র হজ্জ এবং উমরা সম্পর্কে বান্দা-বান্দি উম্মতদের জন্য বিস্তারিত ফাযায়িল-ফযীলত, মাসয়ালা-মাসায়িল, হুকুম-আহকাম বর্ণনা করেছেন। যে বিষয় উম্মতদের জন্য ইলিম অর্জন করা ফরয ওয়াজিবের অন্তুর্ভুক্ত। কারণ যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক যি বাকি অংশ পড়ুন...
৩২নং পবিত্র হাদীছ শরীফ
عن أُمِّ المُؤْمِنِينَ حضرت عائشة الصديقة عَلَيْهِا السَلَّامَ قَالتَ قَالَ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الخلق كلهم يصلون على معلم الخير حتى حيتان البحر অর্থ : “ উম্মুল মু”মিনীন আচ্ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাচ্ছালাম উনার থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সমস্ত মখলুক্বাত উত্তম শিক্ষকের জন্য ছলাত পাঠ করছেন বা মাগফিরাত কামনা করছেন, এমনকি সমূদ্রের মৎসকূলও। ” (দায়লামী শরীফ, কানযুল উম্মাল শরীফ/ বাকি অংশ পড়ুন...
পুলছিরাত হচ্ছে হাশর ময়দান থেকে জান্নাতে যাওয়ার পথে জাহান্নামের উপর একখানি পুল। বর্ণিত রয়েছে, এই পুল চুল অপেক্ষা চিকন এবং তলোয়ার বা ক্ষুর অপেক্ষা ধারালো। এই পুলছিরাত ৩০ হাজার বছরের রাস্তা। প্রত্যেককেই এই পুল ছিরাত পার হতে হবে। পুলছিরাত পার না হওয়া পর্যন্ত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। সাধারণভাবে এই পুলছিরাত পার হওয়া অত্যন্ত কঠিন। পুলছিরাত পার হওয়ার পথে যাদের বাহন থাকবে তাদের জন্য পুলছিরাত পার হওয়া সহজ হবে। আর পুলছিরাত পার হওয়ার সেই বাহন হচ্ছে কুরবানীর পশু। সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে একটি ওয়াক্বিয়া বর্ণিত রয়েছে যে, বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সুন্নত মুবারক অনুযায়ী আমল করতে হবে
হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, একদিন তিনজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আসলেন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। উনাদেরকে যখন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আমল-ইবাদত সম্পর্কে সংবাদ দেয়া হলো, তখন উনারা নিজেদের আমলগুলো কম মনে করলেন এবং বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনিতো উনার মহাসম্মানিত হাব বাকি অংশ পড়ুন...
কুরবানীদাতা উনার ফযীলত
পবিত্র কুরবানী উনার ফযীলত সম্পর্কে বহু পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে।
ক) প্রত্যেক পশমের বিনিময়ে নেকী বা ছওয়াব দেয়া হবে : পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ زَيِدِ بْنِ اَرْقَمَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ اَصْحَابُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! مَا هذِهِ الْاَ ضَاحِىْ؟ قَالَ سُنَّةُ اَبِيْكُمْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ الـسَّلاَمُ قَالُوْا فَمَا لَنَـا فِيْهَا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ بِكُلّ شَعْرَةٍ حَسَنَةٌ قَالُوْا فَالصُّوْفُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ بِكُلِّ شَعْرَةٍ বাকি অংশ পড়ুন...
১৭ পর্ব:
পূর্ব প্রকাশিতের পর
فَإِذَا قَدِمُوْا مَكَّةَ سَأَلُوا النَّاسَ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফে প্রবেশ করার পরেই সেই ইয়ামেনবাসী উনারা কি করতেন? মানুষের কাছে সুওয়াল করতেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করলেন,
فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالٰى
যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করলেন-
وَتَزَوَّدُوْا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوٰى
তোমরা পাথেয় অবলম্বন করো। উত্তম পাথেয় হচ্ছে তাক্বওয়া। উত্তম পাথেয় হচ্ছে তাক্বওয়ার অবলম্বন করা। মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, উনার আদেশ-নির্দেশ মুবারক পালন করো। তিনি যেভাবে বলেছেন সেভাবে করো। মনগড়া করল বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমানর মূল বিষয়। উনার সম্মানিত মুহব্বত ব্যতীত কেউই ঈমানদার বা মু’মিন মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত হবে না। পিতা-মাতা, আহলিয়া বা স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সকলের থেকে এমনকি নিজের মাল-সম্পদ, জান-জীবন অপেক্ষা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত না করা পর্যন্ত কেউ প্রকৃত ঈমানদার হতে পারবে না। বাকি অংশ পড়ুন...












