পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন কুরবানী করাই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল
বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে দশ বছর অবস্থান মুবারক করেছেন। প্রতি বছরই পবিত্র কুরবানী করেছেন; কখনও তা ছাড়েননি এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও পবিত্র কুরবানী করার ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ اَقَامَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِيْنَةِ عَشْرَ سِن বাকি অংশ পড়ুন...
১৬ পর্ব:
পূর্ব প্রকাশিতের পর
এখানে বিষয়গুলি স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে একজন মহিলা সারা পৃথিবীর মালিক হলেও তার জন্য হজ্জ ফরয হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তার সাথে মাহরাম না থাকবে। তার আহাল (স্বামী) অথবা মাহরাম। শুধু মাহরাম হলে চলবে না, সৎ চরিত্রবান মাহরাম হতে হবে। এটা শর্ত দেয়া হয়েছে। অন্যথায় তার হজ্জ কখনও ফরয হবে না। সারা পৃথিবীর সে মালিক হলেও। ঠিক একইভাবে পুরুষও যদি সারা পৃথিবীর মালিক হয়ে যায় তারও কিন্তু হজ্জ ফরয হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত এ সমস্ত খারাপ কাজ থেকে সে বেঁচে থাকতে না পারবে। যেটা বলা হচ্ছে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উন বাকি অংশ পড়ুন...
আইইয়ামে নহর বা পবিত্র কুরবানী উনার দিনে পবিত্র কুরবানী উনার পশু ব্যতীত অন্যান্য প্রাণী যবেহ করার বিধান :
মুসলমান উনাদের আইইয়ামে নহর বা পবিত্র কুরবানী উনার দিনে মজূসী বা অগ্নি উপাসকরা তাদের ধর্মীয় বিধান মুতাবিক হাঁস-মুরগি ইত্যাদি যবেহ করে থাকে। এখন যদি কোন মুসলমান তাদের সাথে মুশাবাহ বা সাদৃশ্য রেখে কুরবানী উনার দিন হাঁস-মুরগি ইত্যাদি যবেহ করে, তাহলে সেটা কুফরী হবে। কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَشَبَّهْ بِقَوْمِ فَهُوَ مِنْهُمْ.
অর বাকি অংশ পড়ুন...
১৫ পর্ব:
যেটা অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হচ্ছে-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ وَّجَبَ عَلَيْهِ الْـحَجُّ وَلَـمْ يَـحُجَّ فَلَا اَدْرِىْ علَيْهِ يَـمُوْتُ عَلٰى غَيْرِ مِلَّةِ الْإِسْلَامِ
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যার প্রতি হজ্জ ফরয হলো, ওয়াজিব হলো
وَلَـمْ يَـحُجَّ
সে হজ্জ পালন করলো না
فَلَا اَدْرِىْ علَيْهِ يَـمُوْتُ عَلٰى غَيْرِ مِلَّةِ الْإِسْلَامِ
আমি জানি না অর্থাৎ সে ইসলামের বাইরে, বেদ্বীন-বদদ্বীন হয়ে সে মারা যাবে। নাউযুুবিল্লাহ! বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: ফরয নামাযের পর সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা, আযানের পর হাত উঠিয়ে মুনাজাত করা, জানাযার নামাযের পর হাত উঠিয়ে মুনাজাত করা বিদয়াত ও নাজায়িয। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: ফরয নামাযের পর ও জানাযার পর সম্মিলিতভাবে হাত উঠিয়ে মুনাজাত করা সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আযানের পরও হাত উঠিয়ে মুনাজাত করা জায়িয ও মুস্তাহাব।
[এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ৩০, ৫২, ৫৬, ৬১, ৭২, ৭৩, ৭৪, ৭৫, ৭৮, ৮০, ৮২, ৮৩, ৮৪, ৮৫ ও ১০৭তম সংখ্যাগুলো পাঠ করুন।]
[দলীলসমূহঃ দুররুল মান বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন খাদ্য গ্রহণের নিয়ম সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ بُرَيْدَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لاَ يَـخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَأْكُلَ وَكَانَ لاَ يَأْكُلُ يَوْمَ النَّحْرِ حَتَّى يَرْجِعَ.
অর্থ : “হযরত ইবনে বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র ঈদুল ফিত্বর উনার দিন কিছু না খেয়ে বের হতেন না। আর পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন বাকি অংশ পড়ুন...
১৪ পর্ব-যেখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِـيْ هُرَيْـرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ، قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ حَجَّ لِلّٰهِ فَـلَمْ يَـرْفُثْ وَلَـمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَـوْمِ وَّلَدَتْهُ أُمُّهٗ
হযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ حَجَّ لِلّٰهِ
যে মহান আল্লাহ পাক যিনি খলি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে গান-বাজনার শরয়ী ফায়ছালা
সবশেষে ক্বাছীদা শরীফ এবং গান-বাজনার একটি তুলনামূলক আলোচনা করা যাক, যাতে মানুষ বুঝতে পারে কিভাবে মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামি‘উল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আমাদের হিফাজত করে যাচ্ছেন।
গান-বাজনা ক্বাছীদা শরীফ
ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হারাম হালাল বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার নামায আদায় করার সুন্নতী ওয়াক্ত
সকাল বেলা সূর্য পূর্ণভাবে উদিত হওয়ার পর থেকে (অর্থাৎ মাকরূহ ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর থেকে অথবা সূর্য উদয়ের শুরু থেকে ঘড়ির মিনিট অনুযায়ী ২৩ মিনিট পর) পবিত্র ঈদ উনার নামাযের ওয়াক্ত শুরু হয়। আর যাহওয়াতুল কুবরা বা যাওয়াল অথবা শরয়ী অর্ধদিন বা দ্বিপ্রহর অর্থাৎ সূর্যের ইস্তাওয়া আরম্ভ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পবিত্র ঈদ উনার নামাযের ওয়াক্ত থাকে।
ফজরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর ২৩ মিনিট পর্যন্ত মাকরূহ ওয়াক্ত এবং এরপর পবিত্র ঈদ উনার নামাযের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং ছলাতুল যুহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার ১ ঘ বাকি অংশ পড়ুন...
১৩ পর্ব:
পূর্ব প্রকাশিতের পর
সেটাই পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করে বলা হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ، قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِّمَا بَيْنَهُمَا وَالْـحَجُّ الْمَبْرُوْرُ لَيْسَ لَهٗ جَزَاءٌ إِلَّا الْـجَنَّةُ
হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-
اَلْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِّمَا بَيْنَهُمَا
কেউ যখন উমরাহ করে। হজ্জে তো গুনাহখতা মাফ হয়েই থাকে। যখন সে বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এটাও বর্ণিত রয়েছে। পবিত্র হাজরে আসওয়াদ, সেখানে চুম্বন করলে গুনাহখতাগুলো চুষে নেয়। যদি তার পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি না করুন যদি পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব না হয় তাহলে কিন্তু পবিত্র হজরে আসওয়াদ তার গুনাহ চুষে নেয় না বরং তার প্রতি লা’নত দেয়। নাউযুবিল্লাহ! যার ফলশ্রুতিতে পর্যায়ক্রমে তার আমলগুলো আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ! এখন একটা লোকের যদি পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব হয় তাহলে তার আমলগুলো শুদ্ধ হবে। সমস্ত হারাম থেকে, কুফরী থেকে, শিরিকী থেকে সে বেঁচে থ বাকি অংশ পড়ুন...
মানব হৃদয়ের যাবতীয় আকাঙ্খার মধ্যে ভোজনাকাঙ্খা সবচেয়ে প্রবল। মূলত ভোজনাকাঙ্খাই মানুষের অন্যান্য সমস্ত আকাঙ্খার মূল। ভোজন দ্বারা উদর পরিতৃপ্ত হলেই কাম-রিপু প্রবল হয়ে উঠে। আর ভোজনাকাঙ্খা ও কাম উগ্রতাকে চরিতার্থ করতে হলে অর্থকড়ির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এই প্রবৃত্তি দুটির সাথে সাথেই ধন সংগ্রহের লালসার উদয় হয়। ধনউপার্জন ও সঞ্চয়ের লক্ষ্যে প্রভাব-প্রতিপত্তির লিপ্সাও জেগে উঠে। এরপর নিজেই সেই ধন-সম্পদ এবং প্রভাব-প্রতিপত্তি রক্ষার জন্য মানুষের সাথে বিবাদ-বিসম্বাদ এবং কলহ-কোন্দলে লিপ্ত হতে হয়। এই কলহ-কোন্দল থেকেই আবার পরস্পরের মধ্যে বাকি অংশ পড়ুন...












