ইবলীস মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রুশয়তান মানুষের মধ্যে ফেৎনা তৈরি করে কিভাবে? তার একটা মেছাল কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এক বুযূর্গ ব্যক্তি, ওলীআল্লাহ তিনি বর্ণনা করেন, তিনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন, ইবলীস এক জায়গায় দাঁড়ানো।
তিনি ইবলীসকে দেখে বললেন, ইবলীস! তুমি এখানে কি করো? নিশ্চয়ই তোমার আশে-পাশে ফেতনা লাগিয়েছ।
সে বললো- না হুযূর! সে কোন ফেতনা করেনি। সেই বুযূর্গ ব্যক্তি একটু সামনে গেলেন। গিয়ে দেখেন মারামারি হচ্ছে।
তিনি বললেন, হে ইবলীস! তুমি নিশ্চয়ই মারামারির মূল। সে বললো- হুযূর! সে মারামারি লাগায়নি। কি করেছ তুমি?
সে বললো, সে- শ বাকি অংশ পড়ুন...
বিলাদত শরীফ: ২২ হিজরী।
বিছাল শরীফ: ১১০ হিজরী।
বয়স মুবারক: ৮৮ বছর।
পরবর্তী জীবনের বিভিন্ন ঘটনা:
হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে একবার প্রশ্ন করা হলো, আপনি কি কখনও কোন কারণে খুশি হয়েছেন? তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ, একদিন আমি আমার কামরায় বসে আছি। এমন সময় এক প্রতিবেশিনীকে তার আহালকে সম্বোধন করে বলতে শুনলাম, প্রায় পঞ্চাশ বছর হলো আমি আপনার সংসারে আছি। এ সুদীর্ঘ সময়ে আপনি আমাকে যা দিয়েছেন, তাতেই আমি ছবর করেছি। শীত ও গ্রীষ্মে আপনার নিকট বাড়তি কিছু চাইনি। আপনার দরিদ্রতাকে সহানুভূতির সাথে গ্রহণ করেছি। কখনও কারো নিকট আপনার বদনাম বাকি অংশ পড়ুন...
উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পিতা হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত জাহ্শ আলাইহিস সালাম। তিনি ছিলেন বনূ আসাদ গোত্রের। তিনি উনার মহাসম্মানিত পিতা আলাইহিস সালাম উনার দিক থেকে ১০ম পুরুষ হয়ে ১১তম পুরুষে যেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! যেমন-
اُمُّ الْمُؤْمِنِيْنَ السَّابِعَةُ سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ اَطْوَلُ يَدًا عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُنَا حَضْرَتْ زَيْنَبُ عَلَيْهَا السَّلَامُ) بِنْتُ جَحْشِ بْنِ رِئَابِ بْنِ يَعْمَرَ بْنِ صبْرَةَ بْنِ مُر বাকি অংশ পড়ুন...
১৩ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নেয়ার ধারাবাহিকক্রম মুবারক অনুযায়ী সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন ‘আস সাবি‘আহ্ অর্থাৎ সপ্তম’ বাকি অংশ পড়ুন...
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত অন্য কাউকে যদি বন্ধুরূপে কবুল করতাম তবে, তিনি হতেন আফদ্বালুন ন বাকি অংশ পড়ুন...
বিলাদত শরীফ: ২২ হিজরী। বিছাল শরীফ: ১১০ হিজরী। বয়স মুবারক: ৮৮ বছর।
পরবর্তী জীবনের বিভিন্ন ঘটনা: একদিন একটি কুকুর দেখে হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, আয় মহান আল্লাহ পাক! আখিরাতে আমাকে এ কুকুরের সাথে উঠাবেন। এ কথা শুনে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, আপনি উত্তম, না এ কুকুরটি উত্তম? হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, কিয়ামতের ময়দানে যদি আযাব থেকে পরিত্রাণ পাই, তাহলে আমাকে উত্তম বলতে পারো। নতুবা আমার মত হাসান বছরীর চেয়ে কুকুরটিই উত্তম। (তাযকিরাতুল আওলিয়া)
বর্ণিত আছে যে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি শুনতে পেলেন ক বাকি অংশ পড়ুন...
(১)
ইয়া সারিয়া! আল-জাবাল। ইয়া সারিয়া! আল জাবাল। পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ উনার জুমুয়ার খুতবা মুবারক পাঠ করা অবস্থায় আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি হঠাৎ করে এরূপ অপ্রাসঙ্গিক বাক্য মুবারক উচ্চারণ করায় উপস্থিত সবাই অবাক বিস্মিত। আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যথারীতি উনার পবিত্র খুতবা মুবারক পাঠ করতে থাকেন।
পবিত্র খুতবা উনার মাঝে হঠাৎ আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উন বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুহব্বত ঈমান এবং উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী।”
সঙ্গতকারণেই উনার শান মুবারক সম্পর্কে অবগত হওয়া সকলের জন্য ফরয। নিম্নে উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহে উমরী মুবারক আলোচনা করা হলো।
মুবারক নসবনামা:
আমিরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নসবগতভাবে সম্পৃক্ত বাকি অংশ পড়ুন...
বেহেশতের প্রতিটি দরজা মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে আহবান করবে। উম্মতের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম বেহেশতে প্রবেশ করবেন। এতোসব মর্যাদাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও তিনি বলতেন, “আফসুস! আমি যদি গাছ হতাম, যা কেটে ফেলা হয়।” অনেক সময় বলতেন, “আমি যদি ঘাস হতাম, যা পশু খেয়ে ফেলতো।” আবার কোনো সময় বলতেন, “আমি যদি কোনো মু’মিনের গায়ের পশম হতাম।” সুবহানাল্লাহ!
(১)
একদিন তিনি জঙ্গলে গিয়ে একটি জানোয়ারকে বসা অবস্থায় দেখতে পেয়ে এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “হে জানোয়ার! তুমি কত সুখে-শান্তিতে আছো, খাও, পান করো, বৃক্ষের ছায়ায় বিচরণ বাকি অংশ পড়ুন...
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهٗ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أَوَّلَ النَّاسِ يُقْضٰى يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَيْهِ رَجُلٌ اُسْتُشْهِدَ فَأُتِىَ بِهٖ فَعَرَّفَهُ نِعَمَهٗ فَعَرَفَهَا قَالَ فَمَا عَمِلْتَ فِيهَا قَالَ قَاتَلْتُ فِيكَ حَتّٰى اُسْتُشْهِدْتُّ. قَالَ كَذَبْتَ وَلَكِنَّكَ قَاتَلْتَ لِأَنْ يُّقَالَ جَرِىءٌ. فَقَدْ قِيلَ.ثُمَّ أُمِرَ بِهٖ فَسُحِبَ عَلٰى وَجْهِهٖ حَتّٰى أُلْقِىَ فِى النَّارِ.
وَرَجُلٌ تَعَلَّمَ الْعِلْمَ وَعَلَّمَهٗ وَقَرَأَ الْقُرْآنَ فَأُتِىَ بِهٖ فَعَرَّفَهُ نِعَمَهٗ فَعَرَفَهَا قَالَ فَمَا عَمِلْتَ فِيهَا قَالَ تَعَلَّمْتُ الْعِلْمَ وَعَلَّمْتُهٗ وَقَرَأْتُ فِيك বাকি অংশ পড়ুন...
বিলাদত শরীফ: ২২ হিজরী।
বিছাল শরীফ: ১১০ হিজরী।
বয়স মুবারক: ৮৮ বছর।
পরবর্তী জীবনের বিভিন্ন ঘটনা:
এ ঘটনায় শামাউন অনুতপ্ত হয়ে হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে আরজ করল, হে হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি! সত্তর বছর বয়স পর্যন্ত আমি অগ্নির উপাসনায় কাটিয়ে দিলাম। এখন মাত্র কয়েকটি শ্বাস অবশিষ্ট আছে। এ অবস্থায়ও যদি কোন উপায় থাকে তাহলে সময় বিনষ্ট না করে আমাকে বলুন। হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, তোমার উদ্ধার পাওয়ার এখনও একটি মাত্র উপায় আছে। তা হচ্ছে দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করা। শামাউন বলল, যদি আপনি আমাকে এ মর্মে একখা বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
এখন উনার আওলাদ যাঁরা যমীনে এসেছেন, দু’জন হচ্ছেন খাছ- হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম, হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম। উনাদের আওলাদ যাঁরা রয়েছেন উনারাই হচ্ছেন আওলাদে রসূল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদগণ যমীনে ক্বিয়ামত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এটা হচ্ছে উনার একটা বিশেষ খুছূছিয়ত মুবারক। সমস্ত মানুষ তাদের বংশধারা, নসবনামা জারি থাকে ছেলের মাধ্যম দিয়ে। কিন্তু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর প বাকি অংশ পড়ুন...












