সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
, ১৩ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৮ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
হযরত সুমাইয়্যাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার বেনযীর দৃষ্টান্ত মুবারক:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
أَوَّلُ شَهِيدٍ كَانَ فِي الْإِسْلَامِ سيدتنا حضرت أُمُّ عَمَّارٍ سُمَيَّةُ رضى الله تعالى عنها طَعَنَهَا أَبُو جَهْلٍ بِحَرْبَةٍ
অর্থ: “সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রথম শহীদ হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু আম্মার সুমাইয়্যাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি। উনাকে কাট্টা কাফির আবূ জাহিল বর্শা দ্বারা আঘাত করে শহীদ করে। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (দালাইলুন নুবুওওয়াহ্ লিল বাইহাক্বী ১৩১ নং পৃষ্ঠা)
কাজেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার রাস্তায় অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের জন্য সর্বপ্রথম যিনি সম্মানিত শাহাদাত মুবারক গ্রহণ করেন, তিনি হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত সুমাইয়্যাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি। উনার সম্মানিত আহাল হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। উনার আওলাদ হচ্ছেন বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আম্মার রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। উনার নাম মুবারক অনুযায়ী সাইয়্যিদাতুনা হযরত সুমাইয়্যাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু আম্মার রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা’ এই কুনিয়াত মুবারক গ্রহণ করেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছেন, উনার আরেকজন আওলাদ ছিলেন- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত সুমাইয়্যাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি যখন বার্ধক্যে উপনিত হন, তখন সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রকাশ ঘটেন। সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রকাশের শুরুর দিকেই তিনি, উনার সম্মানিত আহাল সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি এবং উনাদের আওলাদ হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি অর্থাৎ উনারা একসাথে গোপনে সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম ক্ববূল করেন এবং পরে উনারা প্রকাশ্যে সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন। সুবহানাল্লাহ! কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে সর্বপ্রথম যে সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা প্রকাশ্যে সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেন, উনাদের মধ্যে উনারা অন্যতম। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত মুবারক-এ উনারা এমনই ফানা ও বাক্বা ছিলেন যে, উনারা মৃত্যুকে বিন্দুমাত্র পরওয়া করেননি। সুবহানাল্লাহ! উত্তপ্ত বালুকারাশির উপর শোয়ানো থেকে শুরু করে সর্বপ্রকার যুলুম-নির্যাতন উনাদের উপর করা হতো; কিন্তু উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত মুবারক-এ সবকিছু হাসি মুখে সহ্য করে নিতেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عن حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِحَضْرَتْ عَمَّارٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَأَهْلِهِ وَهُمْ يُعَذَّبُونَ فَقَالَ أَبْشِرُوا آلَ عَمَّارٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَآلَ يَاسِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَإِنَّ مَوْعِدَكُمُ الْجَنَّةُ
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জা’ফর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেন,) নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে, সাইয়্যিদুনা হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু আম্মার রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে যখন কষ্ট দেয়া হচ্ছিলো, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের নিকট দিয়ে অতিক্রম মুবারক করার সময় ইরশাদ মুবারক করেন- ‘হে হযরত আম্মার রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার পরিবারগণ! হে হযরত ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার পরিবারগণ! আপনারা সুসংবাদ মুবারক গ্রহণ করুন। নিশ্চয়ই আপনাদের স্থায়ী ঠিকানা হচ্ছেন সম্মানিত জান্নাত মুবারক। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা আপনাদের প্রতি সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করছেন’। ” সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরকে হাকিম ৩/৩৮৮, কানযুল উম্মাল ১৩/৫২৯, তারীখে দিমাশক্ব লি ইবনে আসাকির ৪৩/৩৭১, তারীখুল ইসলাম লিয যাহাবী ১/২১৮ ইত্যাদি)
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন,
أَنَّ سيدتنا حضرت سُمَيَّةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا أُمَّ حضرت عَمَّارٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَذَّبَهَا هَذَا الْحَيُّ مِنْ بَنِي الْمُغِيرَةِ عَلَى الْإِسْلَامِ وَهِيَ تَأْبَى حَتَّى قَتَلُوهَا وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمُرُّ بحَضْرَتْ عَمَّارٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَأُمِّهِ وَأَبِيهِ وَهُمْ يُعَذِّبُونَ بِالْأَبْطَحِ فِي رَمْضَاءِ مَكَّةَ فَيَقُولُ صَبْرًا يَا آلَ يَاسِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَإِنَّ مَوْعِدَكُمُ الْجَنَّهُ
অর্থ: “সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার কারণে উম্মু আম্মার সাইয়্যিদাতুনা হযরত সুমাইয়্যাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনাকে মুগীরাহ্ গোত্র বিভিন্নভাবে কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু তিনি সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম ত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন। যার কারণে উনাকে তারা শহীদ করেছে। যখন হযরত আম্মার রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে এবং উনার সম্মানিত পিতা-মাতা উনাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার উত্তপ্ত উপত্যকায় কষ্ট দেয়া হচ্ছিলো, তখন উনাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করতেন- ‘হে হযরত ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার পরিবারগণ! আপনারা ধৈর্য ধারণ করুন। নিশ্চয়ই আপনাদের স্থায়ী ঠিকানা হচ্ছেন সম্মানিত জান্নাত মুবারক। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা আপনাদের প্রতি সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করছেন’। ” সুবহানাল্লাহ! (শু‘আবুল ঈমান ৩/১৭২)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عن سَيِّدِنَا حَضْرَتْ ذى النورين عَلَيْهِ السَّلَامُ (سَيِّدِنَا حَضْرَتْ عثمان عَلَيْهِ السَّلَامُ) قال بينما أنا أمشي مع رسول الله صلى الله عليه وسلم بالبطحاء إِذ بحَضْرَتْ عَمَّارٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وأبيه وأمه يعذبون في الشمس ليرتدّوا عن الإِسلام فقال سَيِّدِنَا حَضْرَتْ أبو عمّار رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ يا رسول الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الدهرَ هكذا فقال صبراً يا آل ياسر رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اللَّهمَّ إغفر لآل ياسر رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমি (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার) একটি উপত্যকায় হাঁটছিলাম। তখন দেখলাম- হযরত আম্মার রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে এবং উনার সম্মানিত পিতা-মাতা উনাদেরকে সূর্যের উত্তপ্ত রৌদ্রের মধ্যে কঠিন যুলুম-নির্যাতন করা হচ্ছে যেন উনারা সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম থেকে ফিরে আসেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! তখন সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ আম্মার রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এভাবে কতদিন চলবে? সময়টা এমনই। ’ জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হে হযরত ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার পরিবারগণ! আপনারা ধৈর্য ধারণ করুন। (তারপর তিনি উনাদের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দো‘আ মুবারক করেন,) আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি হযরত ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার পরিবার-পরিজন উনাদের মর্যাদা মুবারক বৃদ্ধি করে দিন’। ” সুবহানাল্লাহ! (কানযুল উম্মাল)
একবার কাফিররা সারাদিন উত্তপ্ত রোদ্রে কঠিন যুলুম-নির্যাতন করার পর সাইয়্যিদাতুনা হযরত সুমাইয়্যাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি প্রতিদিনের ন্যায় সন্ধ্যায় বাড়িতে গেলেন। তখন উনাকে কাট্টা কাফির আবূ জাহিল কঠিন অশ্লীল-অশালীন ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত সুমাইয়্যাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার লজ্জাস্থানের দিকে সে বর্শা নিক্ষেপ করে উনাকে শহীদ করে। না‘ঊযুবিল্লাহ!
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
أَنَّ أَبَا جَهْلٍ طَعَنَهَا فِي قُبْلِهَا بِحَرْبَةٍ فِي يَدِهِ فَقَتَلَهَا فَهِيَ أَوَّلُ شَهِيدٌ فِي الإسْلامِ وَكَانَ قَتْلُهَا قَبْلَ الهِجْرَةِ وَكَانَتْ مِمَّنْ أَظْهَرَ الإِسْلَامَ بِمَكَّةَ فِي أَوَّلِ الإسلام
অর্থ: “কাট্টা কাফির আবূ জাহিল স্বহস্তে উনার সম্মুখভাগে বর্শা নিক্ষেপ করে উনাকে শহীদ করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! তিনিই হচ্ছেন সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রথম শহীদ। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হিজরত মুবারক উনার পূর্বেই উনাকে শহীদ করা হয়েছে। আর তিনিই হচ্ছেন সেই সম্মানিতা হযরত মহিলা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ-এ থাকা অবস্থায় প্রকাশ্যে সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার বিষয়টি ঘোষণা করেন। ” সুবহানাল্লাহ! (উসদুল গ¦াবাহ্ ৩/৩৬৯)
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সূত্রে বর্ণিত রয়েছেন যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সুমাইয়্যাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনাকে আবূ জাহিল বল্লম মেরে শহীদ করে। কঠিন যুলুম-অত্যাচারের কারণে সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনিও শাহাদাত মুবারক গ্রহণ করেন। আর হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকেও তীরবিদ্ধ করে শহীদ করা হয়। না‘ঊযুবিল্লাহ!
হযরত মুজাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
أول شهيد في الإسلام سيدتنا حضرت سمية رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا والدة حضرت عمار بن ياسر رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وكانت عجوزا كبيرة ضعيفة ولما قتل أبو جهل يوم بدر قال النبيّ صلّى اللَّه عليه وسلّم لحضرتْ عَمَّارٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قتل اللَّه قاتل أمّك
অর্থ: “সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রথম শহীদ হচ্ছেন হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্মানিতা মাতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু আম্মার রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি। উনি ছিলেন খুবই বয়স্কা দূর্বলা। সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক-এ যখন কাট্টা কাফির আবূ জাহিলকে হত্যা করা হয়, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (অত্যন্ত খুশি মুবারক প্রকাশ করেন এবং) হযরত আম্মার রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার সম্মানিতা মাতা উনার শহীদকারীকে হত্যা করেছেন’। ” সুবহানাল্লাহ! (আল ইছাবাহ্ ৮/১৯০, ইবনে সা’দ)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত খলীফা উনার অনুসরণ-অনুকরণ করা ফরয
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত খলীফা উনার নিকট আনুগত্যতার বাইআত গ্রহণ করা ফরয
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই দায়িমীভাবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ পালন করতেই থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘উম্মী’ শব্দ নিয়ে বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারের চূড়ান্ত জবাব (১৬)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত খলীফা উনার শর্তাবলী
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক উনার গুরুত্ব এবং আবশ্যকতা:
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে সিব্তু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস মুবারক
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক উনার উৎস:
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা সারা কায়িনাত
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)