চতুর্থ প্রমাণ (তৃতীয় অংশ)

বর্তমান সময়টা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নির্দিষ্ট সময়:

এই কথা বলার আর অপেক্ষাই রাখে না যে, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের প্রত্যেক শাসকই হচ্ছে- চরম অত্যাচারী, যালিম, লুটেরা, স্বৈরাচার, গোমরাহ্, পথভ্রষ্ট, বিভ্রান্ত, গোমরাহ্কারী, পথভ্রষ্টকারী, বিভ্রান্তকর। কারণ, ইচ্ছায় হোক; আর অনিচ্ছায় হোক- তারা প্রত্যেকেই ইহুদী, খ্রিস্টান ও কাফির, মুশরিকদের গোলাম, তাদের একান্ত অনুগত ভৃত্য, তাদের একান্ত এজেন্ট অর্থাৎ দালাল। আর যারা ইহুদী, খ্রিস্টান ও কাফির, মুশরিকদের গোলাম, তাদের একান্ত অনুগত ভৃত্য, তাদের একান্ত এজেন্ট অর্থাৎ দালাল তারা কখনোই সৎ ও ইনছাফগার শাসক হতে পারে না। আর বর্তমানে সারা বিশ্বে গণতন্ত্র প্রবেশ করেছে অর্থাৎ বর্তমানে সারা বিশ্বে চলছে অত্যাচারী, যালিম, লুটেরা, স্বৈরাচার, গুমরাহ্, পথভ্রষ্ট, বিভ্রান্ত, গুমরাহ্কারী, পথভ্রষ্টকারী, বিভ্রান্তকারী শাসকদের শাসন ব্যবস্থা। আর যেখানে ইসলাম বিধ্বংসী গণতন্ত্র সরাসরি প্রবেশ করেনি, সেখানেও রয়েছে ইহুদী, খ্রিস্টান ও কাফির, মুশরিকদের খাছ গোলাম, তাদের একান্ত অনুগত ভৃত্য, তাদের একান্ত এজেন্ট অর্থাৎ দালাল- যারা তাদের পা চাটা গোলাম হয়ে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছে। তারাও চরম অত্যাচারী, যালিম, লুটেরা, স্বৈরাচার, গুমরাহ্, পথভ্রষ্ট, বিভ্রান্ত, গুমরাহ্কারী, পথভ্রষ্টকারী, বিভ্রান্তকর শাসক। তারাও গণতান্ত্রিক শাসকদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়; বরং ক্ষেত্র বিশেষ আরো বেশি। যেমন- মুনাফিক্ব সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার। সে নিজেকে মুসলমানদের প্রাণকেন্দ্র মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনাদের খাদিম দাবি করে। অথচ সে তার মুনীব ইহুদী, খ্রিস্টান ও কাফির, মুশরিকদেরকে খুশি করার লক্ষ্যে তাদেরই একান্ত গোলাম হয়ে, তাদেরই নির্দেশে ঠা-া মাথায় চাঁদের তারীখ পরিবর্তন করার মাধ্যমে প্রতি বছর বিশ্বের কোটি কোটি সম্মানিত মুসলমান উনাদের পবিত্র হজ্জসহ অন্যান্য বিশেষ বিশেষ ইবাদত-বন্দেগীগুলো নষ্ট করে যাচ্ছে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনাদের ভিতর স্থাপন করেছে অসংখ্য সিসিটিভি। না‘ঊযুবিল্লাহ! সে খোদ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সবুজ গম্বুজ মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সম্মানিত রওযা শরীফ গুঁড়িয়ে দিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসম অর্থাৎ শরীর মুবারক) অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! তারই সহায়তায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনাদের হোটেলগুলোতে চলছে সমস্ত প্রকার শরীয়ত গর্হিত হারাম-নাজায়িয কার্যকলাপ। না‘ঊযুবিল্লাহ! সেখানকার সম্মানিত মুসলমান উনারা স্বধীনভাবে মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম পালন করতে পারছেন না, মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার কথা বলতে পারছেন না। যদি কেউ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ সম্মত মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার কোনো কথাও বলেন, আর তা যদি ওই মুনাফিক্ব ওহাবী ইহুদী সরকারের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে ওই মুনাফিক্ব ওহাবী ইহুদী সরকার এতোই নিকৃষ্ট যে, সে রাতারাতি ওই ব্যক্তি উনাকে গুম করে দেয়, শহীদ করে ফেলে। না‘ঊযুবিল্লাহ! এই কাট্টা মুনাফিক্ব, কাট্টা কাফির ওহাবী ইহুদী সরকারের আমল-আখলাক্ব ইহুদী, খ্রিস্টান ও কাফির, মুশরিকদের থেকেও অনেক অনেক গুণ বেশি নিকৃষ্ট। এমন কোনো হারাম ও নাজায়িয কাজ নেই, যা সে করে না। এই স্বল্প পরিসরে তার সেই সমস্ত হারাম, নাজায়িয ও কুফরী, শিরকীমূলক কার্যকলাপের ফিরিস্তি তুলে ধরা আদৌ সম্ভবপর নয়। মূলত, সে দাজ্জালের চেয়েও অধিক নিকৃষ্ট, গুমরাহ্, পথভ্রষ্ট। না‘ঊযুবিল্লাহ! এই যদি হয় সম্মানিত মুসলমান উনাদের প্রাণকেন্দ্র মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ভূমি উনার মধ্যে অবস্থিত শাসক সউদী ওহাবী সরকারের অবস্থা! তাহলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সরকারদের অবস্থা যে আরো কত করুণ, আরো কত নাজুক, আরো কত নিকৃষ্ট, আরো কত খারাপ, আরো কত নীচ, আরো কত হীন, তা বলার অপেক্ষাই রাখে না। না‘ঊযুবিল্লাহ!

সুতরাং, এখান থেকে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠলো যে, বর্তমান বিশ্বে যত সরকার রয়েছে, যত শাসক রয়েছে- হোক সম্মানিত মুসলমান উনাদের দেশে অথবা কাফিরদের দেশে, তারা প্রত্যেকেই চরম অত্যাচারী, যালিম, লুটেরা, স্বৈরাচার, গুমরাহ্, পথভ্রষ্ট, বিভ্রান্ত। শুধু তাই নয়; তারা গুমরাহ্, পথভ্রষ্ট, বিভ্রান্ততো অবশ্যই, এমনকি তারা জোরপূর্বক সাধারণ লোকদেরকেও গুমরাহ্, পথভ্রষ্ট, বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! কজেই, নিঃসন্দেহে তারা চরম গুমরাহ্কারী, পথভ্রষ্টকারী, বিভ্রান্তকারীও বটে। আর তাদেরই কারণে আজ পুরো পৃথিবী ফিতনা-ফাসাদ, বেপর্দা-বেহায়া, অত্যাচার-অবিচার, যুুলুম-নির্যাতনে, কুফরী-শিরকী, হারাম-নাজায়িয কার্যকলাপে, বেইনছাফীতে ভরে গেছে। কোথায়ও সম্মানিত ইনছাফ উনার লেশমাত্র অবশিষ্ট নেই।

আর এই কঠিন সময়েই দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে উনার একজন আখাছ্ছুল খাছ আওলাদ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ এবং পূর্ববর্তী আসমানী কিতাব মুবারক উনাদের মধ্যে বর্ণিত ১২ জন মহান খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে ১০ম খলীফা মহাসম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই, উনার মুবারক উসীলায় বর্তমান যামানায় অতিশীঘ্রই এদেশে, সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হবেই হবে ইনশাআল্লাহ। এখানে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। কেননা, এটা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। আর এটা সকলেরই জানা রয়েছে যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ দ্বারা ফায়ছালাকৃত কোনো বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করলে, কোনো চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করলে, কস্মিনকালেও ঈমাদার থাকা যায় না; বরং ঈমান হারা হয়ে কাফির হয়ে যায়। না‘ঊযুবিল্লাহ!

কাজেই, কেউ যদি মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি যে, অতিশীঘ্রই এদেশে, সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক প্রতিষ্ঠা করবেন- এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ পোষণ করে, কোনো প্রকার চূ-চের, ক্বীল-ক্বাল করে, তাহলে সে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ উনাদের বিরোধিতাকারীদের মধ্যে শামিল হবে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।