মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আখাছছুল খাছ দয়া, দান-ইহসান মুবারকে উম্মাহর জন্য খাছ করে মহিলাদের জন্য বেমেছাল রহমত-বরকত মুবারক নিয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র ৭ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফে দুনিয়ার যমীনে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেছেন। যিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নন। এছাড়া সমস্ত মর্যাদা-মর্তবা মুবারক, ফযীলত মুবারক উনাদের মহাসম্মানিতা মালিকা আলাইহাস সালাম।

উনার পবিত্র ছোহবত মুবারকে যারাই আসেন এবং উনাকে মুহব্বত করেন, উনারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বেমেছাল নেয়ামত, রহমত, বরকত মুবারক লাভ করে থাকেন এবং অসংখ্য মহাসম্মানিত কারামত মুবারক অবলোকন করে থাকেন। যা সাধারণ মানুষের চিন্তা-ফিকিরেরও উর্দ্ধে। তিনি যে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কত বড় মনোনীত মাহবূবা তা উনার মহাসম্মানিত কারামত মুবারক উনাদের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠে।

উনার অসংখ্য-অগণিত কারামত মুবারকসমূহের মধ্যে একটি কারামত মুবারক উল্লেখ করা হলো:-

একজন পীরবোনের অনেক ইচ্ছা তিনি উনার মেয়েকে পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার বালিকা মাদ্রাসায় (ভর্তি করাবেন) পড়াবেন। কিন্তু উনার আহাল কিছুতেই সম্মতি দিচ্ছিলোনা। প্রায় ৪ বছর সেই পীরবোন তিনি উনার আহালকে বুঝিয়েছেন। তবুও উনার আহাল রাজি হচ্ছিলোনা। হঠাৎ একরাতে পীরবোন স্বপ্নে দেখেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সেই পীরবোনের ঘরে মহাসম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিছেন। তখনও সেই পীরবোন তিনি খুব চিন্তিত ছিলেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সেই পীরবোনকে চিন্তিত দেখে উনার মহাসম্মানিত কোল মুবারকে নিয়ে ইরশাদ মুবারক করলেন, এতো চিন্তা করিও না। ইনশাআল্লাহ! এই বছরেই তোমার মেয়ে (পবিত্র দরবার শরীফ উনার বালিকা মাদ্রাসায়) ভর্তি হবে। এই স্বপ্ন দেখার ঠিক এক সপ্তাহ পর সেই পীরবোনের আহাল তিনি নিজ ইচ্ছায় উনার মেয়েকে পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার বালিকা মাদ্রাসায় ভর্তি করান। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য, সেই পীরবোন কিন্তু সরাসরি কিংবা স্বপ্নে উনার এই মনের আরজী, চিন্তার বিষয়টি কোন ভাবেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার নিকট প্রকাশ করতে পারেন নি। কিন্তু উনার মনের এই আরজী সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি অত্যন্ত দয়া-দান ইহসান মুবারক করে উনার মহাসম্মানিত কারামত মুবারক উনার মাধ্যমে তা পূরণ করে দিয়ে সেই পীরবোনকে চিন্তা মুক্ত করে; বেমেছাল ইতমিনান মুবারক দান করেন। এভাবেই তিনি সকল ছালিক-ছালিকাদের আরজী মুবারক পূরণ করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

أَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِيْ إِذَا أَصَابَكَ ضُرٌّ فَدَعَوْتَهٗ كَشَفَهٗ عَنْكَ وَإِنْ أَصَابَكَ عَامُ سَنَةٍ فَدَعَوْتَهٗ أَنْبَتَهَا لَكَ وَإِذَا كُنْتَ بِأَرْضٍ قَفْرَاءَ أَوْ فَلَاةٍ فَضَلَّتْ رَاحِلَتُكَ فَدَعَوْتَهٗ رَدَّهَا عَلَيْكَ‏.

অর্থ: আমি সেই মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যাকে তুমি বিপদে পড়ে ডাকলে তিনি তোমার বিপদ দূর করেন; দুর্ভিক্ষের সময়ে উনাকে ডাকলে তিনি তোমার জন্য খাদ্যশস্য উৎপাদন করেন; ঘাস-পানিহীন মরু প্রান্তরে তোমার সওয়ারী হারিয়ে গেলে উনাকে ডাকলে তিনি তোমার নিকট তা ফিরিয়ে দেন। (আবূ দাউদ শরীফ)

উপরোক্ত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিসদাক্ব হচ্ছেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি। তিনিও সমস্ত ছালিক-ছালিকার বিপদ-আপদে, দুঃখ-কষ্টে শাফায়াত মুবারক করে সর্বাবস্থায় ইতমিনান মুবারক দান করেন। সুবহানাল্লাহ!

-আহমদ হুসাইন