‘কুরবানী’ শব্দের অর্থ
‘কুরবানী’ শব্দটি আরবী قُرْبَانٌ ‘কুরবান’ শব্দ হতে উদ্ভূত যার শাব্দিক অর্থ নৈকট্য, যা শব্দমূল قُرْب ‘র্কুব’ শব্দ থেকে উদ্গত। নিকটবর্তী হওয়া বা নৈকট্য লাভ করা, বিলীন হওয়া, উৎসর্গ করা অর্থে قُرْبَانٌ ‘কুরবান’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে قُرْبَانٌ ‘কুরবান’ শব্দটি মোট তিন জায়গায় ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ উনার ১৮৩ নং আয়াত শরীফ, পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ উনার ২৭ নং আয়াত শরীফ এবং পবিত্র সূরা আহক্বাফ শরীফ উনার ২৮ নং আয়াত শরীফ। এছাড়া পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কুরবান বাকি অংশ পড়ুন...
(৩)
পূর্ব প্রকাশিতের পর
মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট এখানে বলে দিয়েছেন।
مَوَاقِيْتُ لِلنَّاسِ وَالْـحَجِّ
মানুষের জন্য সময় নিরুপক এবং পবিত্র হজ্জ পালনের জন্যও। এটা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, তিনি যেহেতু ওহী মুবারক ব্যতীত কোন কথা বলেন না।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْـهَوٰى. إِنْ هُوَ اِلَّا وَحْيٌ يٌّوحٰى
তিনি ওহী মুবারক ব্যতীত কোন কথা মুবারক বলেন না, কোন কাজ মুবারকও করেন না। সুবহানাল্লাহ! তখন মহান বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার সূরা দ্বুহা শরীফ উনার ১১নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ইরশাদ মুবারক করেন,
وَاَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ.
অর্থ মুবারক: “আপনার রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে যেই সম্মানিত নিয়ামত মুবারক দিয়েছেন, সেই সম্মানিত নিয়ামত মুবারক সম্পর্কে আপনি বর্ণনা করুন।”
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَلنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيْرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالىَ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلتَّحَدَّثُ بِنْعَةِ اللهَ شُكْرٌ وَّتَرْكُهَا كُفْرٌ وَّ مَنْ لَّا يَشْكُرِ الْقَلِيْلَ لَا يَشْكُرِ الْكَثِيْرَ وَ مَنْ لَّا يَشْكُر বাকি অংশ পড়ুন...
( ২ )
আরেক পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تعالٰى عَنْهُ قَالَ سَأَلَ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَا حَبِيْبَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! ومَا السَّبِيْلُ؟ قَالَ زَادٌ وَّ رَاحِلَةٌ
হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে যে বলেছেন সাবীলার কথা
مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيْلًا
এর অর্থ কি? নূরে মুজাসসাম, হাবী বাকি অংশ পড়ুন...
২ যিলক্বদ শরীফ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উখতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিনার রদ্বয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
৭ যিলক্বদ শরীফ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম বিলাদতী শান মুবারক উনার আদাদ শরীফ।
৮ যিলক্বদ শরীফ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার নিসবাতুল আযীম শরীফ। এ মহাসম্মানিত দিবসে পর্দা ফরয হওয়ায় এ দিবসকে “বিশ্ব পর্দা মুবারক দিবস বাকি অংশ পড়ুন...
আমরা মুসলমান, আমরা ঈমানদার। আমাদের পবিত্র ঈমান উনার যিনি মূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে পবিত্র ঈমান আনার কারণে, আক্বীদা শুদ্ধ রাখার কারণে আমরা মুসলমান। তাহলে বুঝা গেল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি আমার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বান্দাদের প্রতি ইহসান করে ও ইহসান করার জন্য পাঠিয়েছি। তিনি বান্দাদেরকে কিতাব শিক্ষা দিবেন, হিকমত শিক্ষা দিবেন, পবিত্র আয়াত শরীফসমূহ তিলাওয়াত করে শুনাবেন এবং তাযকিয়াহ বা ইছলাহ করবেন। ”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তাযকিয়াহ বা হাক্বীক্বী ইছলাহ ছাড়া কোনো বান্দার পক্ষে কামিয়াবী হাছিল করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উ বাকি অংশ পড়ুন...
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান ক্বওল শরীফ :খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরবানী উনার সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন-
لَنْ يَّنَالَ اللهَ لُـحُوْمُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلكِنْ يَنَالُهُ التَّقْو বাকি অংশ পড়ুন...
মহাপবিত্র কুরআন শরীফ এবং মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে-
পবিত্র হজ্জ এবং পবিত্র উমরাহ উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, হুকুম-আহকাম সম্পর্কে
(১)اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَ رَحْـمَةُ اللهِ.
اَلْـحَمْدُ لِلّٰهِ نَـحْمَدُهٗ وَ نَسْتَعِيْنُهٗ وَنَسْتَغْفِرُهٗ وَ نُؤْمِنُ بِهٖ وَ نَتَوَكَّلُ عَلَيْهِ وَ نَعُوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُوْرِ أَنْفُسِنَا وَمِنْ سَيِّاٰتِ اَعْمَالِنَا مَنْ يَّهْدِي اللهُ فَلَا مُضِلَّ لَهٗ وَ مَنْ يُّضْلِلْهُ فَلَا هَادِيَ لَهٗ وَ نَشْهَدُ أَنْ لَّا إلٰهَ إلَّا اللهُ وَ نَشْهَدُ أَنَّ سَيِّدَنَا نَبِيَّنَا حَبِيْبَنَا شَفِيْعَنَا مَوْلٰنَا مُـحَمَّدًا عَبْدَهٗ وَ رَسُوْلُهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. أَمَّا بَعْدُ: فَأَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ. ب বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত যাকাত উনার টাকা দিয়ে ব্যবহার অযোগ্য নিম্নমানের কাপড় ক্রয় ও তা গরীবের মাঝে বিতরণ সম্মানিত যাকাত ইহানত করার শামীল : বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, সম্মানিত যাকাত উনার টাকা-পয়সা দিয়ে এমন নি¤œমানের শাড়ী-লুঙ্গি ক্রয় করে যা ব্যবহারের অযোগ্য। যা সম্মানিত যাকাতদাতা ও তার পরিবার-পরিজন কখনোই সেটা পরিধান করবে না।
অথচ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يُؤْمِنُ اَحَدُكُمْ حَتّٰى يُـحِبَّ لِاَخِيْهِ مَا يُـحِبُّ لِنَفْسِهٖ.
অর্থ : “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উ বাকি অংশ পড়ুন...
সমঝ ও বিচক্ষণতা-২
খ. লোকটি মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করলো, নামাযে প্রবেশ করা হয় ফরযের মাধ্যমে না পবিত্র সুন্নত উনার মাধ্যমে? তিনি বললেন, ফরযের মাধ্যমে। লোকটি বলল, ভুল হয়েছে। তিনি আবার বললেন, পবিত্র সুন্নত উনার মাধ্যমে। সে বলল, তাও ভুল। অতঃপর সে নিজেই সঠিক কথা ব্যক্ত করে বলল, উভয়টির মাধ্যমেই মানুষ নামাযে প্রবেশ করে। কেননা তাকবীরে তাহরীমা ফরয এবং রফয়ে ইয়াদাইন সুন্নত।
গ. তৃতীয় মাসায়ালা জিজ্ঞাসা করলো, চুলার উপর ডেগ রয়েছে। তাতে গোশত ও শুরা। উপর থেকে একটি পাখি এতে পড়ে মরে যায়। এমতাবস্থায় ডেগের তরকারি খাওয়া জায়িয হবে কিনা? তিনি বললেন, খাওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: বাতিলপন্থীরা বলে থাকে যে, মৃত ব্যক্তিকে কবরস্থ করার পর কবরের উপর আযান দেয়া সুন্নত। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: মৃত ব্যক্তিকে দাফনের পর কবরের উপর আযান দেয়া বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্। কেননা কুরআন শরীফ-সুন্নাহ্ শরীফ-এর কোথাও কবরের উপর আযান দেয়ার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়না। বরং তালক্বীনের প্রমাণ পাওয়া যায়। তালক্বীন হলো মৃত ব্যক্তিকে দাফনের পর সকলে কবরের পাশে দাঁড়াবে এবং একজন (মুনকির-নকীর কবরে মৃত ব্যক্তিকে যে প্রশ্নগুলো করে থাকে) সে প্রশ্নগুলো উচ্চারণ করবে আর সকলেই তার জবাব দিবে। এটাই মূলতঃ খাছ সুন্নত বাকি অংশ পড়ুন...












