নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম ইরশাদ মুবারক করেন,
رَحِـمَكِ اللهُ يَا اُمِّىْ كُنْتِ اُمِّىْ بَعْدَ اُمِّىْ وتُشْبِعِيْـنِـىْ وَتَـعْرَيْنَ وتُكْسِيْـنِـىْ وَتَـمْنَعِيْـنَ نَـفْسَكِ طَيِّبًا وَتُطْعِمِيْـنِـىْ
অর্থ: “হে আমার মহাসম্মানিত মাতা! মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার প্রতি সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করুন। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার পরে আপনি ছিলেন আমার মহাসম্মানিত মাতা আলাইহাস সালাম। আপনি আমাকে পরিতৃপ্ত করতেন- আপনি না পরে আমাকে পরাতেন এবং ভালো কিছু নিজে না খেয়ে আমাকে খাওয়াতেন। (আল মু’জামুল কাবীর লিত্ব বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
এখন “সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ” এই লক্ববে তিনি মশহূর। উনি হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম। এখন উনাকে সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম এটা বললেই উনার পরিচয় হয়ে যায়। যারা উনার সম্পর্কে জানে, যারা মুসলমান, ঈমানদার কম-বেশি কিছু পড়াশুনা করে থাকে বা এই বিষয়ে চিন্তা-ফিকির করে থাকে, আলোচনা করে থাকে। উনার খুছূছিয়ত, উনার বৈশিষ্ট্য বেমেছাল। উনার তো অসংখ্য অগণিত, লক্ষ কোটি লক্বব মুবারক রয়েছে।
৮
উনাদের খুছূছিয়ত বৈশিষ্ট্য বলার অপেক্ষা রাখে না।
পবিত্র হাদীছ শরীফ-এ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالَّذِيْنَ يُؤْذُوْنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ بِغَيْرِ مَا اكْتَسَبُوْا فَقَدِ احْتَمَلُوْا بُهْتَانًا وَّإِثْمًا مُّبِيْنًا
অর্থ: যারা বিনা অপরাধে ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার মহিলাদের কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্যে পাপের বোঝা বহন করে। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কোন ব্যক্তি অপর কাউকে ফাসিক বলবে না এবং কুফরীর অপবাদও দিবে না। কেননা সেই ব্যক্তি সেরূপ না হলে তবে তার অপবাদ নিজের উপরই বর্তাবে। (বুখারী শরীফ বাকি অংশ পড়ুন...
যারা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাযহাব ও পবিত্র হাদীছ শরীফ নিয়ে গবেষণা করেন, তাদের অবশ্যই এ বাস্তবতা স্বীকার করতে হবে যে, হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অন্যান্য মুজতাহিদদের তুলনায় পবিত্র হাদীছ শরীফ অনুযায়ী আমল করার ক্ষেত্রে বেশি কঠোর ছিলেন। বরং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের আছার অনুযায়ী আমল করার বিষয়টি ছিল উনার মাযহাবের একটি অন্যতম মূলনীতি।
পক্ষান্তরে কোন কোন ইমামের মাযহাব হলো- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের আছার বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আনাস বিন নদ্বর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন একজন সুবিখ্যাত ছাহাবী। তিনি কোন কারণবশতঃ ঐতিহাসিক বদরের জিহাদে অংশ নিতে পারেননি। এতে উনার ঈমানদীপ্ত হৃদয়ে প্রতিনিয়ত প্রচ- অনুতাপ নাড়া দিত। সম্মানিত দ্বীন ইসলামের প্রথম জিহাদে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য অর্জন না হওয়ার মর্মপীড়ায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন, আবার যদি জিহাদের কোন ডাক আসে তবে তিনি তাতে জান-মাল কুরবান করে উনার অতৃপ্ত বাসনা পূর্ণ করবেন। অবশেষে ঐতিহাসিক উহুদ প্রান্তরের জিহাদে তিনি শরীক হওয়ার মহা সৌভাগ্য অর্জন করলেন। সুবহানাল্লাহ! উল্লেখ্য, উক্ত জিহাদ চলাকালীন বীর মুজাহিদ হ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
পবিত্র হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحِبُّوا اللهَ لِمَا يَغْذُوكُمْ بِهِ مِنْ نِعْمَةٍ، وَأَحِبُّونِي لِحُبِّ اللهِ، وَأَحِبُّوا أَهْلَ بَيْتِي لِحُبِّي
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَحِبُّوا اللهَ
তোমরা যিনি খালিক্ব¡ যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো।
لِمَا يَغْذُوكُمْ بِهِ مِنْ نِعْمَةٍ
কেন মুহব্বত করবে? কারণ যিনি খালিক্ব¡ যি বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত খাজা সাইয়্যিদ আব্দুল্লাহ আকবরাবাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমার শায়েখ হযরত আদম বিন নূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবার শরীফে পৌঁছে লক্ষ্য করলাম যে, হযরত শায়েখ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ সকল উনার বাড়ির যাবতীয় কাজ নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নিয়েছেন। কোন একটি কাজও ফেলে রাখা হয়নি। সুতরাং বেশ কিছুদিন আমাকে অপেক্ষা করতে হলো।
অবশেষে একদিন লক্ষ্য করলাম যে, বন-জঙ্গল থেকে কাঠ আনার দায়িত্বে যারা নিয়োজিত, তারা দৈহিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল ও জীর্ণ-শীর্ণ। এ দায়িত্ব পালন করা তাদের পক্ষে কিছুতেই সম্ভব নয়। আর আমি যেহেতু সুস্বাস্থ বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম তিনি মিশরের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর যখন দুর্ভিক্ষ দেখা দিল, তখন ঐ দুর্ভিক্ষের প্রভাব গড়াতে গড়াতে কিনয়া’নে সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়া’কূব আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফ পর্যন্ত পৌছে যায়। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়া’কূব আলাইহিস সালাম তিনি উনার আওলাদগণকে লক্ষ্য করে বললেন যে, হে আমার আওলাদগণ! আমি জানতে পেরেছি মিশরে একজন নতুন দায়িত্বশীল দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। যিনি অত্যান্ত সৎ ও দয়ালু। এই দুর্ভিক্ষের সময় তিনি মানুষের অভাব-অনটন দূর করার জন্য সামান্য অর্থ-কড়ির বিনিময়ে উট বোঝাই খাদ্যশস্য দিয়ে থাকে বাকি অংশ পড়ুন...
৯০নং পবিত্র হাদীছ শরীফ
عن حضرت عثمان عَلَيْهِ السَلَّامَ قَالَ قَالَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ العلماء أمناء أمتي অর্থ : “হযরত উসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আলিমগণ হচ্ছেন আমার উম্মতের আমানতদার (বিশ্বস্ত বা নিরাপত্তা দানকারী)।” (দায়লামী শরীফ/৪২১১, ফায়জুল ক্বাদীর/৫৭০২, কানযুল উম্মাল শরীফ/২৮৬৭২)
৯১নং পবিত্র হাদীছ শরীফ
عَنْ حَضْرَتْ أنس بن مالك رَضِيَ اللهُ تَعَالـٰى বাকি অংশ পড়ুন...












