নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তো জানেন তারপরেও তিনি এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি যে জামা মুবারক হাদিয়া করেছিলেন সেটাতো সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনি অনেক পছন্দ করেছিলেন, মুহব্বত করেছিলেন। উনার অন্তর চাচ্ছিল না সেটা দিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু যেহেতু যিনি খালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, পছন্দনীয় জি বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদী, নাসারা, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সমস্ত কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীনরা ছলে, বলে, কৌশলে মুসলমানদের জাহিরী-বাতিনী তথা সর্বোত ক্ষতি সাধনে তৎপর। যার বাস্তবতা দেখতে পাই আমাদের দেশেও। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন, তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে কোনঠাসা করার লক্ষ্যে এই কাফির গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেণীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোন বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সা¤্রাজ্যবাদীরা দেশের আদালতকে ব্যবহার করছে।
তাই, বর্তম বাকি অংশ পড়ুন...
দুনিয়ার মুহব্বতের কারণে মানুষ একজন আর একজনের সম্পদ লুটপাট করে থাকে। সম্পদ আহরনের সময় বৈধ-অবৈধ সে খেয়াল করে না, যার জন্য সে গুণাহগার হয়ে যায়। হযরত হাতেম আছেম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, আমি যখন চিন্তা করলাম এবং এই পবিত্র আয়াত শরীফ ফিকির করলাম যে মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেককেই তার সম্পদ যথাযথভাবে বন্টন করে দিয়েছেন, চিন্তা ফিকিরের কোন ব্যাপারই নেই। আমার যা রয়েছে, তকদিরে সেটা তো অবশ্যই আসবে। কাজেই শরীয়ত সম্মত যা কোশেশ করা দরকার, সেই কোশেশ আমি করে যাব, আর আমার যেটা সেটা আমার কাছে আসবেই। কাজেই বৈধ-অবৈধ অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, অবৈ বাকি অংশ পড়ুন...
এবং এর বিনিময়ে উনারা কিছুই চাচ্ছেন না। শুধু সন্তুষ্টি তলব করেছেন। বিষয়টা ঠিক এই রকমই। উনাদের মর্যাদা-মর্তবা, ফযীলত বেমেছাল। যেটা পবিত্র হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে-
قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيِّدَةُ نِسَاءِ اَهْلِ الْجَنَّةِ حَضْرَتْ فَاطِمَةُ الزَّهْرَاءُ عَلَيْهَا السَّلَامُ بِضْعَةٌ مِنِّىْ فَمَنْ اَحَبَّهَا فَقَدْ اَحَبَّنِىْ وَمَنْ اَغْضَبَهَا اَغْضَبَنِىْ.
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
سَيِّدَةُ نِسَاءِ اَهْلِ الْجَنَّةِ حَضْرَتْ فَاطِمَةُ الزَّهْرَاءُ عَلَيْهَا السَّلَامُ بِضْعَةٌ مِنِّىْ
সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করলে বা উনার অনুমতি মুবারক ব্যতীত চলে গেলে মুরীদের শুধু পরকালীন ক্ষতিই হয় না বরং অনেক সময় দুনিয়াবী নানা প্রকার মুছিবতেও গ্রেফতার হতে হয়।
নিম্নলিখিত ঘটনাটিই এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সুলত্বানুল আউলিয়া হযরত জা’ফর জালদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী। উনার হামযাহ আলভী নামক একজন খাছ মুরীদ ছিলেন। তিনি সর্বদা স্বীয় শায়েখের দরবার শরীফে থেকে মুর্শিদ ক্বিবলা উনার খিদমত মুবারকে আঞ্জাম দিতেন। একবার হঠাৎ উনার মনে বাড়ী যাওয়ার ইচ্ছা হল বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “দুনিয়ার মুহব্বত সমস্ত গুনাহের মূল, দুনিয়ার মুহব্বত তরক করা সমস্ত ইবাদতের মূল।” সুবহানাল্লাহ!
প্রত্যেক আদম সন্তানের অন্তরে দুনিয়ার মুহব্বত থাকে, দুনিয়ার মুহব্বত অন্তরে থাকলে ইচ্ছা অনিচ্ছায় মানুষ দুনিয়ার দিকে ঝুঁকে যায়। মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের থেকে দূরে সরে যায়। নাউযূবিল্লাহ! এই দুনিয়ার মুহব্বত যদি অন্তর থেকে বের করে দেওয়া যায় তাহলে ইচ্ছা অনিচ্ছায় বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খলিক্ব, যিনি মালিক, যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন -
قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّوْنَ اللَّـهَ فَاتَّبِعُوْنِيْ يُحْبِبْكُمُ اللَّـهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَاللَّـهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
অর্থঃ আমার মহা সম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি জীন-ইনসান সারা কায়িনাত কে বলে দিন তোমরা যদি মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত-মারিফত চাও তাহলে আমাকে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তেবা করে,অনুসরণ করে। আর তাহলে মহান আ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
এখন রোযা রেখেছেন ইফতার করবেন, ইফতারের সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে বা বন্দোবস্তও করা হয়েছে। এমন সময় একজন ইয়াতীম এসে উনাদের বাড়ির দরজায় হাক দিলো যে, আমাকে দয়া করে কিছু খাদ্য দান করুন, আমি কয়েকদিন ধরে না খাওয়া রয়েছি।
যখন সে ইয়াতীম ছেলে হাক দিল তখন সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আসাদুল্লাহিল গালিব হযরত ইমামুল আউওয়াল র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন, আমরাতো গত রাতে সাহরী করেছি; এখন এই ইয়াতীম বলতেছে, সে কয়েকদিন ধরে না খাওয়া তাহলে আমাদের ইফতারীর যা ব বাকি অংশ পড়ুন...
কেউ কেউ برنس ‘বুরনুস’ শব্দের উপর ভিত্তি করে বলে থাকে যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও বিশেষজ্ঞ আলিমগণ কিস্তি টুপি পরিধান করেছেন। কেননা برنس ‘বুরনুস’ শব্দের একাধিক অর্থের মধ্যে একটি অর্থ হলো- “লম্বা টুপি”। সুতরাং কিস্তি টুপি পরিধান করাও সুন্নত। তাদের বক্তব্যের জবাবে প্রথমতঃ বলতে হয় যে, برنس ‘বুরনুস’ শব্দের উপর ভিত্তি করে কিস্তি টুপিকে সুন্নত বলা জিহালত বা মূর্খতার চরম বহিঃপ্রকাশ। মূলতঃ যারা এরূপ বলে, তারা “বুরনুস” শব্দের হাক্বীক্বত মোটেও বুঝেনি। কারণ برنس ‘বুরনুস’ শব্দের একাধিক অর্থের মধ্যে একটি অর্থ যদিও বাকি অংশ পড়ুন...
নাসী বা মাসের তারিখ হেরফের করা একটি জঘন্যতম কুফরী কাজ যা কুফরীকে আরো বৃদ্ধি করে
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّـمَا النَّسِيءُ زِيَادَةٌ فِي الْـكُفْرِ ۖ يُضَلُّ بِهِ الَّـذِيْنَ كَفَرُوْا يُـحِلُّونَهٗ عَامًا وَيُـحَرِّمُوْنَهٗ عَامًا لِّيُوَاطِئُوْا عِـدَّةَ مَا حَرَّمَ اللهُ فَيُحِـلُّوْا مَا حَرَّمَ اللهُ ۚ زُيِّنَ لَـهُمْ سُوْءُ اَعْـمَالِـهِمْ ۗ وَاللهُ لَا يَـهْدِي الْقَوْمَ الْـكَافِرِيْـنَ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই নাসী বা মাসকে আগে পিছে করা কুফরীকে বৃদ্ধি করে থাকে। এর দ্বারা কাফিরেরা গুমরাহীতে নিপতিত হয়। তারা (ছফর মাসকে) এক বছর হালাল করে নেয় এবং আরেক বছর হারাম বাকি অংশ পড়ুন...
বুদ্ধিমত্তা
ইমামুল মুহাদ্দিসীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন প্রত্যুৎপন্নমতি। অসাধারণ উপস্থিত বুদ্ধি সম্পন্ন। যে কেউ যখনই কোন প্রশ্ন করতেন তা দুনিয়াবী হউক বা উখরোবী হউক তিনি তৎক্ষণাৎ তার জাওয়াব দিতে পারতেন। সুবহানাল্লাহ!
একদিন শহরে একটি ময়ুর চুরি হয়। ময়ূরের মালিক সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন। তিনি নামায শেষ হওয়ার সাথে সাথে মসজিদে দাঁড়িয়ে বললেন, ময়ূর চোরের লজ্জা করে না যে, সে নামায পড়ে আর তার মাথায় ময়ূরের পালক বাকি অংশ পড়ুন...












