পরিচিতি মুবারক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা মাতা আলাইহাস সালাম উনার পর যিনি সম্মানিতা মাতা আলাইহাস সালাম। উম্মে আয়মান উনার উপনাম। আয়মান নামে উনার একজন সন্তান ছিলেন। উনার দিকে সম্পর্কিত হয়ে তিনি এই কুনিয়াত বা উপনামে অভিহিত হন। উনার আসল ইসিম বা নাম মুবারক হচ্ছেন, হযরত বারাকাহ্ বিনতু ছা‘লাবা বিন আমর বিন মালিক আলাইহাস সালাম।
উনার সম্মানিত কুনিয়াত মুবারকসমূহ হচ্ছেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু আয়মান আলাইহাস সালাম, হযরত উম্মু উসামাহ্ আলাইহাস সালাম, হযরত উম্মুয যিবা’ আলাইহা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র দ্বীন ইসলাম এমন একটি দ্বীন যার মাঝে রয়েছে ইহকাল পরকালের সকল বিষয়ের সঠিক সমাধান। মুসলমানগণ উনারা কি খাবেন, কি খাবেন না, কি পরবেন, কি পরবেন না- সবই বিশদভাবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মাঝে বর্ণনা করা হয়েছে।
সকলেরই জানা আছে প্যান্ট-শার্ট হচ্ছে কাফির পুরুষদের পোশাক। ইহা কোনো মুসলমান পুরুষ বা মহিলার পোশাক না। মুসলমান পুরুষগণ উনারা পরবেন সুন্নতী কোর্তা, ইযার বা লুঙ্গী, সেলোয়ার বা পাজামা, মাথায় সুন্নতী টুপি, পাগড়ী, রুমাল ইত্যাদি। আর মুসলমান মহিলা উনারা পরবেন ক্বমীছ, সেলোয়ার বা পাজামা, মাথায় বড় ওড়না। আর ঘর থেকে বের হলে পরবেন সুন্নত বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
اَعْلَمُ النِّسَاءِ
“আ’লামুন নিসা” মহিলাদের মধ্যে সর্বাধিক জ্ঞানের অধিকারিণী তিনি। সুবহানাল্লাহ!
اَتْقَى النَّاسِ
সবচেয়ে মুত্তাক্বী পরহেযগার মানুষদের মধ্যে, মহিলাদের মধ্যে।
اَحَبُّ النِّسَاءِ اِلَى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
মানুষের মধ্যে, মেয়েদের মধ্যে তিনি উনার সবচেয়ে বেশি পছন্দনীয় ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
উনার খুছূছিয়ত বৈশিষ্ট্য মুবারক হলো যে, তিনি একজন মেয়ের পর্দার যে গুরুত্ব, খুছূছিয়ত সেই জিনসটা বুঝিয়ে দিলেন।
অন্য এক হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রখ্যাত ও মশহূর লোগাত আল মুনজিদে উল্লেখ আছে-
البرنس، وہ لمبی ٹوپی جو آغاز اسلام میں پھنی جاتی تھی
অর্থ: “বুরনুস ঐ লম্বা টুপিকে বলে, যা দ্বীন ইসলামের প্রাথমিক যুগে পরিধান করা হতো।” শুধু তাই নয়, কিতাবসমূহে “বুরনুস” টুপিকে বেদ্বীন-বদদ্বীন, বিশেষ করে খৃষ্টানদের টুপি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যেমন- ছহীহ নাসাঈ শরীফের ২য় খ- ৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
البرنس، بالضم- کلاہ دراز کہ ترسایار می پوشند
অর্থ: বা-অক্ষরের উপর পেশ দিয়ে ‘বুরনুস’ শব্দের অর্থ হলো- লম্বা টুপি, যা অগ্নি উপাসকরা পরিধান করে।” বিশ্ববিখ্যাত ফার্সী লোগাত ‘লোগাতে সাঈদী’তে উল্লেখ আছে-
برنس، ایک قسم کی ٹوپی جو آتش پرس বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি মুবারক
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত নাম মুবারক হচ্ছেন হযরত উম্মে হাবীবা বিনতে আবি সুফিয়ান আলাইহাস সালাম। তিনি কুরাইশ গোত্রের উমাইয়া শাখার অন্তর্ভূক্ত। হযরত হাবীবাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মেয়ের নাম, সেজন্য হযরত উম্মে হাবীবা আলাইহাস সালাম এই কুনিয়াত মুবারকেই তিনি প্রসিদ্ধ হয়েছেন। উনার প্রকৃত নাম মুবারক ছিল হযরত রামলা আলাইহাস সালাম। উনার পিতা হযরত আবু সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি দ্বীন ইসলাম গ্রহণের পূর্বে কুরাঈ বাকি অংশ পড়ুন...
জাহান্নামে ইয়াযীদ লানাতুল্লাহি আলাইহির কঠিন শাস্তি সম্পর্কে বর্ণনা:
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে যে-
قَاتِلُ الْـحُسَيْنِ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِـىْ تَابُوْتٍ مِّنْ نَّارٍ عَلَيْهِ نِصْفُ عَذَابِ اَهْلِ الدُّنْيَا.
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তি শহীদ করবে, তাকে জাহান্নামে আগুনের বক্সে রাখা হবে। সমস্ত দুনিয়াবাসী তথা সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত জিন-ইনসানকে যত শাস্তি দেয়া হবে। ঐসর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তিকে এককভাবে সকলের অর্ধেক শাস্তি দেয়া হবে।” সু বাকি অংশ পড়ুন...
(৬)
হযরত আবুল আব্বাস আহমদ ইবনে মানছুর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইন্তেকাল হলে একজন সিরাজবাসী উনাকে স্বপ্নে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং সম্মানের সাথে বেহেশতে স্থান দিয়েছেন।’ সুবহানাল্লাহ! তাতে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কিসের বদৌলতে?’ তিনি বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অত্যাধিক পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করার কারণে।’ সুবহানাল্লাহ!
(৭)
একজন ছূফী ব্যক্তি হযরত মিসতাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, মহান আল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتِ الْاِمَامِ الْاَوَّلِ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلَاةً كَتَبَ اللهُ لَهُ قِيرَاطًا وَالْقِيرَاطُ مِثْلُ أُحُدٍ
অর্থ: হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে কেউ আমার উপর একবার পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে এক ক্বীরাত ছওয়াব দিয়ে থাকেন। এক ক্বীরাত হচ্ছে উহুদ পাহাড়ের সমতুল্য।’ সুব বাকি অংশ পড়ুন...
পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘মুকাশাফাতুল কুলূব’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেছেন, “সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি জাহান্নামকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যে, তার সাতটি দরজা রয়েছে। সম্মানিত কুরআন শরীফ উনার ভাষায়-
لَـهَا سَبْعَةُ اَبْوَابٍ.
অর্থ: “জাহান্নামের সাতটি দরজা রয়েছে।” (সম্মানিত সূরা হিজর শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ৪৪)
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا وَلٰكِنَّهَا طِبَاقٌ ب বাকি অংশ পড়ুন...
(১)
শাইখ আহমদ ইবনে ছাবিত আল মাগরিবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘কিতাবুত তাফাক্কুর ওয়াল ইতিবার’ নামক কিতাবে লিখেন, ‘আমি পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠের মাধ্যমে যে সকল উপকার লাভ করেছি তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- আমি একবার স্বপ্নে দেখলাম যে, একজন লোক চিৎকার করে বলছেন, ‘যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে দেখা করতে চায় সে আমার সঙ্গে আসুক।’ দেখলাম যে অনেক লোক এ কথা শুনে উনার দিকে দৌঁড়াতে আরম্ভ করলেন। উনাদের সকলের পোশাক সাদা রংয়ের ছিল। আমি উনাদের মধ্যে একজনকে বললাম ‘মহান আল্লাহ পাক উনার ক বাকি অংশ পড়ুন...












