বিদেশী ফান্ডিং এ পরিচালিত এনজিওগুলোকে এক সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে তুলনা করা হতো। বর্তমানে এনজিওগুলো ঠিক সেইরকমই। তারা জাতিসংঘ নামক ইহুদী সংঘের বেধে দেয়া নিয়মগুলো এ অঞ্চলে জারি করার জন্য ফিল্ড পর্যায়ে কাজ করে, যা সাম্রাজ্যবাদীদের ক্ষমতা ও প্রভাব বিস্তারে সহায়ক হয়।
বর্তমান পাঠ্যবইগুলো পড়ে আমার মনে হয়েছে, এ পাঠ্যক্রম অনেকটা এনজিও কর্মী ট্রেনিং এর সাথে যায়, কারণ এনজিও কর্মী হতে তেমন বিজ্ঞান শেখা লাগে না, কোন বিষয়ে বেশি এক্সপার্ট হওয়া লাগে না, সামাজিক কিছু বিষয় জানা লাগে, তাৎক্ষণিক কিছু জ্ঞান লাগে। এছাড়া এনজিও কর্মী হতে বাকি অংশ পড়ুন...
পশ্চিমা বিশ্বের অনুকরণে আজ আমাদের মুসলিম সমাজেও বিভিন্ন সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এর মধ্য অন্যতম হচ্ছে, কারো সাথে দেখা হলে- হাই-হ্যালো বলা। হাই শব্দটি সাধারণত ব্যবহার করা হয় কারো সাথে দেখা হলে প্রথম সম্ভাষণে। অপরদিকে দ্বিতীয় সম্ভাষণ বা দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ‘হ্যালো’ শব্দটি বহুল প্রচলিত। হ্যালো বলার সংস্কৃতিটি বেশি এক্স-ওয়াইকেছে ফোন, মোবাইল বা দূরবর্তী যোগাযোগের ক্ষেত্রে।
বস্তুত হাই শব্দের মুসলমানদের পৃথক ও অর্থবোধক সম্ভাষণ হচ্ছে সালাম দেয়া, যা আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্ বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মাতৃভাষা বাংলার পর ইংরেজী ভাষাকে বাধ্যতামূলক ভাষা হিসেবে শেখানো হয়। তবে আরবী ভাষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়নি। অথচ বাংলাদেশীদের জন্য আরবী ভাষায় শিক্ষা অত্যন্ত দরকার ছিলো। দ্বীনি কারণ তো অবশ্যই, দুনিয়াবী কারণেই আরবী ভাষা বাংলাদেশে বাধ্যতামূলক করা জরুরী। কারণ বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির একটা বড় অংশ হয় আরবী ভাষাভাষী মাধ্যপ্রাচ্যে এবং বিদেশ থেকে আসা বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগ আসে সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, আরব আমিরাত ও ওমান থেকে। সে দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশে যদি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আরবী ভাষাকে বাধ্ বাকি অংশ পড়ুন...
৬. শরীফার গল্পে কথাপোকথনের ছলে বলা হচ্ছে- মনের লিঙ্গওয়ালারা তো কারো কোন ক্ষতি করছে না, তাহলে সমস্যা কোথায়?
কথা হচ্ছে, মনের লিঙ্গওয়ালারা যে অন্যদের ক্ষতি করবে না, তার নিশ্চয়তা কে দিবে?
ধরেন একজন ছেলে নিজেকে মনে মনে মেয়ে মনে করে। এখন সে তাকে একটি মহিলা হল বা হোস্টেলে থাকতে দেয়া হলো। এখন সে যে হঠাৎ কে র মনে মনে ছেলে হয়ে উঠে কোন নারীকে যে নিপীড়ন করবে না তার নিশ্চয়তা কি? ইউরোপ-আমেরিকাতে এমন বহু ঘটনা ঘটেছে।
এরপর ধরুন মেয়েদের দৌড় প্রতিযোগীতা হচ্ছে। এরমধ্যে একজন ছেলে হঠাৎ করে মনে মনে মেয়ে হয়ে মেয়েদের দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নিলো। স্বাভাবিকভ বাকি অংশ পড়ুন...
৪. পাঠ্যবইয়ে যে অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ আছে, সেই অধ্যায়ের নাম- ‘মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা’। অধ্যায় শুরু হয়েছে বেদে সম্প্রদায় দিয়ে। এ দ্বারা একটি যুক্তি বুঝানো হয়েছে, ‘সমাজে বেদে সম্প্রদায় থাকতে পারলে নারী-পুরুষ বাদে অন্য লিঙ্গরা থাকতে পারবে না কেন?
আসলে বিজ্ঞানে নারী ও পুরুষ ভিন্ন অন্য কোন জেন্ডার বা লিঙ্গেরই অস্তিত্ব-ই নেই। সুতরাং অন্য লিঙ্গ থাকতে পারবে, কি পারবে না সেই প্রশ্ন বাহুল্য। আর জেন্ডার বা লিঙ্গ শব্দের উদ্ভব কোথা থেকে এটা আগে আমাদের বুঝতে হবে। যেমন- চোখের কাজ হচ্ছে দেখা, হাতের কাজ হচ্ছে ধরা, পায়ের কাজ হচ্ছে হাটা বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলাদেশের স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নামক একটি অধ্যায় নিয়ে বেশ বিতর্ক শুরু হয়েছে। ‘ট্রান্সজেন্ডার’ ইস্যু নিয়ে হচ্ছে আলোচনা সমালোচনা। গল্পের ভেতর কয়েকটি বিষয় শিক্ষার্থীদের বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
যেমন-
১. গল্পের ভেতর প্রশ্ন করা হয়েছে, “আমরা নিজেদের ছেলে এবং মেয়ে বলে আলাদা করে চিনি কিভাবে?” উত্তরে গল্পেই বলা হয়েছে, “আমরা যে মানুষকে শারীরিক গঠন দেখেই কাউকে ছেলে বা মেয়ে বলছি সেটা সবার ক্ষেত্রে সত্যি নয়। ”
অর্থাৎ গল্পটি বাচ্চাদের যা শেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তার সারসংক্ষেপ বাকি অংশ পড়ুন...
আর কয়েকদিন পর শবে মেরাজ। বাংলাদেশে অনেক উপলক্ষে বাধ্যতামূলক ছুটি থাকলেও শবে মিরাজ উপলক্ষে ছুটি বাধ্যতামূলক নয়, বরং ঐচ্ছিক। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশ বাংলাদেশে এটা সত্যিই একটি আশ্চর্যজনক বিষয়।
উল্লেখ্য বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি দেয়া হয় শবে বরাত, শবে ক্বদর, আশুরা শরীফে। কিন্তু দিবস গুরুত্বের বিবেচনায় শবে মেরাজের গুরুত্ব শবে বরাত, শবে ক্বদর ও আশুরা শরীফ থেকে অনেক অনেক উপরে। শবে বরাতে দুয়া কবুল হয়, মানুষের ১ বছরের ভাগ্য গঠিত হয়। শবে ক্বদরে পবিত্র কুরআন শরীফ নাজিল হয়।
আশুরা শরীফে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে এবং কেয়ামত বাকি অংশ পড়ুন...
একটি বিষয় মনে রাখতে হবে-
মানুষ তার জীবনে কিছু জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করে তার জীবিকা নির্বাহ করে। যেমন- কেউ ডাক্তার হয়, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ আইনজীবি, কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ সাংবাদিক, কেউ শিক্ষক, কেউবা আমলা। কিন্তু এই জ্ঞান ও দক্ষতার পুরোটাই সে ব্যয় করে অর্থ উপার্জনের জন্য। কিন্তু এই জ্ঞান ও দক্ষতা কি তিনি কখনও দ্বীন ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন? উত্তর- করেনি। প্রায় সবাই পেশা ও দ্বীন ইসলামকে আলাদা করে রেখেছেন। হয়ত কেউ কেউ পেশা থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ করেছেন। এই অর্থ দানকেই ত বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমান মুসলমানদের অধিকাংশের বক্তব্য হচ্ছে, “পবিত্র দ্বীন ইসলাম এবং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে কাজ করার খুব ইচ্ছা। কিন্তু চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে এত ব্যস্ত থাকা হয় যে, দ্বীনের কাজ করার জন্য সময় বের করা যায় না।”
মূলত দ্বীন ইসলাম উনার কাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ। কিন্তু বুঝানোর সাপেক্ষে আমরা এখানে যদি এখানে দ্বীনের কাজকে শখ হিসেবে ধরি, আর হালাল রিজিক তালাশের জন্য চাকরি বা ব্যবসা-বাণিজ্যকে যদি পেশা ধরি,
তবে বলতে হয়, বর্তমানে মুসলমানরা শখ ও পেশাকে আলাদা করে রেখেছে,
শখ ও পেশা আলাদা থাকায় মুসলমানরা দ্বীনের জন্য কাজ করতে পারছে ন বাকি অংশ পড়ুন...












