সম্প্রতি তরুণ সমাজের মধ্যে পশ্চিমা কালচারের দিবসা পালন ব্যাপকভাবে দেখা গিয়েছে। বিষয়টিকে যদি শুধু বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন হিসেবে দেখা হয়, তবে আমার মনে হয় ভুল হবে। এটা অনেকটা নিজ সংস্কৃতির সংকটও বটে। কারণ একটা গ্লাস কখন খালি থাকে না। হয় পানি থাকবে, নয়ত বাতাস থাকবে।
মুসলিম তরুণরা বিজাতীয় সংস্কৃতির দিকে ঝুঁকে যাওয়ার জন্য শুধু অপরকে দায়ী করলে চলবে না,
বরং ইসলামী সংস্কৃতির সংকট এখানে অনেকাংশে দায়ী। আমরা শুধু বলে গেছি, ইসলামে সব আছে, ইসলামে সব আছে। ইসলাম ইজ দ্য কমপ্লিট কোড অব লাইফ। কিন্তু সেই ‘সব’টা কি তা দেখায় দিতে পারে না বাকি অংশ পড়ুন...
এজন্য দেখবেন, মূর্খ মানুষরা যাদেরকে বেশি চিনে, মানে খেলোয়াড়, নায়ক, নায়িকা, গায়ক, গায়িকা, টিকটকার সব নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। কারণ তাদেরকে মানুষ চিনে বেশি, টেলিভিশন, সিনেমা, টিকটকে দেখে বেশি। তারা ভালো খেলতে পারে, তারা ভালো গান গাইতে পারে, তারা ভালো অভিনয় করতে পারে। কিন্তু তারা ভালো আইন প্রণয়ন করতে পারবে কি না, জনগণের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারবে কি না, সেই যোগ্যতা তাদের আছে কি না, সেটা অধিকাংশ জনগণেরই জানা নাই। তাকে টেলিভিশন বা টিকটকে দেখছে, এটাই তার যোগ্যতা।
পবিত্র দ্বীন ইসলামে শাসন পদ্ধতি বা খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়াতে তাই এমন ভ বাকি অংশ পড়ুন...
ভোটাভুটিতে জনগণের আইনের শাসন কতটুকু প্রতিষ্ঠা পায় তা প্রশ্নের বিষয়। কারণ বর্তমানে সংসদে যে সমস্ত আইন পাশ হয়, তাতে জনগণের চিন্তাধারা থাকে না, বরং রাজনৈতিক বা সরকার দলীয় চিন্তাধারা থাকে। অর্থাৎ নতুন আইন পাশে ক্ষমতাসীন দলীয় সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাই এমপিকে ঐ আইনের পক্ষে থাকতে হবে। কিন্তু ঐ আসনের জনগণ উক্ত আইনের পক্ষ না বিপক্ষে আছেন, সেই কথা যাচাইয়ের সুযোগ নেই।
আসলে যে জনগণ ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করে, সে নিজেও কতটুকু বুঝে একজন এমপির কাজ কি? সে শুধু এতটুকু বুঝে, ঐ এমপি ক্ষমতায় গেলে তার এলাকার কথা সংসদে বলবে, আর তাতেই সরকার রাস্তা-ঘাট, স্ক বাকি অংশ পড়ুন...
‘কমফোর্ট জোন’ বলতে কী বোঝায়? নিশ্চিন্ত থাকা, নাকি শান্তির যায়গা?
আসলে কমফোর্ট জোন মূলত একটি আচরণগত অবস্থা, যেখানকার পরিবেশ আমাদের পরিচিত; নির্দিষ্ট একটা গণ্ডি, যেখানে কাজ করতে আমরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি এবং ফলাফল অনেকটাই নিশ্চিত। অর্থাৎ কাজও আমাদের জানা, ফলাফলও জানা।
কমফোর্ট জোনের বাংলা অনুবাদ করলে হবে সুবিধাজনক স্থান বা স্বাচ্ছন্দ্যের গণ্ডি। মানুষমাত্রই এই গণ্ডির মধ্যে থাকতে ভালোবাসে। কারণ কমফোর্ট জোনের ভেতর থাকলে আমাদের মস্তিষ্ককে নতুন করে চিন্তা করতে হয় না। এতে আমাদের উপর চাপ অনুভব হয় না। কিন্তু যখনই আমরা কমফোর্ট জো বাকি অংশ পড়ুন...
আমি জানি, যতই পর্দার গুরুত্ব থাকুক, তারপরও কিছু কিছু লোক বলবে “বোরকা পরলে অমুক সমস্যা, নেকাব পরলে তমুক সমস্যা। আসলে বোরকা নেকাবে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হচ্ছে কো-এডুকেশন সিস্টেমে, পুরুষ-মহিলা একত্রীকরণে। পুরুষ-মহিলা আলাদা থাকলে তো মহিলাদের বোরকা পরার দরকার নাই। সে বোরকা-নেকাব ছাড়াই থাকতে পারবে তখন। কিন্তু যে গোষ্ঠীটি পুরুষ-মহিলা একত্রিত করেছে, তাদেরই এখন বোরকা-নেকাবে চুলকানি দেখা দিয়েছে।
আসলে পুরুষ-মহিলা একত্র হলেই সব সমস্যার উদ্রেগ। কিন্তু পুরুষ-মহিলা যদি আলাদা থাকে, জেন্ডার সেপারেশন হয়, তবে সব সমস্যার সমাধান এমনিতেই বাকি অংশ পড়ুন...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পরীক্ষার সময় পর্দানশীন ছাত্রীদের জোর করে মুখম-ল, কান, গলা উন্মুক্ত রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেউ কেউ দাবী করছে, “শিক্ষক হচ্ছে ছাত্রীদের পিতার সমতুল্য, সুতরাং শিক্ষকের সামনে ছাত্রীর মুখ খোলা রাখতে সমস্যা কোথায়?”
যারা এ ধরনের চিন্তা লালন করে, তারা যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী নির্যাতন ও নিপীড়নের খবরাবর নিয়মিত রাখতো, তবে হয়ত এমন চিন্তা করতে পারতো না। আসুন গত কয়েক মাসের কিছু সংবাদ দেখি-
খবর-১ :
“নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্ বাকি অংশ পড়ুন...
২১শে ফেব্রুয়ারীকে আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করি। ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য এদিন ভাষা সৈনিকরা প্রাণ দিয়েছিলো, সেই দিনটিকেই স্মরণ করে দিবসটি উৎযাপন। তবে শুধু ২১শে ফেব্রুয়ারী নয়, বাংলা ভাষা নিয়ে আরেকটি দিবস আমাদের পালন করা উচিত। সেটা হচ্ছে বাংলা ভাষার স্বাধীনতা দিবস। দিবসটি হিজরী তারিখ হচ্ছে ১৯ শে রমাদ্বান। আসুন বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেই।
ইতিহাস স্বাক্ষী হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখে ‘এক কথ্য’ ভাষার প্রচলণ ছিলো। বাঙ্গালিরা সেই ভাষায় নিজেদের ভাব-আবেগ বিনিময় করতো। বাঙ্গালিদের মুখের সেই কথ্য ভাষা ছিলো ‘বা বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলাদেশে রমজান মাসে স্কুল-কলেজগুলো খোলা রাখা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেল কলেজগুলোতে অব্যাহত থাকে ক্লাস টেষ্ট বা পরীক্ষা। দাবি করা হয়, রোযার সময়টা নষ্ট করার দরকার নেই। রোযা রেখে যদি অন্য পেশার লোকরা কাজ করতে পারে, তবে শিক্ষার্থীরা কেন বসে থাকবে?
আসলে অন্য পেশার লোক আর শিক্ষার্থী এক নয়। অধিকাংশ পেশাজীবি মানুষকে নতুন কিছু শিখতে হয় না। পুরাতন ফ্রেমে ফেলে তার কাজ চালিয়ে নিতে পারে। কিন্তু একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিনিয়ত তার ব্রেনকে নতুন নতুন জিনিসের সাথে পরিচিত করতে হয়, এটা অনেক জটিল কাজ। আপনি শিক্ষার্থী ভিন্ন প্রাপ্ত বয়স্ক বাকি অংশ পড়ুন...












