আমি আমার সেই তিনজন পরিচিতকে খুব ভালো করেই চিনতাম। তাদের ব্যবসায়ীক কাজে বিশ্বস্ত কর্মচারি দরকার ছিলো। আর তারা নিজেদের প্রয়োজনে আমাকে ব্যবহার করতে চেয়েছিলো। অর্থাৎ নিজের প্রয়োজনের জন্য তারা আমাকে দ্বীনের রাস্তা থেকে ফেরাতে চেয়েছিলো, দুনিয়ার মুলা দেখিয়েছিলো। আমি এও জানতাম, এই লোকগুলো আমাকে কিছুদিন ব্যবহার করে স্বার্থ হাসিলের পর ছুড়ে ফেলবে, মানে আমার দ্বীন-দুনিয়া দুটোই তখন যাবে। তাই আমি তাদের দুনিয়ার মুলার ফাঁদে পা দেই নি।
আমি বিশ্বাস করি, সেই সময় মহান আল্লাহ পাক খাস রহমত করে আমাকে হেফাজত করেছেন। কিন্তু অনেক ছেলে-মেয়ে আছে, বাকি অংশ পড়ুন...
উদাহরণ দিলে বুঝতে সহজ হবে। যেমন-
বাংলাদেশের অনেক তরুণ এখন ইউরোপ-আমেরিকা-কানাডা যেতে চায়। তাদের ধারণা কাফিরের দেশে গেলেই বোধ হয় ভালো থাকা যাবে। সেই মুলার পেছনে সে ছুটতে থাকে। প্রচুর টাকা খরচ করে, পরিশ্রম করে, কষ্ট করে, কিন্তু কাফিরের দেশের মুলা আর তাকে ধরা দেয় না। দেখা যায়, বাংলাদেশে যে ছেলে একা এক রুমে থাকতো, বিদেশে গিয়ে সে ৫-১০ জন এক রুমে গাদাগাদি করে থাকে। বাংলাদেশে যে ছেলে অলসতায় দিন কাটাতো, ইউারোপ-আমেরিকায় হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয়, তারপরও জীবন নির্বাহ কঠিন হয়ে যায়। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে বিদেশের মুলা যত সহজ মনে হয়েছে, বাস্তবে ত বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের জন্য একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, মুসলিম নামধারী কিছু আলেম তারা বিভিন্ন ফতওয়া দিয়ে মুসলমানদের জ্ঞান চর্চাকে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। এটা মুসলমানদের জন্য একটা বড় ক্ষতি। যেমন- মুসলমানদের জন্য একটা আবশ্যিক জ্ঞান হলো আত্মশুদ্ধি বা তাসাউফ চর্চার জ্ঞান। এই জ্ঞান অর্জনের জন্য একজন শায়েখ বা পীর সাহেবের কাছে বাইয়াত হতে হয়। কিন্তু একটি মহল তাসাউফ চর্চার বিরুদ্ধে ফতওয়া দিয়ে মুসলমানদের বিরাট জ্ঞানশূণ্য করে রেখেছে।
আবার দ্বীনি জ্ঞান বলতে শুধু নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত অর্থাৎ প্রাথমিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু সমাজ কিভাবে চ বাকি অংশ পড়ুন...
স্বর্ণযুগের মুসলমানদের জ্ঞান চর্চার সেই স্বভাবটা এখন ইহুদী-নাছারারা নিয়ে গেছে। স্বর্ণযুগে জ্ঞান চর্চার শীর্ষে থাকার কারণে মুসলমানরা ছিলো সারা বিশ্বজুড়ে ক্ষমতাবান, আর এখন ইহুদী-নাছারারা জ্ঞান চর্চা ধারা চুরি করে নিজেরা ক্ষমতাবান হয়ে গেছে। মুসলমানরা হারিয়ে ফেলেছে তাদের ক্ষমতা।
দেখা যায়, জ্ঞান চর্চা তথা গবেষণা-বিশ্লেষণ করেই সব কিছুতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা যায়। এজন্য ইহুদী-নাছারারা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন থিংক ট্যাংক (চিন্তাকেন্দ্র) বা পরামর্শ প্রতিষ্ঠান খুলে সবার মন-মগজ নিয়ন্ত্রণ করছে। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হল এক ধরনের গবেষণা প্র বাকি অংশ পড়ুন...
‘গাধাকে মুলা দেখানো’ বলে বাংলায় একটা প্রবাদ আছে। মানে গাধার মাথার মধ্যে কেউ একটা লাঠি দিয়ে মুলা ঝুলিয়ে রাখবে, আর সেই মুলা ধরার জন্য গাধা দৌড়াতে থাকবে, কিন্তু মুলার দেখা পাবে না। বাস্তব জীবনে দুনিয়া মানুষকে নানা ভাবে মুলা দেখায়। আর মানুষও গাধার মত ছুটতে থাকে, কিন্তু দিন শেষে দ্বীন-দুনিয়া কোনটার দেখাই পায় না।
হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালামের একটি ঘটনা। তিনি একবার কোথাও যাওয়ার সময় দুনিয়াকে দেখতে পেলেন এক মহিলার ছূরতে। তার একটি হাত সামনে এবং আরেকটি হাত পিছনে। সামনের হাতটি রঙিন, চাকচিক্যময়। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে দুনিয়া! তোমার এ বাকি অংশ পড়ুন...
স্বর্ণযুগে মুসলমানরা সারা বিশ্বজুড়ে শাসন করেছিলেন, এই ইতিহাস আমরা পাঠ করি। কিন্তু এর পেছনে ছিলো মুসলমানদের জ্ঞান চর্চার বিস্তর ইতিহাস। মুসলমানরা সেই সময় জ্ঞান চর্চাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেন।
হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “প্রত্যেক নর-নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরয।” হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “জ্ঞান হচ্ছে সমস্ত কল্যাণের মূল, আর অজ্ঞতা হচ্ছে সমস্ত অকল্যাণের মূল।” এ কারণে ছাহাবীগণ সব সময় নিজেদের জ্ঞান চর্চায় আবদ্ধ রাখতেন। জ্ঞান চর্চাকে মুসলমানরা কতটা গুরুত্ব দিতেন, এটা বুঝা যায়, বদর যুদ্ধের বন্দি মুক্তির ঘটনা বাকি অংশ পড়ুন...
এবার আসি বাংলাদেশের গ্যাস সম্পদ নিয়ে। ২০১৪ সালের ১৪ই নভেম্বর আমেরিকা ভিত্তিক অনলাইন ম্যাগাজিন দ্য ডিপ্লোমেট বাংলাদেশে গ্যাস সম্পদ নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপায়। যার শিরোনাম ছিলো ইধহমষধফবংয: অংরধ’ং ঘবি ঊহবৎমু ঝঁঢ়বৎঢ়ড়বিৎ? প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, এশিয়ার অন্যতম জ্বালানি শক্তি হিসেবে বাংলাদেশ অবস্থান করছে। পরবর্তী প্রাকৃতিক গ্যাসের সুপার পাওয়ার হবে দেশটি। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে ভারতের সাথে বিরোধপূর্ণ সমুদ্র এলাকায় ২০ হাজার স্কয়ার কিলোমিটারে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সমুদ্রসীমায় রয়েছে প্রাকৃতিক জ্বালানি সম্ বাকি অংশ পড়ুন...
আবার প্রতিনিয়ত ভারতের মেঘালয় থেকে প্রাকৃতিকভাবে পাথর ও পলি এসে সিলেটের নদীগুলো ভরাট করে দিচ্ছে। পাথর বা বালু উত্তোলন বন্ধ থাকায় সিলেটের নদীগুলো নাব্যতা হারাচ্ছে। এতে বর্ষাকালে ভারত থেকে সামান্য ঢল নেমে আসলেই নদী উপচে বন্যা ঘটে। ২০২২ সালে সিলেট বিভাগে যে ভয়াবহ বন্যা হয়, তার অন্যতম কারণ ছিলো নদী থেকে পাথর বা বালু উত্তোলন বন্ধ করা। অর্থাৎ পরিবেশবাদীরা পরিবেশের কথা বলে পাথর উত্তোলন বন্ধ করলেও বাস্তবে পাথর উত্তোলন না করাই ছিলো সিলেট বিভাগের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
আবার বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে কলয়া সম্পদ রয়েছে। কিন্তু সেই কয় বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে বাংলাদেশকে যদি উন্নত করতে হয়, তবে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলন করতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশ নিজস্ব সম্পদ উত্তোলন করে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হয়ে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। তেল, গ্যাস বিক্রি করে তারা এখন বিশ্বের অন্যতম ধনী। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ থাকার পরও আমরা সেগুলো উত্তোলন করতে পারছি না। নিজেদের প্রয়োজন মেটাচ্ছি বিদেশ থেকে আমদানি করা সম্পদ দিয়ে। ফলে আমরা অর্থ সংকটেই থেকে যাচ্ছি।
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলনের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় যুক্তি হচ্ছে পরিবেশ বাকি অংশ পড়ুন...
সমস্যার সমাধান হতে পারে কাজী অফিসগুলোতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের সুবিধা নিয়ে আসা। বিয়েগুলো যদি অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন হয় এবং কাজী অফিসগুলোতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের সুযোগ থাকে এবং সকল কাজী অফিসগুলো অনলাইনে সংযুক্ত থাকে, তবে কোন ব্যক্তি যদি পরিচয় গোপন করেও কাজী অফিস যায়, তবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়ার সাথে সাথে তার আসল পরিচয়, নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, ধর্ম পরিচয়, কতটি বিয়ের করেছে, সেই তথ্য বের হয়ে যাবে। ফলে প্রতারকরা প্রতারণা করে বিয়ে করার সুযোগ পাবে না।
বাংলাদেশকে এখন বলা হয় স্ম্যার্ট বাংলাদেশ। কিন্তু বাস্তবে পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত বাকি অংশ পড়ুন...
গত ২০২৩ সালে রাজশাহীর পুঠিয়ায় এমন একটি ঘটনা ঘটে। সুব্রত ঘোষ নামক এক হিন্দু যুবক সাথী খাতুন (২৪) নামে এক মুসলিম মেয়েকে পরিচয় গোপন করে কাজী অফিসে বিয়ে করে। বিয়ের এক মাস না যেতেই সুব্রত হঠাৎ হওয়া হয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে তার বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করে সুব্রতর বাড়িতে এসে তারা জানতে পারে সে আসলে হিন্দু। (তথ্যসূত্র: দৈনিক ইনকিলাব, ০১ আগস্ট ২০২৩)
২০২২ সালেও এমন একটি ঘটনা ঘটে টাঙ্গাইলে। সুভাষ নামক এক হিন্দু কলেজ ছাত্রী হোসনে আরার সাথে ফেসবুকে সম্পর্ক তৈরী করে। অতঃপর সেই সম্পর্কের জের ধরে মাসুদ রানা নামে ভুয়া এনআইডি কার্ড ব্যবহার বাকি অংশ পড়ুন...
আসলে নামধারী আলেমদের চিন্তার গ্যাপটা আমি ধরিয়ে দিচ্ছি। তারা থার্টি ফার্স্ট, পহেলা বৈশাখ, ভ্যালেন্টাইন ডে’র কথা বলে- “এ সমস্ত দিবস পালন করা হারাম, তাহলে তাদের অনুসরণে সকল দিবস পালন করা হারাম। ” আসলে বিষয়টি এমন না। ইসলামে দিবস পালন করা যদি হারাম-বিদআত-শিরক হতো, তবে জুমুয়ার দিন, ঈদের দিন, আশুরার দিন, আরাফার দিন পালন করার বৈধতা থাকতো না। আসলে এখানে দিবস মূল না, মূল হচ্ছে দিবসটা কি উপলক্ষে পালন হচ্ছে সেটা। সেটা ঈমানী বিষয়ে নাকি কুফরী বিষয়ে? যদি ঈমানী বিষয়ে হয়, তবে সেটা হালাল। কিন্তু সেটা যদি কোন কুফরী বিষয়কে স্মরণ করে হয় তবে সেটা হারাম ব বাকি অংশ পড়ুন...












