সম্প্রতি বেইলি রোডে রেস্তোরায় আগুন ধরার পর অনেকে বলেছে, এক ভবনে এত এত রেস্তোরা, বিশাল ঝুঁকি ইত্যাদি। সুতরাং এর বিরুদ্ধে অভিযান করে রেস্তোরা কমাতে হবে, ঝুঁকি কমাতে হবে।
আসলে এ ধরনের কথা আমার কাছে মূল্যহীন মনে হয়। রাজধানী ঢাকায় কেন সবকিছুর এত ঠাসাঠাসি, কেন এক ভবনে এতগুলো রেস্তোরা করতে হলো, এই কথার উত্তর খোঁজা না পর্যন্ত এই সমস্যার কোন সমাধান হবে না।
আসলে যে কোন কিছু সৃষ্টির কারণ চাহিদা। চাহিদার কারণেই যোগান এসেছে, মানে রাজধানীবাসীর চাহিদা থেকেই এত রেস্তোরা তৈরী হয়েছে। যেহেতু রাজধানী ঢাকাতেই সবকিছুই ঠাসাঠাসি, তাই রেস্তোরাগু বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফে নিকটবর্তী ও দূরবর্তী স্থানে চাঁদ দেখার হুকুম কি, তা স্পষ্ট করে বর্ণিত আছে। নতুন মাস শুরু করার ক্ষেত্রে তাই সে হিসেব মানতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, যারা সারা বিশ্বে এক দিনে ঈদ করতে চায় তারা একটি অংশ মানলেও অন্য অংশটি মানতে চায় না। মানে নিকবর্তী স্থানের চাঁদ দেখার মাধ্যমে নতুন মাস শুরু করার হাদীছ শরীফ গ্রহন করলেও, দূরবর্তী স্থানের চাঁদ দেখা গেলে যে নতুন মাস শুরু হয় না এই হাদীছ শরীফ তারা গ্রহণ করছে না। মূলত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি আদেশ পালন করলেও অপর আদেশ মুবারক তারা অমান্য করছে। কোনো মুসলম বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলাদেশের মত একটি জনবহুল রাষ্ট্রে, বিশেষ করে যেখানে সবকিছু রাজধানী কেন্দ্রীক সেখানে ঈদের আগের দিন ছুটি দিলে আসলে বিষয়টি খুব অমানবিক হয়ে যায়, ছুটি আরো ২ দিন আগ থেকে শুরু হওয়া দরকার। অর্থাৎ ঈদের ৩ দিন আগ থেকেই ঈদের ছুটি প্রয়োজন। কারণ-
১. মাত্র ১ দিন আগে ছুটি পেয়ে সবাই একযোগে ঢাকা ত্যাগ করতে ে গলে বিশাল যানজট তৈরী করে। মহাসড়কগুলোতে শত কিলোমিটার লম্বা যানজট বাধে। অনেকে দেখা যায়, ঈদের আগের দিন রওনা হয়ে ঈদের দিন সকালে বাড়িতে পৌছায়।
২. একযোগে সবাই বাড়িমুখী হওয়াতে ট্রেন, লঞ্চ বা বাসে বাড়তি চাপ থাকে। অনেকে ঝুঁকি নিয়ে বাস-ট্রেনের ছাদে কিং বাকি অংশ পড়ুন...
একটা সময় নদীর পাড়গুলোকে কেন্দ্র করে সভ্যতা তৈরী হতো। নদীর পাড়ে বসতো হাট-বাজার, বন্দর। আর তার পাশেই তৈরী হতো জনবসতি। কিন্তু বর্তমানে আমরা নদীপথকে পরিত্যাগ করেছি। লঞ্চঘাটে লঞ্চ বসে আছে, যাত্রী নাই। নদীতে আগে যেমন নৌকা দেখা যেতো, এখন তেমন নৌকাও দেখা যায় না। নদীগুলো যেন জনবিচ্ছিন্ন, খা খা করছে। নদীর পাড়ে বাজার বা কলকারখানা থাকলে নদী দূষণ হবে, এই অজুহাতে নদী পাড় থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে অর্থনীতি। এতে নদীর স্থান হয়েছে ক্ষেতের পাড়ে, মাঠের কোনায়, যেখানে মানুষের যাতায়াত নেই বললেই চলে। অপরদিকে সড়ক-মহাসড়কে বাস-ট্রাক স্ট্যান্ডকে কেন্দ্র বাকি অংশ পড়ুন...
আজকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বয়ঃসন্ধীকালীন শিক্ষা নিয়ে কেন প্রশ্ন উঠছে? কারণ ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রী একসাথে আছে। বয়ঃসন্ধিকালীন শিক্ষার নামে গোপন বিষয়গুলো উন্মুক্তভাবে পড়ানো হচ্ছে। মেয়েদের বিষয়গুলো শেখাচ্ছে পুরুষ শিক্ষক কিংবা পুরুষদের বিষয়গুলো শেখাচ্ছে নারী শিক্ষিকা, তখনই সমস্যা। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রী যদি আলাদা হতো, কিংবা ছাত্রদের জন্য পুরুষ শিক্ষক কিংবা ছাত্রীদের জন্য নারী শিক্ষক হতো, তবে বয়ঃসন্ধীকালীন শিক্ষা নিয়ে এত সমস্যা হতো না।
এই যে হিজড়াদের নিয়ে এত কথা, সেখানেও চলে তাদের সমস্যার রাজনীতি। হিজরাদের প্রতি সহানুভূতি তৈরী বাকি অংশ পড়ুন...
আবার তারা একটা কথা বলে, পোশাকের কারণেই যদি নারী নিপীড়িত হতো, তবে ৩ বছরের বাচ্চা কেন নিপীড়িত হয়, কেন ৬০ বছরের বৃদ্ধা নিপীড়িত হয়, কেন বোরকা পরিহিত নারীও নিপীড়িত হয়?
আসলে এ ধরনের ঘটনা ঘটে, সমাজে অপসংস্কৃতি বিস্তারের কারণে। মানুষ টিভি চ্যানেল, ডিশ এন্টেনা, ইন্টারনেট সোশ্যাল মিডিয়া, পর্নোগ্রাফীতে আসক্ত হয়ে অমানুষ হয়ে যায়। মনের ভেতর কুরুচি বিস্তার করে। কিন্তু ভাচুর্য়াল দৃশ্য দেখে তার মধ্যে যে আবেগ তৈরী হয়, সেটা তো সে ভার্চুয়ালী প্রশমন করতে পারে না, তাকে বাস্তব দুনিয়াতেই প্রশমন করতে হয়। তখন হাতের কাছে সহজলভ্য হিসেবে যা পায়, সেটা শিশু ব বাকি অংশ পড়ুন...
কোন সমস্যা দেখলে ভালো মানুষের কাজ হচ্ছে তার সমাধান করা। কিন্তু খারাপ মানুষের কাজ হচ্ছে, সমস্যার সমাধান না করে সেই সমস্যা নিয়ে রাজনীতি করা, ব্যবসা করা।
যেমন, ধরুন সমাজে নারী নিপীড়ন বাড়ছে। তো নারী নিপীড়নের সমাধান কী?
প্রকৃত সমাধান হচ্ছে, নর-নারীকে পর্দা করতে হবে। অপসংস্কৃতি রূখে দেয়া।
কিন্তু একটি মহল হঠাৎ করে সমাধান দিলো- সমাজে নারী নিপীড়ন রুখতে হলে নাকি নারীদের পোশাকের স্বাধীনতা লাগবে। এই বলে তারা শাহবাগ, টিএসসি দাঁড়িয়ে গেলো। সবাইকে বুঝাতে লাগলো, নারীকে বোরকায় আবদ্ধ করলেই নাকি নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণ বোধ তৈরী হয়, সুতরাং বাকি অংশ পড়ুন...
আসলে একজন মানুষের মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া যেমন তার মানবাধিকার, তেমনি একজন পুরুষের পুরুষ এবং একজন নারীর নারী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া তার মানবাধিকার। কিন্তু তাকে যদি নারী বা পুরুষ লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে তৃতীয় কিছু বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়, তখন তার মানবাধিকার নিশ্চিত তো হয়ই না বরং সে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এজন্য আসলে হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া ভুল পদ্ধতি। হিজড়ারা তো পুরুষ অথবা নারী। তারা তো তৃতীয় কিছু নয়। তাদের তৃতীয় লিঙ্গ বলে দাবী করার অর্থই হচ্ছে তাদেরকে মূল সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া।
অনেকেই বাকি অংশ পড়ুন...
সরকারের হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দাবী করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে নাকি সমাজে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। মিডিয়াতেও হিজড়াদের নিয়ে অনেক ধরনের প্রচারণা আছে, যার মূল উদ্দেশ্য তাদের প্রতি মানুষের সহানুভূতি তৈরী করা। কিন্তু আসলেই কি তৃতীয় লিঙ্গ ঘোষণা করে তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন হয়েছে, নাকি তাদেরকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে?
প্রকৃত অর্থে কেউ যদি হিজড়াদের জন্য কিছু করতেই চায়, তবে তাকে আগে জানতে হবে, হিজড়াদের সমস্যাটা আসলে কী? পৃথিবীতে জন্মের সময় সকল শিশুই সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে জন্ম নেয় না। কিছু শিশু জন বাকি অংশ পড়ুন...
ছবি-ভিডিওর কারণে জীবনের আনন্দ নষ্ট হয়ে গেছে। বিশেষ করে মানুষের হাতে ক্যামেরা-মোবাইল আসার পর কোন কিছুতে সুখ আর আনন্দ বলে আর কিছু নেই। আগে কোন বিয়ে বাড়িতে গেলে, আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হতো, সবাই কথা বলতো। এখন সেগুলো পুরোটাই শুটিং স্পট। শুধু ছবি-ভিডিও তৈরীর জন্য যেন সব আয়োজন, সুখ-আনন্দ অনুভূতি আদান প্রদানের কোন সুযোগ নেই।
শুধু কি অনুষ্ঠান? মসজিদ আর ওয়াজ মাহফিলও এখন শুটিং স্পট। পবিত্র হজ্জেও একই অবস্থা। হাজীরা এখন আর হজ্জ করতে যায় না, শুটিং করতে যায়। হাতের মধ্যে একটা স্টিক সমেত ক্যামেরা লাগিয়ে একটু পর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় লা বাকি অংশ পড়ুন...
শিক্ষা জাতির মেরুদ-। কোন জাতির শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা মানে তার মেরুদ- ধ্বংস করা। কোন ব্যক্তির মেরুদ- ক্ষতিগ্রস্ত হলে যেমন সে আর সোজা হয়ে দাড়াতে পারে না, তেমনি কোন জাতির শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হলে সে জাতি আর মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারে না। নুয়ে থাকে।
ব্রিটিশরা এ অঞ্চলে আসার আগে এ অঞ্চলে মুসলমান প্রবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত উচু দরের ছিলো। সেই সময় মুসলমান প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থা ছিলো আরবী ও ফারসী ভাষার উপর নির্ভর। মুসলমানরা তো অবশ্যই হিন্দুরাও সেই ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করতো। কিন্তু উঁচু দরের শিক্ষা ব্যবস্থা থাকলে তো মান বাকি অংশ পড়ুন...
দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ দেশ ছাড়তে আগ্রহী। তারা ভাবছে, দেশে সুযোগ নেই, বিদেশ গেলে হয়ত কিছু একটা হবে। সে আশায় আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, ইতালি, ফিনল্যান্ড, পতুর্গালসহ ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। তাদের ধারণা, একবার সেখানে যেতে পারলেই বোধ হয় ভালো ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তাদের এ চিন্তার সাথে তাল মিলিয়ে দালালরাও সাজিয়েছে নিত্য নতুন পসরা। দালালদের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে তাই ২০-৩০ ল ক্ষ টাকা খরচ করতে দ্বিধা করছে না মানুষ। অনেকে জমি বিক্রি করে কিংবা ধার-দেনা করে চলে যেতে চায় বিদেশে। কিন্তু সেসব দেশে কি বাকি অংশ পড়ুন...












