পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার প্রথম সূরা মুবারক উনার নাম হচ্ছেন পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ। এই পবিত্র সূরা উনাকে বলা হয় ‘উম্মুল কুরআন’। নাযিল হওয়ার ধারাবাহিকতায় এ পবিত্র সূরা শরীফ পঞ্চম হলেও পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার প্রথমে অবস্থান হয় এই পবিত্র সূরা শরীফ উনার।
পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়, প্রত্যেক নামাযের প্রত্যেক রাকাতে এ পবিত্র সূরা শরীফ পাঠ করার বাধ্যবাধকতা দেখে। একজন মানুষ দৈনিক ৫ ওয়াক্ত ফরয নামাযের ১৭ রাকাতে ১৭বার, ৩ রাকাত ওয়াজিব নামাযে ৩বার এবং ১২ রাকাত সুন্নতে মুয়াকাদ্দাহ নামাযে ১২বার, এই বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক নন। যার সম্মানার্থে মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার রুবূবিয়্যাত মুবারক প্রকাশ করেছেন। যাঁর সম্মানার্থে সমস্ত কায়িনাত এখনো অস্তিত্বে টিকে রয়েছে। কুল মাখলুক্বাত সমস্ত নিয়ামত লাভ করছে। সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা যার উম্মত হওয়ার জন্য আরজী করেছেন। যিনি হচ্ছেন সাইর্য়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, আল হাদ্বির ওয়ান নাযির, মুত্তলা’ আলাল গইব, হায়াতুন নবী, রহমতুল্লিল আলামীন, রঊফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ الْفَارُوقِ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَئِنْ عِشْتُ إِنْ شَاءَ اللهُ لَأُخْرِجَنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ.
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যমীনবাসী হতে আমার পর্দা করার বিষয়টি যদি বিলম্বিত হতো, তাহলে আমি এই জাযিরাত বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে গরুর গোস্ত খেয়েছেন
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, উক্ত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে এটাও স্পষ্ট হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছদক্বাহ্ গ্রহণ করতেন না, শুধুমাত্র হাদিয়া গ্রহণ করতেন।
আর যেহেতু উক্ত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টভাবেই বলা আছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গরুর গোস্ত দিয়ে বলা হয়েছে, এটা হয বাকি অংশ পড়ুন...
যদি কোন ব্যক্তি ইলিম অর্জন করার পর সঠিক জবাব না দেয়, চুপিয়ে রাখে, তাহলে তার কঠিন শাস্তি হবে এবং আরো বলা হয়েছে-
مَنْ تَعَلَّمَ عِلْمًا مِمَّا يُبْتَغَى بِهِ وَجْهُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ لاَ يَتَعَلَّمُهُ إِلاَّ لِيُصِيبَ بِهِ عَرَضًا مِنَ الدُّنْيَا لَمْ يَجِدْ عَرْفَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَعْنِى رِيحَهَا
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, কোন ব্যক্তি ইলিম অর্জন করল যা দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি হাছিল করা উচিৎ ছিল কিন্তু সে মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টির জন্য ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সমস্ত মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ছবি, গান-বাজনা, বাঁশি-সূর, বাদ্যযন্ত্র ধ্বংস করতে আমাকে পাঠানো হয়েছে’
১ম দলীল
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,
بُعِثْتُ لِكَسْرِ الْمَزَامِيْـرِ وَالْاَصْنَامِ
অর্থ: “আমি বাঁশি, গান-সূর, বাদ্যযন্ত্র ও মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য ধ্বংস করার জন্য, ভেঙ্গে ফেলার জন্য প্রেরিত হয়েছি। ” (তাফসীরে আযীযী)
২য় দলীল
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উন বাকি অংশ পড়ুন...
বুযুর্গী-সম্মান:
হযরত শায়েখ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ বিন খিযির মুসেলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, আমার পিতা তিনি বলতেন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মজলিসে ইলিম ও হিকমত সম্পর্কীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতো। উনার বুযূর্গী ও সম্মান উনার কারণে কেউ মজলিসে গলা পরিষ্কার বা কোনো প্রকার শব্দ পর্যন্ত করতেন না। যখন গাউছুল আ’যম, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলতেন, কালের অনেক (কথা) হয়ে গেছে এবার হালের দিকে চলো। সাথে সাথে লোকেরা অস্থির হয়ে পড়তো এবং উনাদের মধ্যে হাল ও অজ্দ এসে যেতো।
গাউ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা কাওছার শরীফ উনার ২নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় আল্লামা কাযী ছানাউল্লাহ পানিপথী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে মাযহারী’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন-
فَعَلـٰى هٰذَا يُثْبَتُ بِهٖ وُجُوْبُ صَلـٰوةِ الْعِيْدِ وَالْاُضْحِيَّةِ
অর্থ: পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, পবিত্র ঈদের নামায এবং পবিত্র কুরবানী করা উভয়ই ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে মাযহারী ১০/৩৫৩)
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় আল্লামা সাইয়্যিদ মাহমূদ আলূসী বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার স্বী বাকি অংশ পড়ুন...
عَنْ حَضْرَتْ سَعِيدِ بْنِ أَبِى الْحَسَنِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَقَالَ إِنِّى رَجُلٌ أُصَوِّرُ هَذِهِ الصُّوَرَ فَأَفْتِنِى فِيهَا. فَقَالَ لَهُ ادْنُ مِنِّى. فَدَنَا مِنْهُ ثُمَّ قَالَ ادْنُ مِنِّى. فَدَنَا حَتَّى وَضَعَ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ قَالَ أُنَبِّئُكَ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ كُلُّ مُصَوِّرٍ فِى النَّارِ يَجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا فَتُعَذِّبُهُ فِى جَهَنَّمَ. وَقَالَ إِنْ كُنْتَ لاَ بُدَّ فَاعِلاً فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لاَ نَفْسَ لَهُ.
অর্থ: হযরত সাঈদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, এক ব বাকি অংশ পড়ুন...












