لِكُلّ مُؤْمِنٍ فِيْ كُلّ شَهْرٍ اَرْبَعَةُ اَعْيَادٍ اَوْ خَـمْسَةُ اَعْيَادٍ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মু’মিন মুসলমান উনাদের প্রতি মাসে চারটি অথবা পাঁচটি ঈদ রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিমাসে চারটি অথবা পাঁচটি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ হয়ে থাকে। (কিফায়া শরহে হিদায়া ২য় খ-: বাবু ছলাতিল ঈদাইন, হাশিয়ায়ে লখনবী আলাল হিদায়া) বাকি অংশ পড়ুন...
لَايُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ نَفْسِهِ وَمَالِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ
“তোমাদের মাঝে কেউ মু’মিন-মুসলমান হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তার পিতা-মাতা, আল-আওলাদ, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, জান-মাল এবং সমস্ত মানুষ থেকে আমাকে সবচাইতে বেশী মুহব্বত না করতে পারবে। ” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
এই হাদীছ শরীফকে বলা হয়, উম্মুল হাদীছ শরীফ। এই হাদীছ শরীফের কথা চিন্তা করেই সমস্ত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ফানা-বাক্বা হয়েছেন। কি রকম ফানা-বা বাকি অংশ পড়ুন...
এই তলিবে ইলিম যদি মাদ্রাসা থেকে ইলিম অর্জন করতো, একদিন সে আমার বিরোধিতা করতো। হাজার-হাজার লোকদেরকে সে আমার থেকে ফিরিয়ে দিতো। আজকে তুমি সেই তলিবে ইলিমকে মাদ্রাসা থেকে ফিরিয়ে, দুনিয়ার দিকে মশগুল করে দিয়েছ, গইরুল্লাহ’্র দিকে মশগুল করে দিয়েছ। কাজেই তুমিই শ্রেষ্ঠ কাজ করেছ। তুমি আমার খাছ শাগরিদ, আমার সভাসদ, আমার সঙ্গী, তোমাকে পুরস্কার দিতে হবে। ইবলীস সেটা নিয়ে নানান হট্টগোল শুরু করে দেয়।
এখন ফিকিরের বিষয়, চিন্তার বিষয়, ইবলীস কোন কাজেই সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলো না। সন্তুষ্টি সে প্রকাশ করলো এতটুকুর মধ্যে যে, একজন তলিবে ইলিমকে মাদ্র বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন- যে দেখ, ইবলীস তো ওয়াসওয়াসা দিয়ে থাকে। কিন্তু ইবলীস সবচাইতে বেশী খুশি হয় কিসে জান কি তোমরা?
ইবলীসের মজলিস বসে প্রতিদিন। যেমন- আলিমদের মজলিস বসে থাকে। উলামাদের মজলিস বসে থাকে। ঠিক তদ্রুপ ইবলীসের মজলিস বসে থাকে পানির উপরে। প্রতিদিন দিনের শেষে বসে ইবলীসের মজলিস। সে বসে তাদের সকলকে নিয়ে, যারা তার খাছ শারগেদ রয়েছে, অর্থাৎ বড় শয়তান যারা রয়েছে, তারা তার মজলিসে হাজিরা দেয়, উপস্থিত হয়। সেখানে উপস্থিত হওয়ার পরে ইবলীস সবাইকে জিজ্ঞাসা করে- তোমরা বাকি অংশ পড়ুন...
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই মূর্তী ভেঙ্গেছেন
১ম দলীল
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ دَخَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسلَّم مَكَّةَ يَـوْمَ الْفَتْحِ وَحَوْلَ الْـبَـيْتِ سِتُّـوْنَ وَثَلاَثُ مِائَةِ نُصُبٍ فَجَعَلَ يَطْعَـنُـهَا بِعُوْدٍ فِـىْ يَدِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسلَّم وَيَـقُولُ {جَآءَ الْـحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ } {جَآءَ الْـحَقُّ وَمَا يُـبْدِئُ البَاطِلُ وَمَا يُعِـيْدُ}
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত খন্দকের জিহাদে কবিতা মুবারক পাঠ করেছিলেন:
হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সম্মানিত খন্দকের মাটি বহনকালে আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কবিতার নিম্নোক্ত চরণগুলি আবৃত্তি করতে শুনেছি।
اللَّهُمَّ لَوْلاَ أَنْتَ مَا اهْتَدَيْنَا + وَلاَ تَصَدَّقْنَا وَلاَ صَلَّيْنَا
فَأَنْزِلَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَا + وَثَبِّتِ الْأَقْدَامَ إِنْ لاَقَيْنَا
إِنَّ الْأُوْلَى قَدْ بَغَوْا عَلَيْنَا + إِذَا أَرَادُوْا فِتْنَةً أَبَيْنَا-
অর্থ: ‘আয় মহান আল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
এজন্য অন্য হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে-
إِنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَالِمٌ لَمْ يَنْفَعْهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ بِعِلْمِهِ
নিশ্চয় কঠিন শাস্তি হবে ঐ ব্যক্তির হাশরের ময়দানে, ক্বিয়ামতের দিন, যে ব্যক্তি তার ইলিমের দ্বারা কোন ফায়দা হাছিল করতে পারেনি।
এবং আরেক হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন যে দেখ-
إِنَّ مِنْ أَشَرِّ النَّاسِ عِنْدَ اللهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَالِمٌ لاَ يَنْتَفِعُ بِعِلْمِهِ.
নিশ্চয় মানুষের মধ্যে সবচাইতে নিকৃষ্ট ঐ ব্যক্তি, যে ইলিম অর্জন করেছে, অথচ তার দ্বারা কোন ফায়দা হাছিল করতে পারেন বাকি অংশ পড়ুন...












