কিছুক্ষণ সময় ইলিম অর্জন করা
طَلَبُ العِلْمِ سَاعَةً خَيْرٌ مِنَ قِيَامِ لَيْلَةٍ
সারা রাত্র নামায পড়া থেকে অল্প সময় কিছু ইলিম হাছিল করা, তলব করা সেটা আফযল উত্তম। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বলা হয়েছে-
وَطَلَبُ الْعِلْمِ يَوْمًا خَيْرٌ مِّنْ صِيَامِ ثَلاَثَةِ أَشْهُرٍ
“একদিন কিছু ইলিম অর্জন করা, তিন মাস একাধারে রোযা রাখা থেকে উত্তম, আফযল। ” সুবহানাল্লাহ!
এত ফযীলত মহান আল্লাহ পাক তিনি দিয়েছেন যারা আলিম উনাদেরকে। যারা উলামায়ে হক্কানী, যারা উলামায়ে রব্বানী। তার বিপরীত যারা করবে, তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। যারা তার বিপরীত করবে, যারা ইলিম অর্জন করে ইলিম উনাক বাকি অংশ পড়ুন...
স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনিই প্রথমে আদেশ মুবারক করেছেন, ‘সমস্ত মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ছবি, গান-বাজনা, বাঁশি-সূর, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি সর্বপ্রকার হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকতে, বিরত থাকতে ও দূরে থাকতে। ’
১ম দলীল
মহান আল্লাহ পাক তিনি এ প্রসঙ্গে ইরশাদ মুবারক করেন,
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ
“তোমরা মূর্তি-ছবির অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকো। ”
২য় দলীল
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
وَلَقَدْ بَـعَثْـنَا فِـىْ كُلِّ اُمَّةٍ رَّسُوْلًا اَنِ اعْبُدُوا اللهَ وَاجْتَنِـبُوا الطَّاغُوْتَ
“অবশ্যই আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই একজন সম্মানিত রাসূল আলাইহিস স বাকি অংশ পড়ুন...
কারামত মুবারক:
* সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদিন ওয়াজ-নছীহত করছিলেন। এক সময় উনার দৃষ্টি মুবারক ডান দিকে পড়লো। সাথে সাথে তিনি সসম্মানে দাঁড়িয়ে গেলেন। অতঃপর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বসে গেলেন। লোকজনের নিকট উনার এভাবে দাঁড়ানো এবং বসা রহস্যজনক মনে হলো। মজলিস শেষে খাদিম ছাহিব উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, হুযূর! ক্ষমা করবেন। আপনি একই মজলিসে কয়েকবার দাঁড়ালেন। আবার বসলেন। এর হিকমত কি? তিনি বললেন, ডান দিকে আমার সম্মানিত শায়েখ উনার রওজা শরীফ। যখন আমার দৃষ্টি ডান দি বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ক্বিয়াম শরীফ উনার প্রমাণ
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
বর্ণিত আলোচনা থেকে যে দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়, সে পরিপ্রেক্ষিতে দৃঢ়তার সাথে বলতে হয় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আলোচনা মুবারক করার সময়ে অর্থাৎ সালাম পেশ করার সময় দাঁড়িয়ে যাওয়া ওয়াজিব। যেহেতু সম্মানিত ব্যক্তিকে উনার সামনে যেমন সম্মান করা হয়, উনার আড়ালেও তেমনভাবে সম্মান করতে হয়।
যেমন ইসলামী শরীয়ত উনার বহুল পরিচিত একটি মাসয়ালাকে এ বিষয়টি সহজভাবে বুঝার জন্যে দৃষ্টান্ত হিসেবে পেশ করা যেতে পারে।
পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ উ বাকি অংশ পড়ুন...
সেই ইমাম আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি ফক্বীহুল উম্মত তিনি ইন্তিকাল করার সময় অনেক আলিম-উলামা উনার সাথে সাক্ষাত করতে এসেছেন। বিশ্ব বিখ্যাত আলিম-উলামা উনারা এসেছেন, যারা উনার ছাত্রের অন্তর্ভুক্ত। আর কেউ কেউ সমসাময়িক।
একটা মাসয়ালা নিয়ে এক আলিমের কিছু চু-চেরা ছিল। তিনিও প্রবেশ করলেন হযরত আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কামরাতে। তখন উনার ইন্তিকাল মুবারক প্রায় নিকটবর্তী, তিনি মূমূর্ষ অবস্থায়। সেই আলিম যখন প্রবেশ করলেন, তখন তিনি সেই মাসয়ালাটা আলোচনা করলেন, যে মাসয়ালা নিয়ে একটু চু-চেরা কিল ও কাল ছিল। যেহেতু উনার সময় শেষ তাই তি বাকি অংশ পড়ুন...
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে দায়িমীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে রুজু থাকা। মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلِكُلٍّ وِجْهَةٌ هُوَ مُوَلِّيهَا
অর্থ: “আর সবার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিবলা। যে দিকে সে মুখ করে, রুজু হয়। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪৮)
ঠিক একইভাবে মুসলমানদের দায়িত্ব হচ্ছে, সমস্ত কাফিরদের থেকে ফিরে থাকা, তাদের কোন প্রকার অনুসরণ না করা, তাদের দিকে রুজু না হ বাকি অংশ পড়ুন...
উনার কতিপয় ক্বওল শরীফ:
হযরত মাসরূক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, মু‘মিন লোকের জন্য কবর অপেক্ষা উত্তম স্থান আর কিছুই নেই। এখানেই শুধু দুনিয়ার দুঃখ-চিন্তার পরিসমাপ্তি রয়েছে, শান্তি রয়েছে। আর মহান আল্লাহ পাক উনার শাস্তি থেকে নিরাপত্তা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার ধারণায় সবচেয়ে উত্তম আমি তখন মনে করি, যখন আমার খাদিম বলে; ঘরে আটাও নেই, দিরহামও নেই। (হিলইয়াতুল আওলিয়া)
হযরত মাসরূক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আবদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى وَاسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আর যখন আমি বললাম, হে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম! আপনারা জ্বিনসহ আমার যিনি খলীফা, আবুল বাশার হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সিজদা করুন। সকলেই সিজদা করলো। কিন্তু সে (ইবলীস) অস্বীকার করলো, অহংকার করলো, সে সিজদা করলো না। যার কারণে সে কাফির হয়ে গেলো। নাঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৪)
উল্লেখ্য, ইবলীস একটি আদেশ মুবারক অমান্য করার কারণে যদি সবচেয়ে ব বাকি অংশ পড়ুন...
জুমুয়ার দিন সকালে সকলেরই ভীড় হলো সেখানে, উজীর-নাজীর অন্যান্য যারা বিশিষ্ট ব্যক্তি রয়েছে, এমনকি স্বয়ং বাদশাও যথাসময় সেখানে পৌঁছলো। তিনি আলোচনার এক প্রসঙ্গে গিয়ে সেই ফতওয়ার কাগজটা বের করে বললেন যে- দেখ, রেশমী কাপড় যে ফতওয়া দেয়া হয়েছে, মূলতঃ সে সম্পর্কে ফতওয়াটা শুদ্ধ হয়নি। সামান্য কারণের জন্যই রেশমী কাপড় ব্যবহার জায়িয হতে পারেনা। রেশমী কাপড় পরিধান বা ব্যবহার জায়িয হতে পারে যদি মারাত্মক চুলকানী রোগ হয়। যেটা অন্যভাবে সুস্থতার কোন সম্ভাবনা না থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কারণ রয়েছে। সে কারণগুলো অনুপস্থিত থাকা অবস্থায় এ ফতওয়া দে বাকি অংশ পড়ুন...
শুধু উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্যই না; বরং পূর্ববর্তী সকল উম্মতের জন্যই পবিত্র কুরবানী উনার বিধান ছিলো। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنْسَكًا لِيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَى مَا رَزَقَهُمْ مِنْ بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ
অর্থ: আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য পবিত্র কুরবানী নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার দেয়া চতুস্পদ জন্তু যবেহ করার সময় মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নাম মুবারক উচ্চারণ করে। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৪)
মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...












