এ প্রসঙ্গে বলা হয়, হযরত যিয়াদ ইবনে লবিদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন-
ذَكَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَليْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا، فَقَالَ: ذَاكَ عِنْدَ أَوَانِ ذَهَابِ الْعِلْمِ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَيْفَ يَذْهَبُ الْعِلْمُ، وَنَحْنُ نَقْرَأُ الْقُرْآنَ، وَنُقْرِئُهُ أَبْنَاءَنَا، وَيُقْرِئُهُ أَبْنَاؤُنَا أَبْنَاءَهُمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ؟ قَالَ: ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ زِيَادُ إِنْ كُنْتُ لأَرَاكَ مِنْ أَفْقَهِ رَجُلٍ بِالْمَدِينَةِ، أَوَلَيْسَ هَذِهِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى، يَقْرَؤُونَ التَّوْرَاةَ وَالإِنْجِيلَ لاَ يَعْمَلُونَ বাকি অংশ পড়ুন...
ইয়ামানের কথিত কাবা যুল খালাছা মন্দির ধ্বংস করার নির্দেশ মুবারক
১ম দলীল
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ جَرِيْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ لِـىْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلَا تُرِيْـحُنِـىْ مِنْ ذِى الْـخَلَصَةِ وَكَانَ بَــيْـتًا فِـيْهِ خَثْـعَمُ يُسَمّٰى كَعْبَةَ الْيَمَانِـيَةَ فَانْطَـلَقْتُ فِـىْ خَـمْسِيْـنَ وَمِائَةٍ مِّنْ اَحْـمَسَ وَكَانُـوْا اَصْحَابَ خَيْلٍ فَاَخْبَـرْتُ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنِّـىْ لَا اَثْـبُتُ عَلَى الْـخَيْلِ فَضَرَبَ فِـىْ صَدْرِىْ حَتّٰـى رَاَيْتُ اَثَـرَ اَصَابِعِهٖ فِـىْ صَدْرِىْ فَـقَالَ اَللّٰهُمَّ ثَـبِّـتْ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি চিশতীয়া খান্দানের পরবর্তী শাহানশাহ মনোনীত করে গদীনশীন করা:
এ বিষয়ে হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি স্বীয় গ্রন্থ “দলীলুল আরেফীন” কিতাবের মধ্যে বলেছেন, ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার), স্থান আজমীর শরীফ জামে মসজিদ। আমি অধম সুলত্বানুল হিন্দ, হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত ক্বদম মুবারকে চুম্বন করলাম। এটি ছিলো হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাই বাকি অংশ পড়ুন...
পলাশীর আম্রকাননে ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়। এরপর শতাব্দীব্যাপী স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার আন্দোলন অব্যাহত থাকে। ১৭৫৭-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই আন্দোলন ছিলো মূলতঃ ফকীর ও সন্নাসীদের নেতৃত্বে পরিচালিত। ফকীর নেতা মজনু শাহ এসব বিদ্রোহের কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন। হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার চিন্তা-চেতনা এসব আন্দোলনে উৎসাহ যোগায়।
হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি (১৭৪৬-১৮২৩ খ্রিস্টাব্দ) উনার ভারতকে ‘দারুল-হারব’ ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই আন্দোলন বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ ۚ أَتُرِيدُونَ أَن تَجْعَلُوا لِلَّهِ عَلَيْكُمْ سُلْطَانًا مُّبِينًا ﴿١٤٤﴾
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা মু’মিন ব্যতীত কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। (কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে) তোমরা কি চাও, তোমাদের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য স্পষ্ট প্রমাণ পেশ করতে? (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪৪)
বাকি অংশ পড়ুন...
প্রত্যেকেই তার ক্বিবলার দিকে প্রত্যাবর্তন করেন এবং যিনি যাকে মুহব্বত করেন তার জন্যই সমস্ত কিছু কুরবানী করে দেন, উজাড় করে দেন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সম্মানার্থে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা খরচ করেছেন একং উনাদের মধ্যে অন্যতম খলীফাতু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনিও অনেক খরচ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ক্বিয়াম শরীফ উনার প্রমাণ
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
উল্লেখ্য, বিশ্বখ্যাত ফিক্বাহ উনার কিতাব রদ্দুল মুহতার ও হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগাহ কিতাবে উল্লেখ আছে যে, ক্বিয়াম তিন প্রকার-
(১) ক্বিয়ামে তাকাব্বুরী: এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَاتَقُوْمُوْا كَمَا يَقُوْمُ الْاَعَاجِمُ
অর্থ: “আপনারা আজমীদের মত (মাথা নিচু করে নমস্কারের ছূরতে) দাঁড়াবেন না। ” এরূপ ক্বিয়াম ইসলামী শরীয়ত উনার আলোকে সম্পূর্ণ নাজায়িয ও হারাম।
(২) ক্বিয়ামে হুব্বী: যেমন- সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, বাকি অংশ পড়ুন...
আর এটাও মনে রাখতে হবে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন-
إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ اِنْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةٍ إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ
মানুষ যখন সকলে মরে যাবে বা ইন্তেকাল করবে
اِنْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةٍ
তখন তিনটা আমল ছাড়া তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যাবে
صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ
এক নম্বর হচ্ছে- ছদ্কায়ে জারিয়াহ্। যেটা মসজিদ, মদ্রাসা, ইয়াতিমখানা, লঙ্গরখানা, রাস্তা-ঘাট যা রয়েছে, পানির ব্যবস্থা যা রয়েছে, এগুলো সে যা করে যাবে। যতদিন থাকবে, ততদিন সে তার ফ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী সম্মানিত ক্বদমবুছী মুবারক নেয়া বা করার জন্য অনুমতি দান করা আখাছ্ছুল খাছ সুন্নাত মুবারক:
قدم(ক্বদম) শব্দটি আরবী। এটি আরবী এবং ফার্সী উভয় ভাষায় ব্যবহার হয়, যার অর্থ ‘পা’। আরبوسى ‘বূছী’ শব্দটি ফার্সী, যার অর্থ ‘বুছা দেয়া বা চুম্বন করা’। সুতরাং قدم بوسى (ক্বদমবূছী) অর্থ ‘পায়ে বুছা দেয়া বা পদচুম্বন করা’। আরدست (দস্ত( শব্দটি ফার্সী, যার অর্থ ‘হাত’। সুতরাং بوسى دست (দস্তবূছী) অর্থ ‘হাতে বুছা দেয়া’। এক্ষেত্রে দুটি বিষয় রয়েছেন- ১. সরাসরি হাতে বুছা দেয়া, ২. হাত দ্বারা পা স বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, খারাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন না, ভাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন, يَقُولُهَا ثَلاَثًا নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তিনবার বললেন, হে ব্যক্তি! আপনি আমাকে খারাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাস করবেন না, ভাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন।
যখন উনি বার বার বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেহারা মুবারক লাল হয়ে গেল। উনি বললেন-
أَلاَ إِنَّ شَرَّ الشَّرِّ شِرَارُ الْعُلَمَاءِ وَإِنَّ خَيْرَ الْخَيْرِ خِيَارُ الْعُلَمَاء বাকি অংশ পড়ুন...












