পর্দা ফরয করার জন্য প্রথম যে আয়াত শরীফ নাযিল করেছেন তা সূরা আহযাব শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَانِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا. وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا. وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا
এই আয় বাকি অংশ পড়ুন...
(৮) হযরত আবুল হাসান বুসঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদিন গোসল করছিলেন। হঠাৎ উনার মনে খেয়াল হলো যে, উনার একটি জামা একজন দরবেশকে দেয়া উচিত। তিনি তখনই উনার খাদেমকে ডাকলেন এবং বললেন যে, এ জামাটি যেন অমুক দরবেশকে এই মুহূর্তে দিয়ে আসা হয়। খাদেম বিনয় সহকারে বললেন, “হুযূর! এত তাড়া কিসের? আপনি গোসল সেরে আসুন। তারপর ধীরে সুস্থে দিয়ে আসি। ” হযরত আবুল হাসান বুসঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “না, তা হবে না। তুমি এখন এই মুহূর্তে কাজটি সেরে আসো। কেননা আমার ভয় হয় যে, আমি গোসল সেরে আসতে আসতে অভিশপ্ত শয়তান আমাকে ধোঁকায় ফেলে দিয়ে আমার এ খেয়াল বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি চিশতীয়া খান্দানের পরবর্তী শাহানশাহ মনোনীত করে গদীনশীন করা:
এখন আমি আপনার নিকট এ সম্মানিত আমানত সোপর্দ করলাম। এর হক্ব যেভাবে আমি ও আমার পূর্ববর্তী তরীকার বুযূর্গগণ আদায় করে এসেছেন, আপনিও তদ্রƒপ আপনার পরবর্তী বুযূর্গ উনাদেরকে এ সম্মানিত আমানত হস্তান্তর করে এর হক্ব যথাযথভাবে আদায় করতে বলবেন। যাতে হাশরের ময়দানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনে আমাকে লজ্জিত হতে না হয়।
আমি উনা বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি উল্লেখ করেন-
فَطَوَّعَتْ لَهُ نَفْسُهُ قَتْلَ أَخِيهِ فَقَتَلَهُ فَأَصْبَحَ مِنَ الْخَاسِرِينَ
“কাবিলের নফ্স্ কাবিলকে উত্তেজিত করেছে, ওয়াস্ওয়াসা দিয়েছে, কু-মন্ত্রণা দিয়েছে”- قَتْلَ أَخِيهِ
“তার ভাই হাবিলকে হত্যা করার জন্য। ”
فَقَتَلَهُ فَأَصْبَحَ مِنَ الْخَاسِرِينَ
“কাবিল হাবিলকে হত্যা করলো এবং সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলো। ”
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “দেখ, কাবিল হাবিলকে হত্যা করলো। মহান আল্লাহ পাক উনার যমীনে সবচাইতে প্রথম যে হত্যা সংঘটিত হলো তা হলো কাবিলের দ বাকি অংশ পড়ুন...
লাত মূর্তি ধ্বংস করার নির্দেশ মুবারক
১ম দলীল
তায়েফের সম্মানিত জিহাদ মুবারক সংঘটিত হওয়ার পর সাক্বীফ গোত্রের লোকজন যখন মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন, তখন উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে যে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তার মধ্যে একটি ছিল এই যে,
اَنْ يَّدَعَ لَـهُمُ الطَّاغِيَةَ وَهِىَ اللَّاتُ لَا يَـهْدِمُهَا ثَلَاثَ سِنِـيْـنَ فَاَبٰـى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَـيْهِمْ فَمَا بَرِحُوْا يَسْاَلُوْنَهٗ سَنَةً سَنَةً وَيَـأْبٰـى عَلَيْهِمْ حَتّٰـى سَاَلُوْهُ شَهْرًا وَاحِدًا بَـعْدَ قُدُوْمِهِمْ فَاَبٰـى عَلَـيْهِمْ اَنْ يَّدَعَهَا شَ বাকি অংশ পড়ুন...
(৬) হযরত আহমদ খাযরাবিয়্যাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, দীর্ঘকাল যাবৎ আমি আমার নফসের উপর কঠোর ব্যবহার করে আসছি। একবার একদল মুজাহিদ জিহাদে যাচ্ছিলেন। আমিও জিহাদে যাবার ইচ্ছা পোষণ করলাম। সঙ্গে সঙ্গে নফস আমাকে সে সমস্ত হাদীছ শরীফ স্মরণ করে দিলো, যা জিহাদের ছওয়াব সম্বন্ধে এসেছে। তৎক্ষণাৎ আমি মনে মনে ভাবলাম, ইবাদতের উদ্দীপনা তো কোন সময় নফসের তরফ থেকে আসে না। এটা নিশ্চয়ই নফসের ধোঁকা। কেননা আমি নফসকে সর্বদা রোযার উপর রাখি। অনবরত অনাহারে থাকার কারণে আমার পক্ষে এ সফরে যাবার ক্ষমতা ছিলো না। নফস এখন সফরে যাবার জন্য প্রেরণা দিচ্ বাকি অংশ পড়ুন...
এতে যেমন কুরবানীদাতার কুরবানী নিশ্চিতরূপে মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফ-এ কবুল ও মঞ্জুর হবে, সাথে সাথে এ জন্য বিশেষ ফযীলত, বারাকাত, ফুয়ুজাত, নিয়ামত, রহ্মত, মাগফিরাত, নাযাত সর্বপোরি মহান আল্লাহ্ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করাও সহজ এবং সম্ভব হবে।
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
ওযু ব্যতীত তাওয়াফ করলে তার হুকুম কি?
জাওয়াব:
ওযু ব্যতীত তাওয়াফে কুদূম ও তাওয়াফে বিদা করলে ছদকা ওয়াজিব। আর অপবিত্র অবস্থায় তাওয়াফে কুদূম অথবা তাওয়াফে বিদা করলে একটি ছাগল দম দিতে হবে।
আর ওযু ব্যতীত তাওয়ারফে যিয়ারত করলে একটি ছাগল দম হিসেবে দিতে হবে। আর অপবিত্র অবস্থায় তাওয়াফে যিয়ারত করলে একটি উট দম হিসেবে দিতে হবে। তবে পুনরায় তাওয়াফ করা উত্তম। আর পুনরায় তাওয়াফ করলে দম দেয়া ওয়াজিব হবে না।
সুওয়াল:
তাওয়াফে যিয়ারত আদায় করা কি? তা যদি নির্দিষ্ট সময় আদায় না করে তার হুকুম কি?
জাওয়াব:
তাওয়াফে যিয়ারত আদায় করা ফরয। তা যদি নির্দ বাকি অংশ পড়ুন...












