নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنَ النِّسَاءِ.
আমার পরে মহিলা ফিতনা (পরীক্ষা) পুরুষদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
মূলত, বেপর্দার কারণেই মহিলারা আজ মান, সম্মান, ইজ্জত হারাচ্ছে ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে নিত্য-নতুন ফিতনা-ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলা। নাউযুবিল্লাহ! বাকি অংশ পড়ুন...
যেটা আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্য হাদীছ শরীফে বলেছেন-
اَلنِّسَاءُ حَبَائِلُ الشَّيْطَانِ
‘মেয়েরা হচ্ছে শয়তানের রজ্জু বা রশি। ’
যাদের মাধ্যম দিয়ে পুরুষদেরকে ওয়াসওয়াসা দেয়া হয়, ফিৎনাগ্রস্ত করা হয়। একটা মেয়েকে দেখে মানুষ ফিৎনায় পড়ে তখনই যখন তার চেহারা দেখে অথবা হাত-পা দেখে অতঃপর যখন সে আকৃষ্ট হয়ে যায়। যদি একটা মেয়ে আবৃত থাকে তাহলে সেখানে তার আকৃষ্ট হওয়ার কিছু থাকে না।
যখন তার চেহারা খোলা থাকে, হাত-পা খোলা থাকে তখন সে সেটা দেখে, সে দিকে শয়তানের ওয়াসওয়াসার কারণে আকৃষ্ট হয়ে থাকে এব বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُحَرِّمُوا طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
অর্থ: হে মু’মিনগণ, তোমরা ঐসব পবিত্র-উত্তম বিষয়সমূহ হারাম করো না, যেগুলো মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের জন্য হালাল করেছেন এবং এ বিষয়ে সীমালঙ্গন করো না। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সীমালঙ্গনকারীদের পছন্দ করেন না। (পবিত্র সূরা মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৭)
বাকি অংশ পড়ুন...
(جَارِيَةٌ) ‘জারিয়াহ’ শব্দটি আরবী এবং একবচন। এর বহুবচন (جَوَارِي) জাওয়ারী ও (جَارِيَات) জারিয়াত। শব্দটি একাধিক অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যথা: কন্যাশিশু, কন্যা, মেয়ে, তনয়া, দুহিতা, বালিকা, তরুণী, বাঁদী, চাকরানী, নৌকা, জাহাজ, নৌযান ইত্যাদি।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে দু’জন হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিমাস সালাম উনাদের শান মুবারকে ‘জারিয়াহ’ শব্দটির ব্যবহার উল্লেখ রয়েছে। একজন হচ্ছেন হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি। আর অপরজন হচ্ছেন হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছানিয়া আশার ক্বিবতিয়া আলাইহাস সালাম তিনি। উনারা দুজনই বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ত্রয়োদশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ:
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَن حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا دِينَهَا"
অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এই উম্মতের জন্য প্রত্যেক শতাব্দীর শুরুতে এমন একজন ব্যক্তিকে প্রেরণ করেন, যিনি উনার যামানায় সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সংস্কার করেন। ” (আবু দাউদ শরীফ)
এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় আল্লামা রুহুল আমীন বশি বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে, উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ উনার সম্মানিত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের সম্পর্কে, উনার সম্মানিতা আওয়াজে মুত্বহহারাত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে এবং উনার সম্মানিত আওলাদ হযরত আবনা আলাইহিমুস সালাম ও হযরত বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সুমহান শান বা মর্যাদার খিলাফ আচরণ যারা প্রকাশ করবে, উনাদের সম্পর্কে কটুক্তি করবে, সমালোচনা করবে, ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করবে, অবমাননাকর বা অসম্মানসূ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُوْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ حَدَّثَتْهُ اَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَـمْ يَكُنْ يَتْرُكُ فِىْ بَيْتِهِ شَيْئَا فِيْهِ تَصَالِيْبُ اِلَّا نَقَضَهُ
অর্থ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বীয় পবিত্র হুজরা শরীফ-এ (প্রাণীর) ছবিযুক্ত কোনো জিনিসই রাখতেন না। দেখলেই ভেঙ্গে চূর্ণ করে দিতেন। (বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্ বাকি অংশ পড়ুন...
তবে বিশেষ করে মেয়েদের জন্য, তারা যখন নামায পড়বে, নামায পড়া অবস্থায় তাদের চেহারা এবং হাতের কব্জি থেকে অতিরিক্ত, পায়ের গিরা থেকে অতিরিক্ত নিচে যা রয়েছে, সেটা বের করে দিয়ে যদি তারা নামায পড়ে তাদের নামায শুদ্ধ হবে। কিন্তু এর চাইতে অতিরিক্ত অর্থাৎ চেহারা থেকে অতিরিক্ত যা কিছু রয়েছে, হাতের কব্জির উপর যা কিছু রয়েছে, পায়ের গিরার উপর যা কিছু রয়েছে, সেখান থেকে কোন অঙ্গের যদি এক চতুর্থাংশ, তিন তাসবীহ পরিমাণ বের হয়ে যায়, অথবা বের হয়ে থাকে নামাযের মধ্যে তাহলে তার নামায শুদ্ধ হবে না। তবে শুধু চেহারা, হাতের কব্জির অতিরিক্ত, পায়ের গিরার নিচের অতি বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالـٰى عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا
অর্থ: “হযরত আমর বিন শুয়াইব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উনার সম্মানিত পিতা উনার থেকে এবং তিনি উনার সম্মানিত দাদা (হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু) উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে বিজা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ مَنَعَ مَسَاجِدَ اللهِ أَنْ يُذْكَرَ فِيهَا اسْمُه‘ وَسَعَى فِي خَرَابِهَا اُولٰئِكَ مَا كَانَ لَهُمْ اَنْ يَدْخُلُوهَا إِلَّا خَائِفِينَ لَهُمْ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَلَهُمْ فِي الْاٰخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ.
অর্থ: ওই ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম আর কে? যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত মসজিদসমূহে উনার যিকির মুবারক করতে, উনার সম্মানিত নাম মুবারক উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় বা বিরাণ করতে চেষ্টা করে। তাদের জন্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় অর্থাৎ খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করা ব্যতীত মসজিদসমূহে প্রবেশ করা জায়ি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يـَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاَمْرَأَةٍ اِلَّا ثَالِثُهَا الشَّيْطَانُ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, (মহান আল্লাহ পাক উনার কসম!) কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে একাকী হলেই শয়তান এসে তাদের তৃতীয় ব্যক্তি হয়। অর্থাৎ তাদের উভয়কেই গুনাহের কাজে লিপ্ত করার জন্য ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে। ” নাউযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন-
وَأَنْ يَسْتَعْفِفْنَ خَيْرٌ لَهُنَّ
তাদের উত্তম হবে, এ অবস্থায়ও যদি তারা পর্দা করে,
وَاللهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
মহান আল্লাহ পাক তিনি শ্রবণকারী ও জ্ঞানী।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পূর্বের আয়াত শরীফে বলেছেন, তোমরা পর্দা করবে, হ্যাঁ, যদি অনিচ্ছাসত্তে¦ কিছু বের হয়ে যায়, সেটা কি? সেটা সম্পর্কে ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। আর এ আয়াত শরীফে বলা হয়েছে, ঐ সমস্ত মহিলা যাদের বয়স অনেক হয়ে গেছে, বিবাহের বয়স অতিবাহিত হয়ে গেছে, যারা বিবাহের চিন্তাই করে না, মানুষও চিন্তা করে না। এ সমস্ত মহিলা যারা রয়েছেন, তাদের যদি অতিরিক্ত কাপড় খুলে তারা রাখে, স বাকি অংশ পড়ুন...












