প্রশ্ন: তৎকালীন সময়ে কিছু জুহালায়ে সূ তাদের বক্তবের মধ্যে একটি হাদীছ বর্ণনা করে বলে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গরুর গোস্ত কম কম খেতে বলেছেন। নাঊযুবিল্লাহ! তার উল্লেখিত হাদীছটি হলো: أَلْبَانُهَا شِفَاءٌ، وَسَمْنُهَا دَوَاءٌ، وَلُحُومُهَا دَاءٌ এখন প্রশ্ন হলো এ হাদীছটি কতটুকু ছহীহ, এবং তার উপর আমল করা যাবে কি-না?
উত্তর: মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের ফতওয়া অনুযায়ী এ হাদীছ মাওজূ’, মুনক্বাতি’, মাতরুক এবং মাকযুব বা জ বাকি অংশ পড়ুন...
وَيُبْدِينَ عَيْنًا وَاحِدَةً
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেছেন, মুহাক্কিক, মুদাক্কিক যারা উনারা বলেছেন, একটা চক্ষু বের করে রাখতে পারে। তবে অনেকে বলেছেন, যদি একটা চক্ষু বের করতেই হয় তাহলে যেন বাম চক্ষু সে বের করে রাখে অথবা অপারগতায় ডান চক্ষু সে বের করতে পারে। সেটা দিয়ে সে দেখে দেখে রাস্তা চলবে। কিন্তু কোন বেগানা পুরুষও তাকে দেখবে না। সেও কোন বেগানা পূরুষকে দেখতে পাবে না।
শুধু সে রাস্তা চলতে পারবে এবং সেজন্যই বলা হয়েছে, কোন মহিলা বা কোন মেয়ে যদি কোন প্রয়োজনে বের হয় তাহলে যেন একাকী বের না হয়, সাথে আরেকজনকে রাখে। এখ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلٰى تِجَارَةٍ تُنْجِيْكُم مِّنْ عَذَابٍ أَلِيْمٍ . تُؤْمِنُوْنَ بِاللهِ وَرَسُوْلِهٖ وَتُجَاهِدُوْنَ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ ۚ ذٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنتُمْ تَعْلَمُوْنَ.
অর্থ: হে ঈমানদারগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন একটা ব্যবসার কথা বলে দেবো, যা তোমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি দিবে? তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উপর পবিত্র ঈমান আনবে এবং মহান আল্লাহ পাক উনা বাকি অংশ পড়ুন...
‘পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ আমাদের কাছে অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ এবং বরকত, রহমত, সাকীনা হাছিলের দিন। হাদিয়া মুবারক দেয়া এবং দান-ছদক্বা করার দিন। ‘আখির’ অর্থ শেষ এবং ‘চাহার শোম্বাহ’ অর্থ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)।
হিজরী সনের পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) কে পবিত্র ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ শরীফ বলা হয়। কারণ এগারো হিজরী সনের পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) দিন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বেশ কিছু দিন মারীদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করার বাকি অংশ পড়ুন...
হিন্দুস্থানের বড় বড় আলিম-উলামা উনাদের বাইয়াত গ্রহণ:
যখন আলিম কুল শিরোমনি, হযরত মাওলানা আব্দুল হাই রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট বাইয়াত হলেন, তখন দিল্লীতে একটা সাড়া পড়ে গেলো। কেউ বললো, আপনি এত বড় আলেম হওয়ার পরেও উনার নিকট বাইয়াত হওয়ার কি দরকার ছিলো?
জবাবে তিনি বলেন, আমি হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট বাইয়াত হয়ে উনার পিছনে মুক্তাদী হিসেবে দু’রাকাত নামায পড়েছি। ঐ দু’রাকাত নামাযে আমার যা কিছু হাছিল হয়েছে তা সারা জীবনেও হয়নি। ঐ দু’রাকায়াত নামা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
حُبُّ الصَّحَابَةِ إيْمَانٌ وَ بُغْضُهُمْ كُفْرٌ
অর্থ: হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান, আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী। (কানযুল উম্মাল)
বাকি অংশ পড়ুন...
ذَلِكَ أَدْنَى
এটা হচ্ছে ঐ আমলের নিকটবর্তী অর্থাৎ অতটুকুর মাধ্যমে তার তাক্বওয়া, তার পরহেযগারী জাহির হবে, প্রকাশ পাবে ।
أَنْ يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ
এটা হচ্ছে, ঐ মহিলা যে পর্দানশীন, পরহেযগার, নেক্কার, আল্লাহওয়ালী সেটা চিনার একটা লক্ষণ। যার কারণে যারা বদ চরিত্র, বদ খাছলতের রয়েছে তারা তাদেরকে আর উত্যক্ত করবে না, বিরক্ত করবে না।
وَكَانَ اللهُ غَفُورًا رَحِيمًا
মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
আয় আমার নবী, আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, সবাইকে বলে দিন, বিশেষ করে যারা উম্মূল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনা বাকি অংশ পড়ুন...
১) উনাদেরকে পুত-পবিত্র করে সৃষ্টি করা হয়েছে।
২) উনারা কায়িনাতবাসী সকলেরই মাতা।
৩) উনাদের মুহব্বত ঈমানের অন্তর্ভুক্ত।
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হজ্জ পালন ও সম্মানিত রওজা শরীফ যিয়ারত মুবারক:
১২৩৬ হিজরী মোতাবেক, ইংরেজী ১৮২১ সালে হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এক বিশাল কাফেলাসহ পবিত্র হজ্জ পালনের জন্য হারামাইন শরীফের উদ্দেশ্যে গৃহ ত্যাগ করেন। পথের বিভিন্ন জায়গা যেমন ইলাহাবাদ, বেনারস, মির্জাপুর, চুনারগড়, গাজীপুর, দানাপুর, ফুলওয়ার শরীফ, আজিমাবাদ, কলিকাতা, তিব্বত প্রভৃতি জায়গা হতে উনার নিকট হাজার হাজার লোক এসে বাইয়াত হয়ে উনার কাফেলায় শরীক হয়। ১৮২২ সালের ১৬ই মে তিনি পবিত্র হারাম শরীফে প্রবেশ করেন। এই সময় পবিত্র হারামাইন শরীফের আলিম-উলামাগ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত কাতাদাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে বলা হয়েছে- তার কবরটিকে সত্তর হাত প্রশস্ত করে দেয়া হবে এবং (কিয়ামত পর্যন্ত সময়ের জন্য তা সবুজে ভরপুর করে দেয়া হবে)। ’ এরপর তিনি হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পবিত্র হাদীছ শরীফে ফিরে আসেন। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন-
قَالَ وَأَمَّا الْمُنَافِقُ وَالْكَافِرُ فَيُقَالُ لَهُ مَا كُنْتَ تَقُوْلُ فِيْ هَذَا الرَّجُلِ فَيَقُوْلُ لَا أَدْرِيْ كُنْتُ أَقُوْلُ مَا يَقُوْلُ النَّاسُ فَيُقَالُ لَا دَرَيْتَ وَلاَ تَلَيْتَ وَيُضْرَبُ بِمَطَارِقَ مِنْ حَدِيْدٍ ضَرْبَةً فَيَصِيْحُ صَيْحَةً يَسْمَعُهَا مَنْ يَّلِيْهِ غَيْرَ الثَّقَلَيْنِ
আর মুনাফি বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ইলিম অর্জন করতে হবে মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি হাছীলের লক্ষ্যে। তাহলে সহজেই পূর্ণতায় পৌঁছা সহজ ও সম্ভব হবে। অন্যথায় হালাকী ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। কেননা, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে-
تَعَلَّمْنَا الْعِلْمَ لِغَيْرِ الله، فَأَبى العِلْم أنْ يَكُونَ إِلَّا لله
অর্থঃ- মহান আল্লাহ পাক ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে ইলিম অর্জন করা হলে ইলিম তাকে অস্বীকার করে। ইলিম বলে আমি মহান আল্লাহ পাক ছাড়া অন্য কারো জন্য হবো না।
এর ব্যাখ্যায় বলা হয়- ইলিম অর্জনকারীর দুটি অবস্থা। ১. ইলিম দ্বারা সে উপকার লাভ করবে। অর্থাৎ ইলিম তাকে হিদায় বাকি অংশ পড়ুন...












