সাধারনতঃ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ এবং উনাদের আলোকে পবিত্র ইজমা শরীফ এবং পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ সংক্রান্ত ইলিম অর্জনকারী ও আমলকারী ব্যক্তিকে আলিম বলা হয়। কিন্তু অত্যন্ত আফসুসের বিষয় যে, উক্ত আলিম নামধারী ব্যক্তিরা পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার অর্থ ও মর্ম উপলব্ধি করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
উম্মুল কুরআন এবং ফাতিহাতুল কিতাব পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দা- নবী, ছিদ্দীক্ব, শহীদ ও ছলেহ উনাদের প্রদর্শিত বা অনুসৃত পথে চলার জন্য ব বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
অর্থ: তোমরা খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ ও অনুকরণ করো; অবশ্যই তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হবে। (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩২)
অর্থাৎ উম্মত হিসেবে মাথার তালু থেকে পায়ের তলা এবং হায়াত থেকে মউত পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ ও অনুকরণের মধ্যেই রয়েছে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত। এর লক্ষ-কোটি ব বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
“যে ব্যক্তি খুশির সাথে পবিত্র ঈদে মীলাদে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপন করে রৌপ্যের অথবা স্বর্ণের দিরহামসমূহের উপর ফুঁক দেয়, অতঃপর তা অন্য জাতীয় মুদ্রার সাথে মিশায় তাহলে তাতে অবশ্যই বরকত হবে এবং এর পাঠক কখনই ফকীর হবে না। আর উক্ত পাঠকের হাত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বরকতে কখনো খালি হবে না। ” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’য়ামাতুল কুবরা)
খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পা বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
অর্থাৎ মহাসম্মানিত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের যে শান মুবারক, এমন সম্মানিত নৈকট্য মুবারক, এমন সম্মানিত নিছবত মুবারক, সম্মানিত কুরবত মুবারক দায়িমী ২৪ ঘন্টা। এর মধ্যে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম বা অন্যকোন যেই হোক না কেন, কারো কোন প্রবেশ করার সুযোগ নেই। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! তাহলে উনাদের সম্মানিত শান-মান কতটুকু, ফযীলত মুবারক মানুষ কি ব্যাখ্যা করবে? উনাদের সম্পর্ বাকি অংশ পড়ুন...
গাউছুল আ’যম সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছাহিবজাদা কুতুবুল মাশায়িখ হযরত আব্দুর রাযযাক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, আমার সম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউসুল আ’যম হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদিন জুমুয়া উনার নামায পড়ার জন্য বের হলেন। আমি এবং আমার আরো দুই ভাই হযরত আব্দুল ওহাব রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ঈসা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে ছিলাম। পথিমথ্যে বাদশাহের তিনটি শরাবের পাত্র আমাদের নিকট দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। উহার দুর্গন্ধ এত অধিক মাত্রায় বের হচ্ছিল যে, সহ্য ক বাকি অংশ পড়ুন...
যাকাতদাতার দায়িত্ব-কর্তব্য
ইহতিকার বা মওজুদকরণের বিধান : মূল্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে মানুষের জীবন ধারণের পক্ষে আবশ্যক কোন খাদ্যবস্তুকে মওজুদ রাখা, ধরে রাখা, আটক রাখা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, বিশেষ করে দুষ্প্রাপ্যতার সময়ে। এটাকে সম্মানিত শরীয়ত উনার পরিভাষায় ‘ইহতিকার’ বলে। ইহতিকার দ্বারা মানুষের মনুষ্যত্ব লোপ পায়, পাপ বৃদ্ধি পায় এবং তাদের মধ্যে হিং¯্র প্রবৃত্তি ও ডাকাতী স্বভাব প্রকাশ পায়।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ مَعْمَرٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله বাকি অংশ পড়ুন...
সমঝ ও বিচক্ষণতা (৬)
একদিন অনেক লোক একত্রিত হয়ে ইমামুল মুসলিমীন, ইমামুল মুহাদ্দিসীন ওয়াল ফুক্বাহা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার খিদমত মুবারকে হাজির হলো। জিজ্ঞাসা করলো, জামায়াতের সাথে নামায আদায়কালে ইমাম সাহেবের সাথে মুক্তাদিকেও সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করতে হবে কিনা? সাইয়্যিদুনা ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাদেরকে বললেন, তোমাদের এতো লোকের সাথে আমি একাকী কথা বলবো কিভাবে? বরং তোমরা একজনকে আমার সাথে কথা বলার জন্য মনোনীত করো। তার সাথে আমার কথোপকথনকেই পুরো জামায়াতের সাথে কথোপকথন বলেই তোমরা স্বীকার করে বাকি অংশ পড়ুন...
وَلَكِنْ يَا حضرت حَنْظَلَةُ رضى الله تعالى عنه سَاعَةٌ وَسَاعَةٌগ্ধ ثَلَاث مَرَّات.
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে হযরত হানযালা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! যে হ্যাঁ ঠিকই আছে। কখনও আমার মহাসম্মানিত ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করলে এ রকম অবস্থা হবে আর কখনও দূরে গেলে এরকম হবে। আর এটিই হচ্ছে স্বাভাবিক। এটাই হচ্ছে স্বাভাবিক একটা অবস্থা। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তিনি এ মহাসম্মানিত কথা মুবারক তিনবার বললেন। এখন বলার বিষয় হচ্ছে, এটা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের গভীর তায়াল্লুক, নৈকট্য, নিছবত, মুহব্বত, সন্তুষ্টি হাছিলের জন্য অতি প্রিয় ও পছন্দনীয় সম্পদ বা বস্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে পেশ করেছেন।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অত্যন্ত প্রিয় ছাহাবী হযরত যায়িদ ইবনে হারিসা রদ্ বাকি অংশ পড়ুন...
শায়েখ আবুল হাসান আলী কবশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন- ৫৪৭ হিজরীতে আমি ও শায়েখ আলী বিন হায়তী সাইয়্যিদুল আওলিয়া হযরত শায়েখ মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবার শরীফ-এ বসা ছিলাম। তখন হযরত আবু গালেব ফজলুল্লাহ বিন ইসমাইল রহমতুল্লাহি আলাইহি নামে এক ব্যবসায়ী উনার নিকট এসে বলে লন, হুযূর! বেয়াদবি ক্ষমা চাই! আপনার নানাজান নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন- ‘যদি কেউ দাওয়াত দেয়, তা কবুল করা উচিত।’ আমি আপনাকে আমার গরিবালয়ে দাওয়াত দিচ্ছি। তিনি বললেন- যদি অনুমতি বাকি অংশ পড়ুন...
৭১. প্রসঙ্গ: পুনর্জন্ম ও জন্মান্তর বিশ্বাস করা কুফরী
বাতিলপন্থীদের আক্বীদা: মানুষ নির্বাণ লাভ না করে মরে গেলে সে তার পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্যে পুনরায় লুলা-ল্যাংড়া, অন্ধ অথবা গরু-ছাগল ইত্যাদি ছূরতে দুনিয়ায় আসবে। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: উল্লিখিত আক্বীদায় বিশ্বাসী হচ্ছে হিন্দু-বৌদ্ধরা। মুসলমানদের জন্যে এ আক্বীদা বিশ্বাস করা কুফরী। কেননা, পবিত্র কালামুল্লাহ্ শরীফ-এর আয়াত শরীফ দ্বারাই প্রমাণিত যে, মানুষ ইন্তিকাল করার পর পুনরায় পৃথিবীতে আগমন করবেনা। ছূফীবাদ বা তরীক্বতের নাম দিয়ে যারা এ আক্বীদা পোষণ করে তারা বি বাকি অংশ পড়ুন...












