‘ফসলী সন’ যখন প্রবর্তিত হয়, তখন কিন্তু ১২ মাসের নাম ছিল-: কারওয়াদিন, আরদিভিহিসু, খারদাদ, তীর, আমরারদাদ, শাহরিয়ার, মিহির, আবান, আয়ুব, দায়, বাহমান ও ইসকান্দার মিয। পরবর্তী পর্যায়ে সেগুলো বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ ইত্যাদিতে রূপান্তরিত হয়। এখানে স্পস্ট যে ফারসী নাম পরিবর্তন করে নক্ষত্র অনুযায়ী নামকরণ করা হয়। কারণ অনেক নক্ষত্রের নামে হিন্দুদের দেবতা আছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করে যে, নাক্ষত্রিক নিয়মে বাংলা সনের মাসগুলোর নাম নিম্নে বর্ণিত নক্ষত্রসমূহের নাম থেকে উদ্ভুত হয়েছে-
মাসের নাম নক্ষত্রের নাম
বৈশাখ বিশাখা
জ্যৈষ্ঠ জ্যেষ্ঠা
শ্রা বাকি অংশ পড়ুন...
انابة (ইনাবত) মাক্বাম হাছিলকারীগণের হালত বা অবস্থা
অধিক ইবাদত করেছো বলেও অহংকার করো না। কারণ, ইবলিস ৬ লক্ষ বছর ইবাদত-বন্দেগী করেছিলো। ভেবে দেখো তার কি পরিণতি হয়েছিল। অধিক ইলিম শিক্ষা করেছো বলেও অহংকার-গর্বে ফেটে পড়ো না। কেননা বালয়াম বিন বাউরা এতো ইলিম শিক্ষা করেছিলো যে, যুগশ্রেষ্ঠ ১০ হাজার আলিম তার কাছে তা’লীম নিতো। সেছিলো মুস্তাজাবুদ দাওয়াত। সে যা দোয়া করতো মহান আল্লাহ পাক তিনি তাই কবুল করতেন। ৩০০ বছর সাধনা করে ‘ইসমে আ’যম’ আয়ত্ব করেছিলো। অথচ তার নিন্দায় কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “সে কুকুরের ন্যায়। কুকু বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহপাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَكُونُوا۟ مَعَ ٱلصَّـٰدِقِينَ
অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। আর ছদিক্বীন তথা ওলীআল্লাহ উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৯)
বাকি অংশ পড়ুন...
আল্লামা সাইয়্যিদ আবু বকর মক্কী আদ দিমইয়াতী আশ শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত “ইয়ানাতুত ত্বলেবীন” কিতাবে বর্ণনা করেন, শাসক আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের শাসনামলে শামদেশের এক সুদর্শন যুবক সে ঘোড়ায় চড়ে খেলতেছিল। একদিন হঠাৎ সে তার ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে যায়। অতঃপর ঘোড়ার পিঠে উঠলে ঘোড়াটি তাকে নিয়ে শাম দেশের পথে চলতে শুরু করে। ঘোড়াটিকে সে থামাতে সক্ষম হচ্ছিল না। অতঃপর ঘোড়াটি শাসকের দরজায় গিয়ে উপনীত হলো। তখন শাসকের এক ছেলে ঘোড়ার সামনে চলে আসলো এবং শাসকের ছেলেটিও ঘোড়াটিকে ফিরিয়ে রাখতে সক্ষম হলো না বরং সে ঘোড়ার দ্বারা আঘাত বাকি অংশ পড়ুন...
قَالَ حَضْرَتْ اَبُوْ بَكْرِ ۣ الصِّدِّيْقُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا عَلـٰى قِرَاءَةِ مَوْلِدِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ رَفِيْقِىْ فِـى الْـجَنَّةِ.
অর্থ: “খলীফাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাহফিল উপলক্ষে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে এক দিরহাম (চার আনা রূপা অথবা সমপরিমাণ অর্থ) ব্যয় করবেন, তিনি সম্ম বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক
মহান আল্লাহ পাক তিনি খ্বালিক্ব, তিনি মালিক, তিনি রব। তিনি একমাত্র মা’বুদ ও ইলাহ্। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তিনি অনাদি অনন্ত। উনার সমকক্ষ কেউ নেই। তিনি সব কিছু থেকে বেনিয়াজ। তিনি নিরাকার। তিনি আকার আকৃতি থেকে পবিত্র। উনার হাত-পা বা অঙ্গ-প্রতঙ্গ আছে বলে বিশ্বাস করা শিরক। উনাকে আলো অর্থে নূর বলা কুফরী; বরং তিনি আসমান যমীন আলোকিতকারী বা হিদায়েত দানকারী অর্থে নূর। একইভাবে উনার জাতী নূরে বিশ্বাস করাও কুফরী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারো থেকে জন্ম গ্রহণও করেননি। এ প্রসঙ্গে খ্বালিক্ব বাকি অংশ পড়ুন...
এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالسَّابِقُوْنَ الْاَوَّلُوْنَ مِنَ الْمُهَاجِرِيْنَ وَ الْأنْصَارِ وَالَّذِيْنَ اتَّبَعُوْهُمْ بِإحْسَانٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمْ وَرَضُوْا عَنْهُ وَ اَعَدَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِىْ تَحْتَهَا الْأنْهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْهَا اَبَدًا ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ .
অর্থ : হযরত মুহাজির ও আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, যাঁরা পূর্ববর্তীদের মধ্যে অগ্রগণ্য, উনারা এবং উনাদেরকে যাঁরা (ক্বিয়ামত পর্যন্ত) উত্তমভাবে অনুসরণ করবে, উনাদের উপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সন্তুষ্ট এবং উনারাও মহান আল্লাহ পাক উনার উপর সন্তুষ্ট। উনাদের জন্য মহান আল্লাহ পা বাকি অংশ পড়ুন...
৪৬নং সম্মানতি ও পবিত্র হাদীছ শরীফ
عن حضرت عبد الرحمن بن عوف رَضِيَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ "فضل العالم على العابد سبعون درجة ما بين كل درجة كما بين السماء والأرض
অর্থ : “হযরত আব্দুর রহ্মান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আলিম এবং আবিদ-এর ফযীলতের মধ্যে প্রার্থক্য হলো সত্তুরটি দরজা। আর এক দরজা থেকে আরেক দরজার দূরত্ব হলো আসমান থেকে যমীনের দূরত্বের সমান বাকি অংশ পড়ুন...












