যাকাতযোগ্য মাল-সম্পদের বিধান
যে যে সম্পদ বা মালের যাকাত ফরয : সম্মানিত যাকাত মুসলমান উনাদের প্রায় যাবতীয় মালেই ফরয, যদি তার নিছাব ও শর্ত পূরণ হয়। যেমন- সোনা-রূপা, নগদ অর্থ, যমীনে উৎপন্ন ফসল ও ফলফলাদি, যমীনে প্রাপ্ত গুপ্ত ধন, খণিতে প্রাপ্ত খণিজ দ্রব্য, ব্যবসায়ের পণ্যদ্রব্য, গৃহপালিত পশু, যেমন- উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া এসকল প্রকার মালেই যাকাত ফরয। (আল হিদায়া)
মাল-সম্পদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শর্তাবলী :
১. মাল নিছাব (শরীয়ত নির্ধারিত) পরিমাণ হওয়া।
২. উক্ত মাল নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য ও স্থাবর মালের অন্তর্ভুক্ত না হওয়া।
৩. উক্ত মালের উপর প বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব: যে কোন নেক আমলের শুরুতে ‘তাসমিয়াহ’ অর্থাৎ ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’ বলে শুরু করা সুন্নত এবং রহমত-বরকতের কারণ। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
كل امر ذى بال لـم يبدأ ببسم الله الرحمن الرحيم اقطع
অর্থ: যে কাজ (নেক) শুরুতে বিসমিল্লাহ দ্বারা শুরু করা হয় না তা কর্তনযুক্ত অর্থাৎ সে কাজের মধ্যে কোন কল্যাণ বা বরকত থাকে না। (আল জামিউ লিআখলাকির রাবী লিল খতীব বাগদাদী, জামউল জাওয়ামি’ লিস সুয়ূত্বী)
তাই প্রত্যেক ভাল বা নেক কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করাটা সম্মানিত শরীয়ত উনার হুকুম।
স্মরণীয় যে, প্রত্যেক ভাল কাজের শুরুতে যে বাকি অংশ পড়ুন...
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا وَاتَّقُوا اللهَ اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ.
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা নিয়ে এসেছেন তোমরা তা আঁকড়িয়ে ধরো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাকো। এ ব্যাপারে তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, নিশ্চয়ই তিনি কঠিন শাস্তিদাতা” (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ- ৭)
বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি মুবারক:
ইমামুল মুসলিমীন, মুকতাদায়ে জামীয়ে উমাম, ইনায়েতে হিলম, পেশওয়ায়ে আহলে বাছীরাত, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন আহলে বাইত শরীফ উনাদের সপ্তম ইমাম। তিনি ইলম, আমল, জ্ঞান-গরিমায় সর্বশ্রেষ্ঠ মাক্বামে সমাসীন ছিলেন। অতি অল্প বয়সে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ হিফয করেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ ছিলেন উনাদের পৈত্রিক সম্পদতুল্য। আকাঈদ, বালাগাত, ফাসাহাতসহ সকল বিষয়ে উনার পরিপূর্ণ দখল ছিল। তিনি জাহিরী-বাতিনী সকল ইলমের পূর্ণ অধিকারী ছিলেন। তদানীন্তন সময়ের সকল ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরামই উনার ই বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُهُمْ.
অর্থ : “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিনদের নিকট জানের চেয়ে অধিক প্রিয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্ বাকি অংশ পড়ুন...
রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একদিন আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাওয়ারির পিছনে বসা ছিলাম। তখন তিনি আমাকে লক্ষ্য করে ইরশাদ মুবারক করলেন- হে প্রিয় বৎস! মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ নিষেধসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলবেন, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনিই আপনাকে হিফাযত (সংরক্ষণ) করবেন। মহান আল্লাহ পাক উনার হক্ব আদায় করবেন তাহলে আপনি মহান আল্লাহ পাক উনাকে সবসময় সামনে পাবেন। যখন কোনকিছুর প্রয়োজন দেখা দেবে, তখন মহান আল্লাহ পাক উনার নিকটেই চাইবে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حضرت زِيَادِ بْنِ حُدَيْرٍ رحمة الله عليه قَالَ: قَالَ لِىْ عُمَرُ بن الخطاب : هَلْ تَعْرِفُ مَا يَهْدِمُ الْإِسْلَامَ؟ قَالَ: قُلْتُ: لَا، قَالَ: يَهْدِمُه زَلَّةُ الْعَالِمِ وَجِدَالُ الْمُنَافِقِ بِالْكِتَابِ وَحُكْمُ الْأَئِمَّةِ الْمُضِلّيْنَ
হযরত যিয়াদ বিন হুদাইর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত উমর বিন খত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি উনাকে জিজ্ঞাস করলেন
هَلْ تَعْرِفُ مَا يَهْدِمُ الْإِسْلَامَ
দ্বীন ইসলাম উনাকে কোন বিষয়, কারা, ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে সেটা কি আপনি জানেন?
قَالَ: قُلْتُ: لَا،
তিনি বললেন, আমারতো সেটা জানা নেই। তখন স্বয়ং খলীফাতুল মু বাকি অংশ পড়ুন...












