কারাগার প্রতিষ্ঠা ও দন্ড
খলীফাতুল মুসলিমীন আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার শাসনের অন্যতম প্রধান কৃতিত্ব ছিল কারাগার প্রতিষ্ঠা। গাফওয়ান বিন উমাইয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বাসস্থান ৪০০ দিরহামে ক্রয় করে তিনি একে প্রথম জেলখানায় রূপান্তরিত করেন। মদীনা শরীফে কেন্দ্রীয় কারাগার বা জেলখানা ব্যতীত প্রত্যেক প্রাদেশিক রাজধানী ও জেলায় একটি করে কারাগার নির্মাণ করেন। সেখানে পর্যাপ্ত প্রহরী, খাবার, ইবাদতের জায়গাসহ দরকারী সব জিনিস মজুদ রাখতেন। কোনোও অপরাধী প্রাপ্যের অতিরিক্ত কষ্ট যাতে পেত বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খ্বালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فِـىْ بُيُوْتٍ اَذِنَ اللهُ اَنْ تُرْفَعَ وَيُذْكَرَ فِيْهَا اسْـمُهٗ يُسَبِّحُ لَهٗ فِيْهَا بِالْغُدُوِّ وَالْاٰصَالِ.
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত আদেশ মুবারক করেন- নির্মাণ ও সম্মান করার জন্য এবং উত্তমভাবে তা’যীম-তাকরীমের সাথে সংরক্ষণ করার জন্য, ঐ সকল মুবারক ঘরসমূহ উনাদেরকে যে সকল মুবারক ঘরসমূহে মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক স্মরণ করা হয় ও তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করা হয় সকাল-সন্ধ্যায়।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নূর শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবার বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, তোমাদের কাছে যেটা রয়েছে সেটা ধ্বংস হয়ে যাবে। আর আমার কাছে যেটা রয়েছে সেটা স্থায়ীত্ব লাভ করবে।
এই প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয় যে, একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একটা ছাগল জবেহ করেছিলেন। জবেহ করে হুজরা শরীফ থেকে বেরিয়ে কোথাও কোন কাজে গিয়েছিলেন। বাইরে থেকে এসে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞেস করলেন, “হে উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম! আমি যে ছাগলটা জবেহ করেছিলাম সেটার কিছু আ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاۤ أَيُّـهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُـوْا قُـوْا أَنْـفُسَكُمْ وَأَهْلِيْكُمْ نَارًا
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবারবর্গকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও। (পবিত্র সূরা আত তাহরীম শরীফ উনার ৬ নং পবিত্র আয়াত শরীফ)
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে وَاَهْلِيْكُمْ “তোমাদের পরিবারকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও বা রক্ষা করো।” এর ব্যাখ্যা অনেক তবে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা হলো পিতা-মাতা, আহলিয়া-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি ও গোলাম-বাঁদী অর্থাৎ সকলপ্রকার অধিনস্তদের বুঝানো হয়েছে। উল্লেখ্য, যিনি মূল বা প বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ بَـهْذِ بْنِ حَكِيْمٍ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَدِّهِ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اِسْتَقْبَلَ الْعُلَمَاءَ فَقَدْ اِسْتَقْبَلَنِىْ وَمَنْ زَارَ الْعُلَمَاءَ فَقَدْ زَارَنِىْ وَمَنْ جَالَسَ الْعُلَمَاءَ فَقَدْ جَالَسَنِىْ وَمَنْ جَالَسَنِىْ فَكَاَنَّـمَا جَالَسَ رَبِّىْ وَفِىْ رِوَايَةٍ مَنْ زَارَ عَالِـمًا فَكَاَنَّـمَا زَارَنِىْ وَمَنْ زَارَنِىْ فَكَاَنَّـمَا زَارَ اللهَ وَمَنْ زَارَ اللهَ فَقَدْ غُفِرَ لَهُ.
অর্থ: হযরত বাহয ইবনে হাকীম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা থেকে, তিনি উনার পিতামহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বাকি অংশ পড়ুন...
খলীফায়ে ছানী, আমিরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি শুধুমাত্র বিশ্বের চারজন শ্রেষ্ঠ বিজেতা উনাদের অন্যতমই ছিলেন না; সামরিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক এবং আইন বিভাগের অত্যাধুনিক কাঠামোর সৃষ্টিকারী হিসেবেও তিনি বিশ্ব ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি একমাত্র ব্যক্তিত্ব যিনি এসব বিষয়ে একক প্রতিভূ হিসেবে স্থান দখল করে আছেন।
খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার শাসন ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল ইসলামী হুকুমত ব্যবস্থাপনা। সম্প্রসারিত এক বিশাল মুসলিম খিলাফতী শাসন ব্যবস বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস এলেই বক্তাদের আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান, মান, ফাযায়িল- ফযিলত মুবারক সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়। কিন্তু না, দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফের মুবারক তারিখ নিয়ে কত রকম মতভেদ আছে, কত ইখতিলাফ আছে সে নিয়ে বক্তারা নাতিদীর্ঘ আলোচনা করতে থাকে। অথচ সেটার কোন প্রয়োজনই নেই। উনার মর্যাদা মুবারক যত আলোচনা করা যাবে ততই রহমত মুবারক নাযিল হবে। কিন্তু তারিখের মতভেদ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
বলা হয়, খইরুত তাবিয়ীন হযরত ওয়ায়িছ আল ক্বরনী রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনার সম্পর্কে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتِ الْفَارُوْقِ الْاَعْظَمِ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ إِنِّى سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّ خَيْرَ التَّابِعِينَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ أُوَيْسٌ وَلَهُ وَالِدَةٌ وَكَانَ بِهِ بَيَاضٌ فَمُرُوهُ فَلْيَسْتَغْفِرْ لَكُمْ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, খালিক্ বাকি অংশ পড়ুন...
নফসের বিরোধীতা করার বদৌলতে ঈমান নছীব এবং আল্লাহওয়ালা হওয়া
হযরত আব্দুল কুদ্দুস গাঙ্গুহী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি খুব বড় বুযুর্গ মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী ছিলেন, যিনি হযরত মুজাদ্দিদ আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা শায়খ আব্দুল আহাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পীর সাহেব ছিলেন। সেই আব্দুল কুদ্দুস গাঙ্গুহী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি খুব বড় মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী বুযুর্গ ছিলেন। তিনি একদিন সফরে যাচ্ছিলেন, এক পাহাড়িয়া এলাকা দিয়ে সফর করে। ভ্রমণ করছিলেন এক পাহাড়িয়া এলাকায়। গিয়ে দেখলেন, এক পাহাড়ের গুহার কাছে কিছু লোক জমা হয়ে রয়েছ বাকি অংশ পড়ুন...
উলামায়ে ‘সূ’দের হাক্বীক্বত :
যারা উলামায়ে হক্ব উনাদের বৈশিষ্ট হচ্ছে- মুসলমানদের মাল-সম্পদ টাকা-পয়সা ধন-দৌলত ইত্যাদির প্রতি উনার কোন লোভ থাকবে না। মোহ, আকর্ষন থাকবেনা। অর্থাৎ তিনি সব অবস্থাতেই গইরুল্লাহ থেকে ফিরে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি রুজূ থাকবেন। যার কারণে তিনি নিজেও ইছলাহতে মশগুল থাকবেন এবং মানুষকে নছীহতে মশগুল রাখবেন। এটা হচ্ছে উলামায়ে হক্কানী রব্বানী উনাদের নিদর্শন। এর বিপরীতটা হচ্ছে উলামায়ে ‘সূ’দের নিদর্শন। এরা সবসময় দ বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, তেরশত হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ আমীরুল মু’মিনীন হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি কোন এক পর্যায়ে বললেন- “আমি যখন কোন হাদীছ শরীফ বর্ণনা করি, তখন তা স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছ থেকে জেনে বর্ণনা করি। আর যখন কোন মাসয়ালা বর্ণনা করি, তখন তা স্বয়ং ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে জেনে বলে থাকি।” অর্থাৎ যখন উনার কোন মাসয়ালা ও হাদীছ শরীফ স্মরণ না থাকত, তখন তিনি উনাদের থেকে জে বাকি অংশ পড়ুন...












