পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضَرَتْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَلَيْهِ السَّلَامَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلْتُ رَبِّى عَنْ إخْتِلَافِ اصْحَابِى مِنْ بَعْدِى فَأوْحَى إلَيَّ يَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إنَّ اَصْحَابَكَ عِنْدِى بِمَنْزِلَةِ النُّجُوْمِ بَعْدُهَا اقْوَى مِنْ بَعْضٍ لِكُلٍّ نُوْرٌ فَمَنْ اَخَذَ بِشَيْء مِمَّا هُمْ عَلَيْهِ مِنْ اِخْتِلَافِهِمْ فَهُوَ عِنْدِى عَلَى هُدَى فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسلَّمَ اَصْحَابِىْ كَالنُّجُوْمِ بِأيِّهِمْ إقْتَدَيْتُمْ إهْتَدَيْتُمْ
অর্থ: “হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
শাহাদাত বরণ:
হযরত আবদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত মুবারককালে ভন্ডনবী মুসায়লামাতুল কাজ্জাবের বিরুদ্ধে ১২ হিজরী সনের সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূর, শাহরুল আ’যম শরীফ পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে সংঘটিত ইয়ামামার জিহাদে অংশগ্রহণ করেন এবং শাহাদাত বরণ করেন। (ইছাবা)
ফযীলত ও মর্যাদা:
হযরত আবদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন অতি মর্যাদাবান ছাহাবীর অন্তর্ভুক্ত। তিনি খুব সুন্দর করে লিখতে জানতেন এবং মাঝে বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বয়ীফ বর্ণনাসমূহের গ্রহণীয় স্থান
যে সমস্ত স্থানে দ্বয়ীফ বর্ণনাসমূহ গ্রহণীয় তা নিম্নরূপ-
১. মুস্তাহাব পর্যায়ের আহকামসমূহ
২. কোন প্রমাণিত আমলের ফযীলতের বর্ণনা
৩. তারগীব তথা কোন আমলের প্রতি উৎসাহ প্রদান
৪. তারহীব তথা কোন কাজে ভীতি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে
৫. সাওয়াব কোন আমলের নেকী সম্পর্কে
৬. যুহদ দুনিয়া বিমূখতা সম্পর্কে
৭. মাকরূহে তানযীহী সংক্রান্ত বিষয়ে
৮. কিসাস পূর্বের নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের ঘটনাবলী প্রসঙ্গে
৯. ইকাব বা কোন কাজের শাস্তি সম্পর্কে
১০. রাকায়েক বা যে সব কারণে অন্তর নরম হয় সে সম্পর্কে
১১. সীরাত তথা নূরে মুজাসসা বাকি অংশ পড়ুন...
শেষ পর্যন্ত ঘুরতে ঘুরতে হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবার শরীফে আসল। সে বলেছে, আসমান এবং যমীনে যা কিছু আছে, তাই দেবে তার মেয়ের বিয়েতে। যদি সে তা দিতে না পারে, তার আহলিয়া (স্ত্রী) তালাক হয়ে যাবে। এখন আসমান এবং যমীনে যে কত কিছু রয়েছে, সে কি করে দেবে। কোন আলেম সে জাওয়াব দিতে পারলেন না।
হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে যখন সে আসলো, আসার পরে উনি বললেন যে- হ্যাঁ আমি তোমার মাসয়ালার জাওয়াব দিতে পারি, তবে এক হাজার দিরহাম লাগবে, এক হাজার দিরহাম। তোমার শরবতের যেমন মূল্য রয়েছে, আমার মাসয়ালারও তেমন কদর রয়েছে।
এক হাজ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالإِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَأَن تُشْرِكُواْ بِاللّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَانًا وَأَن تَقُولُواْ عَلَى اللّهِ مَا لاَ تَعْلَمُونَ
অর্থ: আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, আমার রব তায়ালা তিনি সমস্ত প্রকার অশ্লীল বিষয়সমূহ হারাম করেছেন সেটা প্রকাশ্য হোক এবং অপ্রকাশ্য হোক। আর হারাম করেছেন সমস্ত গুনাহের কাজ, অন্যায়-অত্যাচার। মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে এমন বস্তুকে শরীক করা, তিনি যার কোন সনদ বা দলীল নাযিল করেননি। আর মহান আল্লাহ পাক বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুস্পষ্ট মু’জিযা শরীফ
ইমামুল মুহাদ্দিছীন, সাইয়্যিদুনা হযরত শায়েখ ইবনে হাজার হাইছামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিসহ অনেক ইমাম, মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেছেন-
فِيْهِ (اَبِـيْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ) مُعْجِزَةٌ ظَاهِرَةٌ لِّلنَّبِـيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيْثُ اَخْبَرَ بِـمَا سَيَقَعُ
অর্থ: ইমামুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا بِطَانَةً مِّن دُونِكُمْ لَا يَأْلُونَكُمْ خَبَالًا وَدُّوا مَا عَنِتُّمْ قَدْ بَدَتِ الْبَغْضَاءُ مِنْ أَفْوَاهِهِمْ وَمَا تُخْفِي صُدُورُهُمْ أَكْبَرُ
অর্থ: হে ঈমানদাররা! মুসলমান ছাড়া তোমরা কোন বিধর্মীদের কাউকে তোমাদের উপদেষ্টা হিসেবে, বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা তোমাদের ক্ষতি করার জন্য কোনো ত্রুটি করে না। এবং তারা চায় তোমাদের সবসময় ক্ষতি হোক! -তোমরা কষ্টে থাকো, তাতেই তাদের আনন্দ। তারা মুখে যা প্রকাশ করে তার চেয়ে তাদের অন্তরে মুসলমানদের প্রতি আরো কঠিন বিদ্বেষ রয়ে গেছে। (ম বাকি অংশ পড়ুন...
পিতার মুনাফিকী প্রকাশ:
বনু মুস্তালিক জিহাদের সময় এই উবাই বিন সুলুল বলেছিলো, মদীনা শরীফে ফিরে গেলে সম্মানিত ব্যক্তিরা ইতর ব্যক্তিদেরকে মদীনা শরীফ হতে বের করে দিবে। এই সময় তার পুত্র হযরত আবদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললেন, ‘মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! সেই ইতর লোক এবং আয় মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনিই সম্মানিত ব্যক্তি। আপনি যদি অনুমতি দান করেন, তাহলে আমি তাকে হত্যা করবো। অথচ খাযরাজ গোত্রের সকলেই জানে যে, তাদের বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে কারবালায় শহীদ করার ব্যপারে হযরত উলামায়ে কিরামগণ উনারা ইজমা করেছেন যে, বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক, নির্মম, বেদনাদায়ক এবং হৃদয়বিদারক বিষয় হলো কারবালার ঘটনা। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নকশা মুবারক। তিনি হচ্ছেন ঈমানের মূল। এবং নাজাতের মূল। অথচ মুসলমান নামধারীরাই উনাকে শহীদ করলো। উনার শাহাদাত মুবারক উনার সাথে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত সকলের জন্য মহা বাকি অংশ পড়ুন...
اَنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ شَجَرَةِ النُّــبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَـةِ وَمُـخْتَلِفِ الْمَلَائِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ.
অর্থ: নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ মুবারক করতেন, আমরা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে (আমাদেরকে) নুবুওওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিন্ন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা খিদ বাকি অংশ পড়ুন...
فَإِنَّهُ مَنْ يَّعِشْ مِنْكُم بَعْدِى
নিশ্চয়ই আপনাদের মধ্যে যে আমার পরে থাকবে,
فَسَيَرَى اخْتِلَافًا كَثِيرًا
“আমার পরে যারা থাকবে, তারা অনেক মত বিরোধ দেখবে।
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তখন
فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ تَمَسَّكُوا بِهَا وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ
“তোমাদের প্রতি আমার সুন্নত, আমার খুলাফা-ই-রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুন্নত পালন করা আবশ্যক, তোমরা সেটা মাড়ির দাঁত দিয়ে আঁকড়ায়ে ধরে থাকবে।
অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র সুন বাকি অংশ পড়ুন...












