প্রসঙ্গ মোহর প্রদান:
সুওয়াল:
শুধু তালাক দিলেই মোহর দিতে হবে। অন্যথায় নয়, বক্তব্যটি কি ঠিক?
জাওয়াব:
না, বক্তব্যটি আদৌ ঠিক বা শুদ্ধ নয়। কেননা মোহর ধার্য ও আদায় করার বিষয়টি বিবাহের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তালাকের সাথে নয়।
তবে কোনো আহাল যদি সামর্থ না থাকার কারণে অথবা অন্য কোন কারণে বিবাহের সাথে সাথে আহলিয়াকে সম্পূর্ণ মোহর না দিয়ে থাকে এবং পরবর্তীতে আহাল ও আহলিয়ার মধ্যে বনাবনী না হওয়ার দরুন উভয়ের মধ্যে তালাক বা বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তখন অবশ্যই আহালের তরফ থেকে আহলিয়াকে সম্পূর্ণ মোহর পরিশোধ বা প্রদান করতে হবে।
শুধু তাই নয়, বিবাহের পর কোনো আহ বাকি অংশ পড়ুন...
একজন মহিলা ছাহাবী। মদীনা শরীফের প্রখ্যাত খাযরাজ গোত্রের “বনু আওফ” শাখায় বিলাদত শরীফ। উনার আহাল বা স্বামী ছিলেন প্রখ্যাত ছাহাবী হযরত উবাদা ইবনে ছামিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। মদীনা শরীফে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রচারের প্রথম দিকেই অর্থাৎ আনুষ্ঠানিক নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশের ১৩তম সনে আহাল বা স্বামীর সঙ্গে তিনি সম্মানিত ইসলাম গ্রহণ করেন। উনার পরিবারটি ছিল একটি ইসলামী পরিবার। তিন ভাই হযরত বাহ্হাছ, হযরত আবদুল্লাহ ও হযরত ইয়াযীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম সবাই ছিলেন বিখ্যাত আনছারী ছাহাবী। উনার আহাল (স্বামী) হযরত উবাদা বি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরও ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن حضرت ابى عمرو الشيبانى انه رأى عبد الله يخرج النساء من المسجد يوم الجمعة ويقول اخرجن الى بيوتكن خير لكن.
অর্থ : হযরত আবু আমর শায়বানী বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে দেখেছি তিনি জুমুয়ার দিন মহিলাদেরকে মসজিদ থেকে বের করে দিতেন এবং বলতেন, আপনারা বের হয়ে যান। আপনাদের ঘরই আপনাদের জন্য উত্তম। (তবারানী শরীফ, আত তারগীব- ১/১৩৬)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরও ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَيْسَ عَلَى النِّسَاءِ غَزْوٌ ، وَلاَ جُمُعَةٌ ، وَلاَ تَشْيِيعُ جِنَازَةٍ
অর্থ: মহিলাদের জন্য জিহাদও নেই জুমুয়ার নামাযও বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَقَرۡنَ فِیۡ بُیُوۡتِکُنَّ وَلَا تَبَرَّجۡنَ تَبَرُّجَ الۡجَاهِلِیّةِ الۡاُوۡلٰی.
অর্থ: “আর তোমরা নিজগৃহে অবস্থান করবে, আইয়্যামে জাহেলী যুগের মহিলাদের মতো নিজেদেরকে প্রদর্শন করে ঘুরে বেড়াবে না”। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ, আয়াত শরীফ-৩৩)
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি পরিষ্কার নির্দেশ মুবারক দান করেছেন- মহিলা তথা নারী জাতিকে উদ্দেশ্য করে, তারা যেনো আইয়্যামে জাহিলিয়াতের মতো বেপর্দা-বেশরা হয়ে চলাফেরা না করে। অথচ বর্তমানে মুসলিম নারী জাতি দাবি করে অধিকাংশ মহিলারা বিভিন্ন কারণে-অকারণে নি বাকি অংশ পড়ুন...
ছবি তোলা এবং পর্দা তরক করা মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রকাশ্য নাফরমানী।
এ সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে হাদীছ শরীফ উনার নির্দেশনা মুবারক রয়েছে। হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায়ও ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের কিতাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
وَفِي الْبَحْرِ قَالُوا : وَأَشَدُّهَا كَرَاهَةً مَا يَكُونُ عَلَى الْقِبْلَةِ أَمَامَ الْمُصَلِّي ، ثُمَّ مَا يَكُونُ فَوْقَ رَأْسِهِ ثُمَّ مَا يَكُونُ عَنْ يَمِينِهِ وَيَسَارِهِ عَلَى الْحَائِطِ ، ثُمَّ مَا يَكُونُ خَلْفَهُ عَلَى الْحَائِطِ أَوْ السِّتْرِ
অর্থ: আল্ বাহর” কিতাবে উল্লেখ আছে: ম বাকি অংশ পড়ুন...
(পূব প্রকাশের পর)
ইত্যবসরে এক ব্যক্তি এসে সালাম দিলেন, “আস্সালামু আলাইকুম ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!” (আয় মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার উপর সালাম)। তিনি সেই ব্যক্তির সালামের উত্তর প্রদান করলেন। এদিকে আমি উনাকে দেখামাত্রই ভয়ে থর থর করে কাঁপতে লাগলাম। উনার পার্শ্বে উপবিষ্ট এক ব্যক্তি তখন বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই মহিলা তো কাঁপছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে রিক্তা! আপনি শান্ত হোন! উনার বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা বিবাহ করার নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। আহাল-আহলিয়া (স্বামী-স্ত্রী) হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার এক বিশেষ নিদর্শন-নিয়ামত। দ্বীনদার আহাল ও দ্বীনদার আহলিয়া দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম সম্পদ।
যারা দ্বীনদার আহাল (স্বামী) দ্বীনদার আহলিয়া (স্ত্রী) পান তারা দুনিয়াবী শ্রেষ্ঠতম সম্পদ পান। দ্বীনদার আহাল, দ্বীনদার আহলিয়া মানষিক-শারীরিক সবদিক দিয়ে প্রশান্তির কারণ।
নিকাহ বা বিবাহ পরহেযগার- মুত্তাক্বী হওয়ার পথকে সুগম করে। নেক বাকি অংশ পড়ুন...












