মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ:
‘মাররুয যাহরান’ নামক স্থানেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমস্ত সৈন্যবাহিনীকে অত্যন্ত সুবিন্যস্তভাবে সাজান। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার উচ্চভূমি দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করেন এবং হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার নিম্নভূমি দিয়ে প্রবে বাকি অংশ পড়ুন...
বানূ কায়নুকা ছিল হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ভ্রাতৃ সম্পর্কীয় গোত্র। তারা নিজেদেরকে অত্যন্ত শক্তিশালী ও সাহসী মনে করতো। পবিত্র শাওওয়াল শরীফের পনের বা ষোল তারিখ ইয়াওমুস সাবতিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদা ইহুদীদের বাজারে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন এবং তাদেরকে একত্রিত করে ইরশাদ মুবারক করলেন-
يَا مَعْشَرَ يَهُودَ احْذَرُوا مِنْ اللّهِ مِثْلَ مَا نَزَلَ بِقُرَيْشِ مِنْ النّقْمَةِ وَأَسْلِمُوا ، فَإِنّكُمْ قَدْ عَرَفْتُمْ أَنّي نَبِيّ مُرْسَلٌ تَجِدُونَ ذَلِكَ فِي كِتَابِكُمْ وَعَهْدِ اللّهِ إلَيْكُمْ- قَال বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের বিশাল সৈন্যবাহিনী এবং উনাদের শান-জৌলুশ, শক্তি-সামর্থ্য, রণকৌশল, রণসজ্জা, সুশৃঙ্খলতা, কাতারবদ্ধতা, অপরাজেয় বীরত্বপূর্ণ মনোবল মুবারক:
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আওক্বাত শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছুবহে ছাদিক্ব শরীফ) শুরু হওয়ার সাথে সাথেই মরু উপত্যকা সম্মানিত আযান উনার সুমধুর ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠলো। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা সম্মানিত ছলাতুল ফজর আদায় করলেন। সম্মানিত ছলাত উনার পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ-এ প্রবেশ করার উদ্দেশ্যে র বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র মদীনা শরীফ উনার সংখ্যাগরিষ্ঠ আউস ও খাযরাজ গোত্রের যারা মূল ছিলেন উনারা সম্মানিত হিজরত মুবারকের পূর্বে এবং পরে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। আউস ও খাযরাজ এই দু’গোত্রের সকলেই দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করায় উনাদের সাথে সন্ধিচুক্তির কোন প্রশ্নই ছিলো না। তবে খাযরাজ গোত্রের মধ্যে মুনাফিক সর্দার উবাই বিন সুলূল নেতৃত্বে সামনে থাকলেও গোত্রের অধিকাংশই মুসলমান হওয়ায় উনাদের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রকাশ্যে কিছু করার ক্ষমতা তার ছিলো না। সম্মানিত বদর জিহাদের পর সে এবং তার অনুসারীরা প্রকাশ্যে দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করে। তবে সেসময় পবিত্র মদীন বাকি অংশ পড়ুন...
৫ম হিজরী উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শাহরুল আ’যম তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানানো হলো, ‘দুমাতুল জান্দাল’ এলাকার লোকেরা পবিত্র মদীনা শরীফে আক্রমণের উদ্যোগ নিচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! দুমাতুল জান্দাল হচ্ছে, পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে ১৫ দিনের দূরত্বে অবস্থিত একটি স্থান, যেখান থেকে দামেশক ৫ দিনের পথ।
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত বাকি অংশ পড়ুন...
ইয়াযীদ বাহিনীর তা-বলীলা:
৯. পবিত্র মদীনা শরীফ লুটপাট: ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির বাহিনী পবিত্র মদীনা শরীফবাসী উনাদের সমস্ত ধন-সম্পদ লুটপাট করে। তাদের চাহিদা মুতাবিক ধন-সম্পদ না পেলে বাচ্চা শিশু ও মহিলাদেরকেও শহীদ করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! যেমন- তারা একজন আনছার মহিলা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনাকে উদ্দেশ্য করে বলে, আমাদেরকে স্বর্ণ দিন, অন্যথায় আপনাকে ও আপনার কোলের শিশুকে শহীদ করবো। ইতিমধ্যে উনার কাছে ধন-সম্পদ যা কিছু ছিলো ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি উনার পরিচয় তুলে ধরেন। কিন্তু তারা উনার কথায় কর্ণপাত না করে তাদের চাহিদা ম বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
ইয়াযীদ বাহিনীর তা-বলীলা:
৪. পবিত্র মদীনা শরীফ উনাকে জনশূন্য করে দেয়া: হযরত ইমাম কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন যে, পবিত্র মদীনা শরীফ তখন জনশূন্য হয়ে যান। মরুর পশুপাখিরা সেখানে মলমুত্র ত্যাগ করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ কুকুরের বাসস্থানে পরিণত হয়। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (জযবুল কুলূব)
৫. পবিত্র মিম্বর শরীফ উনার অবমাননা: কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
فَلَمْ يُمَكِّنْ اَحَدًا دُخُوْلَ مَسْجِدِهَا حَتّٰى دَخَلَتْهُ الْكِلَابُ وَالذِّئَابُ وَبَالَتْ عَلٰى مِنْۢبَرِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “(ঐ সময়) পবিত্র মসজি বাকি অংশ পড়ুন...
একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ হিকমত মুবারক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ থেকে ৩৫ মাইল দূরুত্বে ‘মাররুায যাহরান’ নামক স্থানে পৌঁছে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা শিবির স্থাপন করেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নির্দেশ মুবারক দেন যে, প্রত্যেকেই যেন আলাদা আলাদাভাবে মশালে আগুন জ্বালিয়ে হাতে হাতে নিয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থা বাকি অংশ পড়ুন...
ইয়াযীদ বাহিনীর তা-বলীলা:
১. খুন-হত্যা: ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির নির্দেশে ইবনে উক্ববা লা’নাতুল্লাহি আলাইহি ৪২ হাজার সৈন্য নিয়ে পবিত্র মদীনা শরীফ আক্রমন করে এবং পবিত্র মদীনা শরীফ উনাকে ৩ দিনের জন্য হালাল ঘোষণা করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! এ সময় ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির বাহিনী শিশু এবং মহিলা ব্যতীত সর্বমোট ১২,৪৯৭ জন পবিত্র মদীনা শরীফবাসী উনাদেরকে শহীদ করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! উনাদের মধ্যে হযরত মুহাজির ও আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম এবং বিশিষ্ট হযরত তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা মিলে ছিলেন ১৭০০ জন, সাধা বাকি অংশ পড়ুন...












