আল্লামা সিবতু ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
وأما المشهور عن يزيد لعنة الله عليه في جميع الروايات أنه لما حضر الرأس بين يديه جمع أهل الشام وجعل ينكت بالخيزران ويقول أبيات ابن الزبعري
ليت أشياخي ببدر شهدوا ... وقعة الخزرج من وقع الأسل
قد قتلنا القرن من ساداتهم ... وعدلناه ببدر فاعتدل
অর্থ: “সমস্ত রেওয়াতের মধ্যে ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির ব্যাপারে যে বিষয়টি মশহূর বা প্রসিদ্ধ, তা হচ্ছে- যখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সির বা মাথা মুবারক ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির সামনে উপস্থিত করা হয়, তখন সে শামব বাকি অংশ পড়ুন...
গত পর্বের পর---
قَالَ حضرت الزُّهْرِيِّ قَالَ حضرت عُمَرُ عليه السلام فَعَمِلْتُ لِذَلِكَ أَعْمَالاً. قَالَ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ قَضِيَّةِ الْكِتَابِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لأَصْحَابِهِ " قُومُوا فَانْحَرُوا، ثُمَّ احْلِقُوا ". قَالَ فَوَاللَّهِ مَا قَامَ مِنْهُمْ رَجُلٌ حَتَّى قَالَ ذَلِكَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، فَلَمَّا لَمْ يَقُمْ مِنْهُمْ أَحَدٌ دَخَلَ عَلَى حضرت أم المؤمنين السادسة أُمِّ سَلَمَةَ عليها السلام، فَذَكَرَ لَهَا مَا لَقِيَ مِنَ النَّاسِ. فَقَالَتْ حضرت أم المؤمنين السادسة عليها السلام يَا نَبِيَّ اللَّهِ، أَتُحِبُّ ذَلِكَ اخْرُجْ ثُمَّ لاَ تُكَلِّمْ أَحَدًا مِنْهُمْ كَلِمَةً حَتَّى تَنْحَرَ بُدْنَكَ، وَتَدْعُوَ حَالِقَكَ فَيَحْلِقَكَ. فَخَرَجَ فَلَمْ يُكَلِّمْ أَحَدًا مِنْهُ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় উনার প্রেক্ষাপট বা পটভূমি:
৬ষ্ঠ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত যিলক্বদ শরীফ মাসে হুদায়বিয়ার সন্ধি হয়। তখন স্বয়ং খ্বাালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করেন-
إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে অর্থাৎ আপনার সম্মানার্থে সম্মানিত মুসলমান উনাদেরকে প্রকাশ্য বিজয় মুবারক হাদিয়া করেছি। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা ফাত্হ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১)
হুদায়বিয়ার সন্ধির পর হযরত খালিদ বিন ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
বনূ নাযীর সম্পর্কিত কবিতাবলী:
فَإِنّك لَوْ لَاقَيْتهمْ فِي دِيَارِهِمْ ... لَأُلْفِيت عَمّا قَدْ تَقُولُ مُنَكّبَا
আপনি যদি তাদের দেশে গিয়ে তাদের সাথে মিশতেন, তাহলে এখন যা কিছু বলছেন তা থেকে অবশ্যই নিজেকে দূরে রাখতেন। নাউযুবিল্লাহ!
سِرَاعٌ إلَى الْعُلْيَا كِرَامٌ لَدَى الْوَغَى ... يُقَالُ لِبَاغِي الْخَيْرِ أَهْلًا وَمَرْحَبَا
তারা উর্ধ্বগামীতায় বেগবান, রণক্ষেত্রে সজ্জন, কল্যাণপ্রার্থীর জন্য তাদের দুয়ার সদা খোলা, তারা তাকে জানায় স্বাগতম। নাউযুবিল্লাহ!
কাট্টা কাফির ইবনে মিরদাসের কবিতার জবাবে হযরত কা’ব ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি কঠোর জব বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদী, নাসারা, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সমস্ত কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীনরা ছলে, বলে, কৌশলে মুসলমানদের জাহিরী-বাতিনী তথা সর্বোত ক্ষতি সাধনে তৎপর। যার বাস্তবতা দেখতে পাই আমাদের দেশেও। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন, তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে কোনঠাসা করার লক্ষ্যে এই কাফির গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেণীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোন বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সা¤্রাজ্যবাদীরা দেশের আদালতকে ব্যবহার করছে।
তাই, বর্ত বাকি অংশ পড়ুন...
হাররার ঘটনা কি?
হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “কারবালায় সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করার পরে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক যে লোমহর্ষক ও মর্মান্তিক ঘটনা সংঘটিত হয় এটাই হাররার ঘটনা নামে অভিহিত। এই স্থানটি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ থেকে এক মাইল দূরে অবস্থিত। ” (জযবুল কুলূব ইলা দিয়ারিল মাহবূব)
১. ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহ বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন-
أن حضرت خالدا رضي الله تعالى عنه لما أخذ اللواء حمل على القوم فهزمهم الله أسوأ هزيمة حتى وضع المسلمون أسيافهم حيث شاؤوا وأظهر الله المسلمين.
অর্থ : নিশ্চয়ই হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সম্মানিত পতাকা মুবারক গ্রহণ করে কাফিরদের উপর কঠিনভাবে আক্রমণ করেন। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফিরদেরকে অত্যন্ত লাঞ্ছিতভাবে পরাজিত করেন। মুসলমানরা সম্মানিত জিহাদ মুবারক শেষ করে উনাদের সম্মানিত তরবারী মুবারক রেখে দেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি মুসলমানদেরকে মহাসম্মানিত বিজয় মুবারক হাদিয়া করেন। সুবহানাল্লাহ! (আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্ ৩/৯ বাকি অংশ পড়ুন...
বনূ নাযীর সম্পর্কিত কবিতাবলী:
فَغُودِرَ مِنْهُمْ كَعْبٌ صَرِيعًا ... فَذَلّتْ بَعْدَ مَصْرَعِهِ النّضِيرُ
ফলে তাদের মধ্য থেকে কাট্টা কাফির কা’ব বিন আশরাফ জঘন্যভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলো। তার নিহত হওয়ার পরপরই বানূ নাযীরও অপদস্ত ও লাঞ্ছিত হয়ে পড়লো।
عَلَى الْكَفّيْنِ ثُمّ وَقَدْ عَلَتْهُ ... بِأَيْدِينَا مُشَهّرَةٌ ذُكُورُ
খাপমুক্ত শাণিত তরবারি আমাদের হস্তগত হলো, যার কারণে তারা দু’হাত জোড় করে নত হলো। কাট্টা কাফির কা’বের উপর আমাদের প্রসিদ্ধ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বিজয়ী হলেন। সুবহানাল্লাহ!
بِأَمْرِ حَضْرَتْ مُحَمّدٍ صَلّى اللّهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ إذْ دَسّ বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদী, নাসারা, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সমস্ত কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীনরা ছলে, বলে, কৌশলে মুসলমানদের জাহিরী-বাতিনী তথা সর্বোত ক্ষতি সাধনে তৎপর। যার বাস্তবতা দেখতে পাই আমাদের দেশেও। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন, তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে কোনঠাসা করার লক্ষ্যে এই কাফির গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেণীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোন বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সা¤্রাজ্যবাদীরা দেশের আদালতকে ব্যবহার করছে।
তাই, বর্ত বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদী, নাসারা, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সমস্ত কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীনরা ছলে, বলে, কৌশলে মুসলমানদের জাহিরী-বাতিনী তথা সর্বোত ক্ষতি সাধনে তৎপর। যার বাস্তবতা দেখতে পাই আমাদের দেশেও। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন, তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে কোনঠাসা করার লক্ষ্যে এই কাফির গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেণীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোন বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সা¤্রাজ্যবাদীরা দেশের আদালতকে ব্যবহার করছে।
তাই, বর্ত বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আবূ মুহম্মদ আব্দুল মালিক ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আবূ সুফিয়ান ইবনে হারব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পবিত্র যিলহজ্জ মাসে সাবীকের যুদ্ধের উদ্দেশ্যে বের হন। হযরত মুহম্মদ ইবনে জা’ফর ইবনে যুবাইর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ও হযরত ইয়াযীদ ইবনে রূমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং আরও কিছু বর্ণনাকারী উনারা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে কা’ব ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সূত্রে বর্ণনা করেন। আর হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে কা’ব ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয় বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রওয়াহাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ:
হযরত জা’ফর ইবনে আবী ত্বালিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশের সাথে সাথে পতাকা মুবারক উনার মধ্যে মাটির স্পর্শ লাগার আগেই তা হাত মুবারক-এ তুলে নেন তৃতীয় সেনাপতি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রওয়াহাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ! তিনি ঘোড়ায় চড়ে পতাকা মুবারক ধারণ করেন এবং অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে জিহাদ মুবারক করতে থাকেন এবং কাফিরদেরকে কচুকাটা করতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হু বাকি অংশ পড়ুন...












