১. বিবাহ করার নিয়ত করলে বৈবাহিক জীবন সর্ম্পকীয় ইলিম হাছিল করা ফরয। বিশেষতঃ বিশুদ্ধ নিয়ত, আহাল-আহলিয়ার হক বা অধিকারসমূহ, তালাক, হুরমতে মুছাহ্হারাহ্, ঈলা, জিহার, লেয়ান ইত্যাদি।
২. আহাল আহলিয়ার জন্য রাত্রিকালীন পোশাক সংগ্রহে রাখা সুন্নত। গায়ে দেয়ার জন্য বড় আকারের একটি চাদর রাখা। নির্জনবাসের পর লজ্জাস্থান মোছার জন্য দুটি রুমাল বা কাপড় রাখা উচিত। তবে তার পরিবর্তে টিস্যু রাখা যেতে পারে। একজনের ব্যবহৃত রুমাল অপরজন ব্যবহার করা যাবেনা। তাতে আহাল ও আহলিয়ার মাঝে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
৩. আহাল ও আহলিয়া একান্ত নির্জনবাসের পূর্বে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হিজরত মুবারক
পবিত্র মদীনা শরীফ
প্রথম হিজরী : হিজরত মুবারক উনার পর পথিমধ্যে বরিদা বিন হাসিব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করতে এসে নিজেই ৭০ জনের বাহিনীসহ ইসলাম গ্রহণ করেন। অতঃপর কুবায় ১৪ দিন অবস্থান করেন এবং সেখানে পবিত্র মসজিদ নির্মাণ করেন।
পবিত্র মদীনা শরীফ গমনকালে বতনে ওয়াদি নামক স্থানে ১০০ জন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদেরকে নিয়ে পবিত্র জুময়ার নামা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “তোমাদেরকে যা আদেশ মুবারক করা হয়েছে তার উপর ইস্তিকামত বা দৃঢ় থাকো।”
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ওই সকল পুরুষের প্রতি লা’নত বা অভিসম্পাত যারা মহিলাদের আকৃতি ধারণ করে, অনুরূপ যে সকল মহিলা পুরুষের আকৃতি ধারণ করে, তাদের প্রতিও লা’নত বা অভিসম্পাত।”
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “দশটি অপকর্মের কারণে হযরত লূত্ব আলাইহিস সালাম উনার ক্বওম ধ্বংস হয়েছ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ১২ ই শরীফ উপলক্ষে আপনার প্রস্তুতি কি? জানতে চাইলাম মসজিদ থেকে বের হওয়া একজন মুসুল্লিকে। কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে থাকিয়ে রইলো। বুঝলাম ধরতে পারেননি বিষয়টি। উত্তর না দিয়ে আরেকটি প্রশ্ন করলাম , আমাদের যিনি রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক জানা আছে তো? হেসে বললেন তা জানবো না কেন? সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
প্রসঙ্গ পাল্টে বললাম, আচ্ছা আপনার বাবাকে কি কখনো নাম ধরে ডেকেছেন? ভদ্রলোক বললেন, আপনার হয়েছে কি বলেনতো, এক প্রশ্ন থেকে অন্য প্রশ্নে যাচ্ছেন। কিছুই বুঝতে পারছ বাকি অংশ পড়ুন...
যেটা আমরা এক কথায় বলে থাকি মহাসম্মানিত কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে,
اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُه اُمَّهٰتُهُمْ.
“মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিনদের নিকট তাঁদের জানের চেয়ে অধিক প্রিয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
ইমামে আ’যম, ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সুলত্বানুল মাশায়িখ, ইমামুল মুত্তাক্বীন, হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার মুবারক ছোহবতের সওগাত হাছিলের জন্য উনার দরবার শরীফ-এ যেতেন এবং উনার নছীহত মুবারক খাছভাবে গ্রহণ করতেন। এ প্রসঙ্গে হযরত আমর ইবনে জামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- একদা আমি, হযরত ইবনে আবী লাইলা রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযর বাকি অংশ পড়ুন...
রফয়ে ইয়াদাইন সম্পর্কে ইমাম আওযাঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে
মুনাযারা বা বাহাস
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
ইমাম আওযাঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, আমি আপনাকে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করলাম, ইমাম যুহরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম সালিম রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের সূত্রে। আর আপনি বর্ণনা করছেন হযরত হাম্মাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইবরাহীম নাখঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আলক্বামা রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আসওয়াদ রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আন বাকি অংশ পড়ুন...
শায়েখ আবুল হাসান আলী কবশী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন- ৫৪৭ হিজরীতে আমি ও শায়েখ আলী বিন হায়তী সাইয়্যিদুল আওলিয়া হযরত শায়েখ মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবার শরীফ-এ বসা ছিলাম। তখন হযরত আবু গালেব ফজলুল্লাহ বিন ইসমাইল রহমতুল্লাহি আলাইহি নামে এক ব্যবসায়ী উনার নিকট এসে বললেন, হুযূর! বেয়াদবি ক্ষমা চাই! আপনার নানাজান নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন- ‘যদি কেউ দাওয়াত দেয়, তা কবুল করা উচিত।’ আমি আপনাকে আমার গরিবালয়ে দাওয়াত দিচ্ছি। তিনি বললেন- যদি অনুমতি বাকি অংশ পড়ুন...
ثم قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَأَيْتُمُ الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ،
অতপর তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, যখন আপনারা দেখবেন কাউকে এই পবিত্র আ্য়াতে মুশাবাহা এর পিছনে পরে থাকে অর্থাৎ এসব নিয়ে চূ-চেরা কিল ও কাল করে। তারা কারা?
أُولَئِكَ الَّذِينَ سَمَّى اللَّهُ
এরা হচ্ছে ঐ সমস্ত লোক যাদেরকে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি চিহ্নিত করছেন গোমরাহ হিসেবে। কাজেই আপনারা সাবধান থাকবেন। নাউযুবিল্লাহ! যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যাদেরকে গোমরাহ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন অর্থাৎ চিহ্নিত করেছেন এরাই বাকি অংশ পড়ুন...
শরহে আক্বায়েদে নাসাফী ও অন্যান্য আক্বায়েদের কিতাবের বর্ণনা মোতাবেক পবিত্র হাদীছ শরীফের প্রতি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য বা অবজ্ঞা প্রদর্শন করা কুফরী। সুতরাং তিরমিযী শরীফে বর্ণিত উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফখানা গোল টুপি সুন্নত হওয়ার ক্ষেত্রে দলীল হিসেবে নিশ্চিতরূপেই গ্রহণযোগ্য।
জঈফ হওয়ার কারণে উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফের আমল পরিত্যাগ করা বা উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করা হারাম ও কুফরী। উল্লেখ্য, কেউ যদি গোল টুপির উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফকে রদ করতে চায় বা গোল টুপি ব্যতীত অন্য কোন টুপি সুন্নত প্রমাণ করতে চায়, তবে তাকে উক্ বাকি অংশ পড়ুন...












