মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টির শুরু থেকেই বছরে ১২টি চন্দ্রমাস নির্ধারণ করে রেখেছেন। যা পরবর্তীতে হিজরতের সাথে সংগতি রেখে হিজরী সন হিসেবে আখ্যায়িত হয়। হিজরী সন বা চন্দ্রবছরের বারটি চন্দ্রমাস উনাদের ধারাবাহিকতা, নাম ও নামকরণের সার্থকতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِنْدَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ فَلَا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنْفُسَكُمْ وَقَاتِلُوا الْمُشْرِكِينَ كَافَّةً كَمَا يُقَاتِلُونَكُمْ كَافَّةً وَاعْلَمُوا أَنَّ ال বাকি অংশ পড়ুন...
প্রখ্যাত ছাহাবী সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আসার ঈমানদীপ্ত কাহিনী প্রসঙ্গে বর্ণনা করা হয়, একদা কাট্টা কাফির আবু জাহিল সাফা পর্বতের পাশ দিয়ে কোথাও যাচ্ছিল। ঘটনাক্রমে সেখানে নবীদের নবী, রসূলদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখতে পেয়ে তার অন্তরের দহন জ্বালা উতলে উঠল। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে চরম বেয়াদবী প্রদর্শন করে সে ইসলাম সম্পর্কে নানা রকম কটুক্তি বাক্যে বক বক করে চলে গেল। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
অডিও প্রকাশনা
এর মধ্যে রয়েছে পবিত্র জুমুয়াহ শরীফে দেয়া খুতবা মুবারক, বিশেষ মাহফিল উনার আলোচনা মাজলিস, পারিবারিক তা’লীমে দেয়া উনার সওয়াল-জাওয়াব মুবারক, খানকা শরীফের বয়ান মুবারক ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে পবিত্র হামদ শরীফ, পবিত্র না’ত শরীফ ও পবিত্র ক্বাছীদা শরীফ উনার সিডি প্রকাশনা। সুবহানাল্লাহ!
যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র জুমুয়ার দিনের আলোচনা মুবারক যদি কেউ এক বছর মনোযোগের সাথে শোনেন, তিনি পুরুষ বা মহিলা যে-ই হন না কেন- উনার সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উ বাকি অংশ পড়ুন...
যার জন্য যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে ঘোষণা মুবারক দিয়েছেন,
سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى
“তিনি সেই মহান আল্লাহ পাক যিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে রাত্রের সামান্য সময়ে পবিত্র মসজিদুল হারাম শরীফ থেকে পবিত্র আকসা শরীফ পর্যন্ত ভ্রমন করিয়েছেন। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘আব্দ’ হিসাবে সম্বোধন করেছেন। কারণ বান্দার তরফ থেকে সর্বশ্র বাকি অংশ পড়ুন...
بُطْحٌ এর ব্যাখ্যায় ইমামুল মুহাদ্দিছীন, পবিত্র হাদীছ শরীফের বিখ্যাত ব্যাখ্যাকার ইমাম মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সর্বজন মান্য কিতাব মিশকাত শরীফের শরাহ মিরকাত শরীফের ৮ম খ- ২৪৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
(بُطْحًا) بضم الموحدة فسكون المهملة جمع بطحاء اى كانت مبسوطة على رؤسهم لازقة غير مرتفعة عنها
অর্থ: “বুতহুন” বা-এর উপর পেশ, ত্ব-এর উপর সাকিন। বুতহুন এর বহুবচন হচ্ছে “বুতহাউন” অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের টুপি উনাদের মাথা মুবারকের সাথে লেগে থাকতো। এমনভাবে লেগে থাকতো যে, তা মাথা হতে উঁচু হয়ে থাকতো না।” “বুতহুন” এর ব্য বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইলম অর্জনকে অত্যাধিক গুরুত্ব মুবারক দিতেন। আদেশ এবং নির্দেশনা মুবারক প্রদান করতেন। উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ঊলা কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত জিন্দেগী মুবারকে সবাইকে ইলম অর্জনের জন্য তাগিদ মুবারক দিয়ে গেছেন। হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত হুজরা শরীফ মুবারক ছিলেন ইলম উনার খনি মুবারক।
পবিত্র মক্কা শরীফ উনার অত্যন্ত নিরিবিলি স্থানে অবস্থিত হযরত আরকাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বাড়ি ম বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
انَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِنْدَ اللهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِىْ كِتَابِ اللهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّموتِ وَالْاَرْضَ مِنْهَا اَرْبَعَة حُرُم ذلِكَ الدّينُ الْقَيّمُ فَلَا تَظْلِمُوْا فِيهِنَّ اَنْفُسَكُمْ وَقَاتِلُوا الْمُشْرِكِيْنَ كَافَّةً كَمَا يُقَاتِلُوْنَكُمْ كَافَّةً وَاعْلَمُوْا اَنَّ اللهَ مَعَ الْمُتَّقِيْنَ.
অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট উনার বিধানে আসমানসমূহ ও যমীনসমূহ সৃষ্টির দিন হতেই গণনা হিসেবে মাসের সংখ্যা ১২টি। তন্মধ্যে ৪টি হারাম (যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ) মাস। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং এ মাসগুলোর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করো না। তোমরা মু বাকি অংশ পড়ুন...
৭০নং পবিত্র হাদীছ শরীফ
عَنْ حَضْرَتْ أنس رَضِيَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ويل لأمتي من علماء السوء
অর্থ : “হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার ঐ উম্মতের জন্য জাহান্নাম যে উলামায়ে ‘ছু’। ” (মুস্তাদরাকে হাকিম, কানযুল উম্মাল শরীফ/২৯০৩৪)
৭১নং পবিত্র হাদীছ শরীফ
عَنْ حَضْرَتْ حذيفة رَضِيَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ "ويل বাকি অংশ পড়ুন...
ওয়াক্বফ : ওয়াক্বফ শব্দের অর্থ হলো ‘খাড়া হওয়া’ অথবা ‘বিলম্ব করা’, তবে ইলমে তাজউয়ীদের পরিভাষায় পবিত্র কুরআন শরীফ উনার কোন পবিত্র আয়াত শরীফ সমাপ্ত করে বিরামার্থে পবিত্র আয়াত শরীফ উনার শেষ হরফে সাকিন করতঃ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে পুনর্বার নেয়ার জন্য ক্ষণকাল বিলম্ব করাকে ওয়াক্বফ বলে।
ওয়াক্বফগুলো আদায় করার সময় কখনও ‘রওম’ কখনও ‘ইশ্মাম’ কখনও ‘ইস্কান’ কখনও ‘ইব্দাল’ করে ওয়াক্বফ করতে হয়।
রওম : রওম শব্দের অর্থ হরকতের তিন অংশের এক অংশ পাঠ করা, অর্থাৎ যেই হরফের মধ্যে ওয়াকফ করা হয়, সেই হরফের হরকত (যের বা পেশ) এক তৃতীয়াংশ পড়াকে রওম বলে। এইরূপ আওয় বাকি অংশ পড়ুন...
কেমন আপনারা? সেটাই যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,
مُسْلِمَاتٍ مُّؤْمِنَاتٍ قَانِتَاتٍ تَائِبَاتٍ عَابِدَاتٍ سَائِحَاتٍ
এখানে ছয়টা সম্মানিত ছিফত মুবারক যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মান আল্লাহ পাক তিনি নিজ থেকেই ইরশাদ মুবারক করেছেন। এই ছয়টা ছিফতের মধ্যেই উনাদের সমস্ত বিষয়গুলি যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট করে ইরশাদ মুবারক করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
مُسْلِمَاتٍ
মুসলমান। মুসলমান কাকে বলে? যিনি পরিপূর্ণ আতœসমর্পণকারী। মুসলম বাকি অংশ পড়ুন...
‘শাজরা’ ও ‘সিলসিলা’ দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বত উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার “শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য।
মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মুরাদুল মুরীদীন’ কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বি বাকি অংশ পড়ুন...












