আপনি যে দেখলেন- কতগুলি সৈন্য-সামন্ত, তারা কি বললো জানেন? সৈন্য-সামন্তরা তাদের ঢাল-তলোয়ার নিয়ে তারা তার কবরকে প্রদক্ষিণ করলো এবং তারা কাঁদতে কাঁদতে বললো, হে শাহযাদা যদি ঢাল দিয়ে, তলোয়ার দিয়ে তোমাকে রক্ষা করা সম্ভব হতো, তাহলে আজকে তোমাকে আমরা অবশ্যই রক্ষা করতাম সেই মৃত্যু থেকে। কিন্তু তোমাকে এমন এক অস্তিত্ব অর্থাৎ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি মৃত্যু দিয়েছেন, যাঁর কাছে আমাদের ঢাল-তলোয়ারের কোন মূল্যই নেই, কোন মূল্যই নেই। কাজেই তোমাকে রেখে যাওয়া ছাড়া আমাদের কোন পথ নেই। এই কথা বলে তারা কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল।
এ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هٰذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُقَالُ لَهُمْ أَحْيُوْا مَا خَلَقْتُمْ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যারা প্রাণীর ছবি তৈরী করবে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, যে ছবিগুলো তোমরা তৈরী করেছ, সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দাও। ” (বুখারী শর বাকি অংশ পড়ুন...
মেছালস্বরূপ বলা হয়ে থাকে যে, হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, পূর্ববর্তী বুযুর্গ ছিলেন। উনার প্রসঙ্গে বলা হয় যে, মানুষ কিছুই নিয়ে যেতে পারবে না। শুধু নেক আমলটা তার সাথে যাবে।
উনার প্রসঙ্গে বলা হয় যে, হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি মহান আল্লাহ পাক উনার বড় ওলী ছিলেন। প্রথম যামানায় উনি মণিমুক্তার ব্যবসা করতেন। রোম থেকে মণিমুক্তা এনে উনি বছরাতে বিক্রি করতেন। উনি একবার গেলেন সেই রোমে। রোমের এক উযিরের সাথে, এক মন্ত্রীর সাথে উনার সম্পর্ক ছিল।
সেই রোমের মন্ত্রী বললো, হে হযরত হাস বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلٰى أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
অর্থ: তোমরা কিতাবের কিছু হুকুম মানবে আর কিছু হুকুম অমান্য করবে (তা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়)। যে ব্যক্তি এরূপ করবে তার পরিণাম হচ্ছে, সে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছিত হবে এবং পরকালে কঠিন আযাবে নিক্ষিপ্ত হবে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে খবর রাখেন। ” (সূরা বাক্বারা: আয়াত শরীফ ৮৫)
বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন-
فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرَاتِ
“নেক কাজে তোমরা প্রতিযোগিতা করো।
যেমন হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ উনারা প্রতিযোগিতা করেছেন, হযরত ইমাম-মুজতাহিদগণ উনারাও করেছেন, ঠিক সেরকম করতে হবে। এ প্রসঙ্গে একটা ওয়াকেয়া বলা হয়ে থাকে যে, পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার প্রতি হাক্বীক্বী আমল করতে হলে, কি জরুরত। হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি খুব বড় বুযুর্গ ছিলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী ছিলেন। উনার একটা ওয়াকেয়া উল্লেখ করা হয়। হযরত শাক্বীক্ব বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পীর ছাহে বাকি অংশ পড়ুন...
বাদশাহ জাহাঙ্গীরের উজিরে আ’যম ছিল আসফ খাঁ। সে ছিল শিয়া। সে সবসময় বাদশাহকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করতো।
অপরদিকে বাদশাহর দরবারে একজন মুফতী ছিলেন। উনার নাম হযরত আব্দুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ছিলেন আফদ্বালুল আওলিয়া, ইমামে রব্বানী হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ। তিনি বাদশাহকে সবসময় হক্বের উপর ইস্তিক্বামত থাকতে পরামর্শ দিতেন। একবার উজিরে আ’যম আসফ খাঁর নেতৃত্বে শিয়ারা ইউরোপ থেকে চৌদ্দ জন পাদ্রীকে নিয়ে আসলো। বাদশাহ যাতে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করতে রাজী হয়। পাদ্রীরা এসে বাদশাহর দরবারে বীজ লা বাকি অংশ পড়ুন...












