ইমামুল মুহাদ্দিছীন হযরত শাহ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত কিতাব মাদারিজুন নুবুওয়াতে উল্লেখ করেছেন, বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দস্তরখানে পতিত খাবার তুলে খায় তার সন্তান-সন্ততি সুশ্রী ও সুন্দর হয়ে জন্মগ্রহণ করে। সুবহানাল্লাহ!
কে না চায় যে, তার সন্তান-সন্ততি সুশ্রী ও সুন্দর হয়ে জন্মগ্রহণ করুক। সকলেই তো চায়। এজন্য সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণ করতে হবে।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ৬৩ বাকি অংশ পড়ুন...
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব, আশরাফুল মাখলূক্বাত মানুষ। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই আমি আদম সন্তানকে সম্মানিত, মর্যাদাবান করেছি। ” (পবিত্র সূরা বানী ইসরাঈল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭০)
তবে মানুষদের মাঝে কতক আছে যারা সৃষ্টির সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইশাদ মুবারক করেন, “ওরা চতুষ্পদ জন্তুর মত। বরং চতুষ্পদ জন্তুর থেকেও নিকৃষ্ট। ” (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৭৯)
যারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আর উলিল আমর তথ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত রায়হানাহ ওয়ালাহা রহমতুল্লাহি আলাইহা :
তিনি বছরার এক আবেদা ছিলেন। হযরত ছালেহ মাররি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম-সাময়িক ছিলেন। তিনি উনার জামার বুকের দিকের অংশে এই শে’র লিখে রেখেছিলেন-
أَنْتَ أُنْسِي وَهَمَّتِى وَسُرُورِي ... قَدْ أَبَى الْقَلْبُ أَنْ يُحِبَّ سِوَاكَا
يَا عَزِيزِي وَهَمَّتِى وَمُرَادِى ... طَالَ شَوْقِي مَتَى يَكُونُ لِقَاكَا
لَيْسَ سُؤْلِي مِنَ الْجِنَانِ نَعِيمٌ ... غَيْرَ أَنِّي أُرِيدُهَا لِأَرَاكَا
(অর্থ: আপনি আমার মুহব্বত, আমার হিম্মত, আমার আনন্দ। আপনি ছাড়া কাউকে মুহব্বত করা আমার অন্তর অস্বীকার করে। হে আমার প্রিয়, হে আমার হিম্মত, হে আমার আরজু। আমার আগ্রহ সুদীর্ঘ হয়ে গিয়েছ বাকি অংশ পড়ুন...
সন্তান ভ‚মিষ্ট হওয়ার পর তার কানে আযান-ইক্বামত দেয়া একটি পবিত্র সুন্নতী আমল এবং ইসলামী তাহযীবের অন্তর্ভুক্ত।
ছেলে সন্তান ও মেয়ে সন্তান প্রত্যেকের জন্মগ্রহণের পর নাড়ী কেটে, গোসল করিয়ে তারপর ডান কানে আযান ও বাম কানে ইক্বামত দিতে হয়।
সন্তান দুনিয়ায় আগমনের পরমুহূর্তে তার নিকট তার যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার মহিমা এবং উনার যিনি শ্রেষ্ঠতম রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহিমা ঘোষণা করার উদ্দেশ্যেই আযান ও ইক্বামত বলার নির্দেশ মুবারক দেয়া হয়েছে। দ বাকি অংশ পড়ুন...
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে, ইমাম জাছছাছ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, চক্ষু নিম্নগামী করার নির্দেশ আমাদের জন্য যাদেরকে দেখা হারাম তাদের সম্পর্কেই। হযরত মুহম্মদ বিন ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মুহম্মদ বিন ইবরাহীম রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত সালামা ইবনে আবূ তুফাইল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে, তিনি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আলী আলাইহিস সালাম! ন বাকি অংশ পড়ুন...
ঘর ওয়ালার প্রশ্নের জবাবে অনুমতি প্রার্থনাকারী শুধু “আমি আমি” বলা নিষেধ হওয়া সংক্রান্ত :
‘খত্বীব’ উনার ‘জামে’তে হযরত আলী বিন আছিমিল্ ওয়াসিত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একদা আমি বছরায় আগমন করে হযরত শু’বাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাড়ীতে আসলাম এবং উনার ঘরের দরজায় খট্খটি দিলাম। তিনি বললেন, আপনি কে? আমি বললাম আমি। তিনি বললেন, হে আপনি! গর্বকারী বন্ধু সে তার বন্ধুর কাছে আমি বলছে। অতঃপর তিনি ঘর থেকে আমার দিকে বেড়িয়ে আসলেন এবং বললেন, আমার কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত মুহম্মদ ইবনুল মুনকাদির রহমতুল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে পাশ্চাত্যের যত বৈরী প্রচারণা তার বেশীর ভাগই নারী অধিকার ও নারীর মর্যাদাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, পাশ্চাত্যের উচ্চ শিক্ষিত নারীরাই সবচেয়ে অধিকহারে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দিকে এগিয়ে আসছেন। বিংশ শতাব্দির ১ম দশকে পাশ্চাত্যে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণকারী নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩৭%। অন্যদিকে খ্রীস্টান ধর্ম গ্রহণকারীদের সংখ্যা সে সময়ে ৪৬% বৃদ্ধি পেলেও, এর বিপরীতে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণকারীদের সংখ্যা একই সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩৫%। এক জরিপে দেখা গেছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র বাকি অংশ পড়ুন...
এসএসসিতে বাংলা সহপাঠ হিসেবে পড়তে হয়েছিল অবাধ মেলামেশা ও পরকীয়া নিয়ে “হাজার বছর ধরে” উপন্যাসটি। তারপর এইচএসসিতে পড়তে হল “পদ্মা নদীর মাঝি” উপন্যাস।
স্কুল কলেজে এসব বেপর্দা-বেহায়াপনা শেখা সেই ছাত্র-ছাত্রীরা এখন সংসার জীবনে প্রবেশ করেছে।
এই মানুষগুলোকে যদি ছাত্রজীবনে এসব না শিখিয়ে বেপর্দা-বেহায়াপনার শাস্তি শিখানো হত, তাহলে কি তারা এতোটা বেপরোয়া হতে পারত? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের কারো মাথায় লোহার পেরেক ঠুকে দেয়া ঐ মহিলাকে স্পর্শ করা থেকে বাকি অংশ পড়ুন...
অনেক মহিলা এমন আছে, পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ে রোযা রাখে এমনকি অনেক নফল ইবাদত করে থাকে, কিন্তু পর্দাকে কোন গুরুত্ব দেয় না। এর মধ্যে অনেকে বোরকা পরেনা, অনেকে বোরকা পরেও বোরকা না পরার সমান। কারণ এই বোরকাতে তাদের দেহের আকৃতি সম্পূর্ণ বোঝা যায়। আবার অনেকে এমন বোরকা পরে যে, তার হাত পা মুখ সব খোলা রাখে। তাদের মতে এটাই বোরকা তথা এটাই পর্দা। আবার অনেকে বলে থাকে এত পর্দার দরকার নাই। নাউযুবিল্লাহ! অথচ সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা পর্দা করা ফরয। পাশাপাশি পর্দা মহিলাদ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘ছোহবত ক্রিয়া করে।’
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, পরস্পর মুছাফাহা করো; এতে অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধি পায়, মনের কালিমা দূর হয়। একে অন্যকে হাদিয়া দাও; এতে ভালোবাসা বৃদ্ধি হয় এবং হিংসা বিদ্বেষ দূর হয়। (মিশকাত শরীফ)
যাহিরী আলিমদের ছোহবত ইখতিয়ার করলে ইলম বৃদ্ধি হয়, কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত মা’রিফাত হাছিল হয় না। অভিজ্ঞদের ছোহবতে গেলে প্রত্যেক বিষয়ে চূড়ান্ত ফায়ছালা পাওয়া যায়। বৃদ্ধদের ছোহবতে গেলে চিন্তা শক্তি বৃদ্ধি পায় ও দুনিয়াবী অভিজ্ঞতা পয়দা হয়। রাজা-বা বাকি অংশ পড়ুন...












