খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَنْ يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا
অর্থ: আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে এবং আপনার বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে এবং মু’মিনদের আহলিয়াগণকে বলে দিন- উনারা যেন উনাদের চাদরের একটা অংশ চেহারা ও বুকের উপর টেনে দেন অর্থাৎ পর্দা করেন। এটা হচ্ছে- উনাদের সম্ভ্রান্ত হওয়ার পরিচয় এবং উনাদেরকে বিরক্ বাকি অংশ পড়ুন...
উনি যখন ব্যাপারটা দৃৃঢ়তার সহিত, মজবুতির সহিত বললেন, তখন বাগানের মালিক হযরত আব্দুল্লাহ সাওমাঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি খুব ভাল করে উনার মাথা থেকে পা পর্যন্ত লক্ষ্য করলেন একাধিকবার। এ ছেলে, এ যুবক কি বলছে? উনার এত বড় তাক্বওয়া? এত বড় পরহেযগারী? নিশ্চয়ই এই যুবক মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হবে। সাধারণ লোকের এতটুকু তাক্বওয়া, এত পরহেযগারী থাকার কথা নয়। তখন হযরত আব্দুল্লাহ সাওমাঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, বেশ; আপনি যদি মূল্য পরিশোধ করতেই চান, তাহলে মূল্য দিয়ে দিন, কত দিবেন?
হযরত আবূ ছালেহ মূসা জঙ্গী দোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, আমার কাছে তো কো বাকি অংশ পড়ুন...
উনার কতিপয় কারামত মুবারক:
(৬)
“তাওয়ারীখে আযীবা” কিতাবের ৫০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, একবার হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “কুএল” নামক স্থানে ছিলেন। এমতাবস্থায় আকবর আলী খাঁ নামক একজন লোক উনাকে শহীদ করার ইচ্ছায় অস্ত্রসহ সেখানে উপস্থিত হলো। হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইলহাম কর্তৃক অবগত হয়ে উনার মুরীদদেরকে বললেন, ‘এমন নামধারী এক ব্যক্তি আমার নিকট আসতেছে তাকে ভিতরে আসতে বাধা দিও না।’ একটু পরে সেই অস্ত্রধারী লোকটি উনার সামনে এসে বসে গেলো এবং বললো, ‘আপনার নিকট আমার কিছু জিজ্ঞাসা কর বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَإِن تَصْبِرُوا وَتَتَّقُوا لَا يَضُرُّكُمْ كَيْدُهُمْ شَيْئًا إنَّ اللَّهَ بِمَا يَعْمَلُونَ مُحِيطٌ.
অর্থ: তোমরা যদি ধৈর্যশীল হও অর্থাৎ ইস্তিকামত থাকো এবং তাকওয়া অবলম্বন করো, তবে কাফির-মুশরিকদের ষড়যন্ত্র তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। তারা যা করে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি পরিবেষ্টন করে রয়েছেন। (তাদের প্রত্যেক কাজ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্যক অবহিত, কাজেই পরকালে উনার শাস্তির হাত হতে রেহাই পাওয়ার তাদের কোনো উপায় নেই)। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান: আয়াত শরীফ ১২০)
বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِيْـنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়েও অধিক প্রিয়। (পবিত্র সূরা আহযাব: আয়াত শরীফ ৬)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهَ وَسَلَّمَ لَا يُؤْمِنُ اَحَدُكُمْ حَتّٰى اَكُوْنَ اَحَبَّ اِلَيْهِ مِنْ وَّالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ اَجْمَعِيْنَ
অর্থ: খাদিমু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্ব বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন,
رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا
অর্থ: “(তোমরা দু’আ কর,) আয় আল্লাহ পাক! আপনি আমাদের ইলম বৃদ্ধি করে দিন।”
কেননা, সমস্ত ইলম-কালামসহ সমস্ত কিছুই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট রয়েছে। সেটাও তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
إِنَّمَا الْعِلْمُ عِنْدَ اللَّهِ
অর্থ : নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকটেই সমস্ত সম্মানিত ইলম মুবারক রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
আর এ সমস্ত ইলম মুবারক তিনি উনার প্রিয় হাবীব ও মাহবুব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া করেছেন। কেননা, পবিত্র হাদীছ শরীফ উন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا طَلْحَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيْهِ كَلْبٌ وَّلاَ صُوْرَةُ تَمَاثِيْلَ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি হযরত আবূ ত্বলহা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে শুনেছি। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুনেছি। তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ওই সমস্ত ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন বাকি অংশ পড়ুন...
উনি ফিকির করতে লাগলেন যে, এর মালিককে খুঁজে বের করতে হবে। তার মূল্য পরিশোধ করতে হবে। যদিও শরীয়তের মাসয়ালা রয়েছে-
اَلضَرُورَةُ تُبِيحُ الْمَحْظُورَاتِ
‘জরুরত হারামকে মুবাহ করে দেয়।’ একটা লোক মা’জুর হয়ে গেলে, অক্ষম হয়ে গেলে, আমাদের হানাফী মাযহাব মুতাবিক তিনদিন ধরে না খেয়ে থাকলে, ক্ষুধার তাড়নায় তার জন্য হারাম যে কোন খাদ্য সেটা মুবাহ হয়ে যায়। সে জরুরত আন্দাজ গ্রহণ করতে পারে।
শরীয়তের ফতওয়া মুতাবিক উনার আমল শুদ্ধই হয়েছে। কিন্তু উনি তো খুব বড় আলিম ছিলেন। উনি ফিকির করলেন, উনাকে ফতওয়ার উপর আমল করলেই চলবেনা, উনাকে তাক্বওয়ার উপর আমল করতে হবে। মালিক বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উলিল আমর তথা ওলীআল্লাহ-
১) উনাদের পবিত্র বাণী শ্রবণ করতে হবে।
২) উনাদের আনুগত্য বা অনুসরণ করতে হবে।
৩) উনাদের সন্তুষ্টির জন্য দান-খয়রাত করতে হবে।
বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولًا أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ
অর্থ: “অবশ্যই আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই একজন সম্মানিত রসূল আলাইহিস সালাম উনাকে প্রেরণ করেছি এই জন্য যে, যেন তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত করো এবং তাগুত (মূর্তিপূজা বা কাফির-মুশরিকদের অনুসরণ) থেকে দূরে থাকো।” (পবিত্র সূরা নহল: আয়াত শরীফ ৩৬)
বাকি অংশ পড়ুন...
উনার কতিপয় কারামত মুবারক:
(৩)
“কারামতে আহমদী” কিতাবের ৪৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হজ্জে যাওয়ার সময় সমুদ্রের মধ্যে স্টিমারে মিষ্টি পানি শেষ হয়ে গিয়েছিলো। জাহাজের পরিচালকরা তা হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে অবগত করলে তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়া করতে বসে গেলেন। দোয়া করার সময় উনার নিকট ইল্হাম হলো যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এই স্থানের সমুদ্রের পানি মিষ্টি করে দিয়েছেন। যে পরিমাণ পানি ইচ্ছা হয় জাহাজে পূর্ণ করে নেয়া যাবে। তখন তিনি জাহাজের পরিচালকদ বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে-
‘গরতু খাহী হাম নশীনী বা খোদা, গো নশীনী দর হুজুরে আউলিয়া’
অর্থাৎ তুমি যদি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে বসতে চাও, তাহলে হযরত আউলিয়ায়ে কিরামের দরবারে বসো।
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে-
‘চশমে রওশন কুঞ্জে খাকে আউলিয়া, তাববিনী এবতেদা তা এন্তেহা’
অর্থাৎ হযরত আউলিয়ায়ে কিরামের পদধুলি দ্বারা তোমার চক্ষু উজ্জল করো, তাহলে শুরু হতে শেষ পর্যন্ত দেখতে পাবে। সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে-
‘আঁ নাকে খাকরা বনজর কিমিয়া কুনন্দ, আয়া বুয়াদ কেহ গোশায়ে চশম বমাকুনন্দ’
অর্থাৎ যারা দৃষ্টি দ্বারা মাটিকে স্বর্ণ করেন, কতইনা উ বাকি অংশ পড়ুন...












