বিশিষ্ট তাবিয়ী ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত্ব ত্বরীক্বত হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
إِنَّمَا الْفَقِيْهُ اَلزَّاهِدُ فِي الدُّنْيَا اَلرَّاغِبُ فِي الْاَخِرَةِ اَلْبَصِيْرُ بِذَنْبِهِ اَلْمُدَاوِمُ عَلَى عِبَادَةِ رَبِّهِ اَلْوَرِعُ اَلْكَافُّ عَنْ اَعْرَاضِ الْـمُسْلِمِيْنَ اَلْعَفِيْفُ عَنْ اَمْوَالِـهِمْ اَلنَّاصِحُ لِجَمَاعَتِهِمْ.
হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ফক্বীহ আলিম বা আল্লাহওয়ালা কে?
اَلزَّاهِدُ فِي الدُّنْيَا
যিনি দুনিয়া থেকে বিরাগ।
اَلرَّاغِبُ فِي الْاَخِرَةِ
পরকালের দিকে রুজু হয়ে রয়েছেন।
اَلْبَصِيْرُ بِذَنْبِهِ
গুনাহ্র ব্যাপারে তিনি সতর্ক।
اَلْمُدَاوِمُ عَلَى عِبَادَةِ رَ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
পরবর্তী সম্মানিত খলীফা আলাইহিমুস সালাম উনাদের আমলে যেসব নতুন বিষয় মাথা চাড়া দিয়ে উঠে তিনি অতি সতর্কতার সাথে এসব আন্দোলন থেকে নিজকে দূরে রাখেন। অন্যান্য অনেক বিশিষ্ট ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মত তিনি নির্জনতা অবলম্বন করেন। এজন্য সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত আমলে উটের যুদ্ধ ও অন্যান্য যুদ্ধে উনাকে কোন ভূমিকা রাখতে দেখা যায় না। এসব ঘটনায় তিনি স¤পূর্ণ নিরপেক্ষ ছিলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সাল বাকি অংশ পড়ুন...
আফদ্বালুন নিসা ওয়ান নাস বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক হচ্ছেন, তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত লখতে জিগার মুবারক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাত (মেয়ে) আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আ বাকি অংশ পড়ুন...
তিনি বললেন যে, বিপরীত হলে কি হবে? কাকে দোষারোপ করা হলো? তাহলে যে সমস্ত কাফিরগুলি চূ-চেরা কিল ও কাল করে, যে কাফিরগুলি বাল্য বিবাহের বিরোধীতা করে সেগুলির শাস্তি চোখের পলকে প্রত্যেকটার গরদান ফেলে দেয়া ফরয হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনাদের সম্মানিত শান-মান মুবারক তাহলে কতটুকু? সেটাইতো যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, ক্বিয়ামত পর্যন্ত যদি কোন চূ-চেরা কিল ও কাল করো তাহলে একমাত্র শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। এর থেকে তোমাদের কোন রেহাই নেই। কেউ রেহাই দিতে পারবে না। সেটাইতো বল বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, পূর্ববর্তী যামানায় একজন প্রতাপশালী বাদশাহ ছিলো। সেই বাদশাহর অধিনে অনেক উঁচু লম্বা অনেক শক্তির অধিকারী এক কুস্তিগির ছিলো। সেই কুস্তিগীর কুস্তি করতে করতে পর্যায়ক্রমে সে সময়কার যত কুস্তিগীর ছিলো তাদের সবাইকে পরাস্ত করে ফেললো। এমতাবস্তায় বাদশাহ ঘোষণা দিলো যে, বাদশাহর এই কুস্তিগীরের সাথে কেউ যদি কুস্তি করে বিজয়ী হতে পারে তাহলে তাকে এক লক্ষ দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) পুরস্কার দেয়া হবে। এ ঘোষণা অনেক দিন চললো দেখা গেলো কোন কুস্তিগীর কুস্তি করতে আসলো না। যদিও কেউ কেউ কখনো কখনো এসেছিল তারা সকলেই বাদশাহর কুস্তিগীর পা বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর) জিহাদে অংশগ্রহণ:
হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আবাসে ও প্রবাসে এমনকি জিহাদের ময়দানেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে অবস্থান করতেন। বদরের জিহাদের সময় উনার বয়স কম ছিল বিধায় জিহাদে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তবে তিনি মুসলিম মুজাহিদদের পাশাপাশি জিহাদের ময়দানে উপস্থিত ছিলেন। পরের বছর উহুদের জিহাদ হয়। তখনও হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু অল্প বয়স্ক ছিলেন। হিজরী ষষ্ঠ সনে হুদায়বিয়ায় বাইয়াতুর রিদ্বওয়ানে অংশগ্রহণ করার সৌভাগ্য ত বাকি অংশ পড়ুন...
এই তাক্বউইম-এর মাসের নামকরণ করা হয়েছে আরবী পদ্ধতি অনুযায়ী। যেমন, আরবীতে প্রথমকে বলা হয় আউওয়াল, দ্বিতীয়কে বলা হয় ছানী। এভাবে ১ম মাস থেকে ১২তম মাস পর্যন্ত নামকরণ করা হয়েছে-
ক্রম নামকরণ ক্রম নামকরণ
১ আউওয়াল (اَوَّلٌ) ৭ সাবি’ (سَابِعٌ)
২ ছানী (ثَانِىْ) ৮ ছামিন (ثَامِنٌ)
৩ ছালিছ (ثَالِثٌ) ৯ তাসি’ (تَاسِعٌ)
৪ রবি’ (رَابِعٌ) ১০ ‘আশির (عَاشِرٌ)
৫ খ্বমিস (خَامِسِ) ১১ হাদী ‘আশার (حَادِىْ عَشَرَ)
৬ সাদিস (سَادِسٌ) ১২ ছানী ‘আশার (ثَانِىْ عَشَرَ)
আত তাক্বউইমুশ শামসীতে দিনের নামকরণ পদ্ধতি
আরবী মাসের প্রতিটি দিনের নামানুসারেই নামকরণ হয়েছে। যথা:
বার (উচ্চারণ) বার (আরবী) বার (প্রচলিত নাম)
ই বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খ্বলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন,
أُولَئِكَ مُبَرَّءُونَ مِمَّا يَقُولُونَ
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সবকিছু থেকে পবিত্র। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ،
উনাদের জন্য যিনি খ্বলিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে অত্যন্ত সম্মানিত রিযিক এবং সম্মানিত মর্যাদা, ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তোমরা কি বললে?
مَعَاذَ اللَّهِ,
তোমরা এটা কি বললে কথাটা। কি বললে?
فَإِنْ كَانَتْ
যদি
ام المؤم বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَائِكَةِ إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً
অর্থ: “আর যখন আপনার মহান রব তাআলা তিনি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে বললেন, আমি যমীনে খলীফা প্রেরণ করবো।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩০)
অর্থাৎ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন মানুষ সৃষ্টি করার এবং যমীনে প্রেরণ করার কথা হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে জানালেন, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বললেন-
قَالُوْا أَتَجْعَلُ فِيْهَا مَنْ يُّفْسِدُ فِيْهَا وَيَسْفِكُ الدِّ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সবসময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে থাকতেন। হিজাবের বা পর্দার আয়াত শরীফ নাযিল হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি স্বাধীনভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফে যাতায়াত করতেন। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুজরা শরীফে (গৃহ মুবারকে) আসতাম এবং (বয়স কম থাকার কারণে) অন্দর মহলে হযরত বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরবানীর টিম
নিছাব পরিমাণ অর্থ থাকলে পবিত্র কুরবানী করা ওয়াজিব। আগে আমাদের দেশের মুসলমানদের ঘরে ঘরে এমনকি গ্রাম দেশে একটু সচ্ছলতা থাকলেই মানুষ গরু, মহিষ যবেহ করে পবিত্র কুরবানী করতেন এবং মানুষের মাঝে গোশত বিলাতেন। কিন্তু ইদানীং কিছু মানুষ লোক দেখাবার উদ্দেশ্যে (সকলে নয়) আলাদা পশু কুরবানী করলেও অধিকাংশ মানুষ তাদের আলাদাভাবে পশু কুরবানী করার সামর্থ্য থাকলেও দায়সারা ভাবে শেয়ারে কুরবানী করতে পছন্দ করে। নাউযুবিল্লাহ। এর অর্থ তাদের মাঝে পবিত্র কুরবানী করার রসম-রেওয়াজ আছে কিন্তু পবিত্র কুরবানীর হাকীকী শিক্ষা নেই।
দেশ বাকি অংশ পড়ুন...












