হালাল হারামের কথা-৩
হালাল হারাম নিয়ে কথা
, ১৩ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৮ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১২ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
যখন কেউ আমাদের দেশের চেইন স্টোর বা বড় কোন শপিং মলে যান সেখান থেকে কেবল দেশী পণ্যই কেনেন না অনেকে বিদেশী প্রোডাক্ট কিনেও ঘরে ফেরেন। বর্তমানে সেখান থেকে হালাল প্রোডাক্ট চিনে নিয়ে ঘরে ফেরা আসলেই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে, যে কোন খাবার এবং পানীয়তে যে সব উপাদান থাকে সেসব সম্পর্কে ধারণা না থাকা। আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেক উপাদান ভেষজ উৎস থেকেও তৈরি করা যায় একইভাবে প্রানীজ উৎস থেকে নেয়া যায় , সেক্ষেত্রে হালাল হারাম চিহ্নিত করা সত্যই কঠিন হয়ে পড়েছে।
ইতোপূর্বে অনেকে প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ হারাম উপাদানের তালিকা প্রকাশ করেছেন কিন্তু আসলে সেটা অপ্রতুল কারণ বর্তমান ফুড প্রোডাক্ট ইন্ডাস্ট্রিজ যথেস্ট জটিল। উদাহরণ হিসেবে বলছি
"ম্যাগনেসিয়াম স্টিয়ারেট" যার উৎস হচ্ছে স্টিয়ারিক এসিড, কিন্তু চর্বি থেকেও তৈরি করা যায়। আর চর্বি বলতে শুকোরের চর্বিই বেশী ব্যবহৃত হয়।
অনেক চুইংগামে লেখা থাকে "গধফব ড়ভ মঁস নধংব", চিনি, কর্ণ সিরাপ, ফ্লেভার ও সফটনেস। সেখানে প্রায় ৪০ টি উপাদানের মধ্য থেকে মাত্র কয়েকটিকে চেনা যায় বাকীগুলো চেনা যায় না আবার অনেক সময় অনেক উপাদানের নাম উল্লেখ থাকে না। সেখানে অনেক উপাদান থাকতে পারে যা প্রানীজ উৎস থেকে নেয়া।
সয়া ফ্লাওয়ার এক ধরণের এনজাইমের সাথে বিক্রিয়া করানো হয় যা আলাদা করা হয় শুকরের পেট থেকে (ঝঃড়সধপয ড়ভ ধ ংরিহব)। আবার অনেক সময় লেখা থাকে "ঠবমবঃধনষব ংযড়ৎঃবহরহম" , এতে ধারণা হতে পারে সবটুকুই বোধ হয় হালাল। কিন্তু অনেক সময় অনেক ভেষজ উপাদান আবার অনেক ঊসঁষংরভরবৎং (ঘণকারক উপাদান) দ্বারা মেশানো থাকে যেগুলো আবার আসে প্রানীজ উৎস থেকে।
তবে সাধারণভাবে যদি লেখা থাকে লারড (খধৎফ) , এলকোহল, পোরক (চড়ৎশ) পাঊডার, এলকোহল ডিনেট ইত্যাদি সবে সেগুলো খাওয়া এবং ব্যবহার করা হারাম।
কাফিরদের যেহেতু হালাল-হারাম জ্ঞান নেই তারা এই ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের উপাদান বানাতে গিয়ে একটি জটিল অবস্থার সৃষ্টি করেছে। আর সাধারণ মুসলমান উনাদের হালাল-হারামের জ্ঞানের রয়েছে যথেষ্ট অভাব । তবে অনেক মুসলিম দেশে প্রস্তুতকৃত প্রোডাক্টে যদি "হালাল" লেখা থাকে তবে সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী তা গ্রহন করা হালাল। (চলবে)
রাজারবাগ শরীফ উনার পরিচিতি
অন্যান্য হাসপাতালের সাথে আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালের পার্থক্য
১) দেশের হাসপাতালগুলোর মধ্যে মহিলাদের দ্বারা মহিলাদের চিকিৎসার কোন সুব্যবস্থা নেই। আর যদি কেউ দাবি করে তা নামমাত্র। দ্বীনী অনুভূতিকে পুজি করে ব্যবসা করে থেকে। পুরুষ চেম্বারে মহিলা, মহিলা চেম্বারে পুরুষ।
১) সম্পূর্ণরূপে মহিলাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও সেবা প্রদানকারী একটি ব্যতিক্রমধর্মী আধুনিক হাসপাতাল যেখানে মহিলা রোগীদের সেবার জন্য সম্পূর্ণভাবে মহিলারা নিয়োজিত।
২) হাসপাতাল একটি বড় মাপের ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং হাসপাতাল চার্জের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।
২) আশপাশের এলাকায় অবস্থিত হাসপাতালগুলোর নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে যৌক্তিক খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে।
৩) দেশের প্রায় সব হাসপাতালেই ওয়ার্ড কেবিনে এসি এবং নন-এসি আলাদা করা আছে।
৩) চার্জের পার্থক্য থাকার পরেও হাসপাতাল কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
৪) অনেক মানের মেশিন পাওয়া যায় যা দিয়ে রিপোর্ট করা হয়।
৪) যতগুলো পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে সেখানে সর্বোচ্চ মানের মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
৫) ওয়েটিং রুম, কেবিন সকল জায়গায় গান বাজনা শোনা, টিভির আয়োজন আছে যার কারণে রহমত নাযিল না হয়ে গযব নাযিল হয় এবং যা একজন রোগীর জন্য বিশেষ ক্ষতির কারণ। নাউযুবিল্লাহ!
৫) সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে ওয়াজ, হামদ, না’ত ও ক্বাছীদা শরীফ শোনার মাধ্যমে সকল ডাক্তার, রোগী, নার্স, স্টাফ সবার জন্য ইবাদতের পরিবেশ করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
৬) মানুষ যখন অসুস্থ হয় তখন সে সকল মানুষের কাছে দোয়া চায়। কারো দোয়া কবুল হোক বা না হোক তাও রোগী তার সুস্থতার জন্য মানুষের কাছে আবেগবশত দোয়া চায়। অথচ হাসপাতালে গেলে বেপর্দার কারণে জাহিরী রোগের সুস্থতার চেয়ে বাতিনী রোগে আক্রান্ত হয়ে আসে।
৬) অথচ এ হাসপাতালে যারা আসবেন, চিকিৎসা নিবেন, ভর্তি হবেন তারা সবাই জাহিরী চিকিৎসার পাশাপাশি খাছ ভাবে দোয়া পাবেন। সকল হারাম থেকে মুক্ত থাকায় রহমতের হিস্যা রোগী পাবেন। রোগী ভর্তি হবার পর থেকে সার্বক্ষনিক হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম এবং সাইয়িদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আম্মাজী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনারা অবগত থাকেন ফলে গায়েবী মদদ ও দোয়া পেয়ে থাকেন।
৭) সিজার (অপারেশন) পদ্ধতিতে ডেলিভারিকে উৎসাহিত করা হয়। বাহিরের হাসপাতালে পর্দার রক্ষা হয় না।
৭) স্বাভাবিক (নরমাল) পদ্ধতিতে ডেলিভারিকে উৎসাহিত করা হয়। সম্পূর্ণ পর্দা রক্ষা করা হয়।
৮) অধিক মূল্য নির্ধারণ করে পুনরায় ছাড় দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়।
৮) প্রতিটি বিষয়ে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
৯) বাচ্চা জন্মের পর নানাবিধ পবিত্র সুন্নত উনার খিলাফ নিষেধাজ্ঞা জারী করে। যেমন গোসল করতে দেওয়া হয় না, মধু খাওয়ানো হয় না, আযান-ইকামত দেয় না। নাউযুবিল্লাহ! আবার ৭ দিন পর গোসল করানো, মাথার চুল কাটানো, নাম ঠিক করা, আক্বীক্বা দেওয়া কেউ দেয়, কেউ দেয় না।
৯) বাচ্চা জন্মের পর শরীয়তসম্মত সকল নিয়মাবলী অনুসরণ করা হয়। কারও আরজী কবুল হলে স্বয়ং হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি এবং হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মধু খাওয়ায়ে তাহনীক করান। সুবহানাল্লাহ!
১০) কমিশন দেওয়াসহ বিভিন্ন লোভনীয় অফার দেওয়া হয়।
১০) অত্র প্রতিষ্ঠান যেকোন ধরনের কমিশন দেয়া থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত।
১১) অপারেশনে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে।
১১) অপারেশনে খরচ কম রাখার পরেও সেরা মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয় যা আমাদের সার্জনগণ স্বীকৃত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৫)
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (২৭)
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে হবে
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তাওয়াক্কুল তথা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ভরসা করার ফযীলত
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
“সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সুদের ভয়াবহতা
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)