মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা বাক্বারা শরীফের ১৩৭ নং আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন,
“যদি তারা আপনাদের মতো (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মতো) ঈমান আনতে পারে; অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে। ” হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি।
তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি হাক্বীক্বীভাবে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করে উনাদেরকে সার্বিকভাবে অনুসরণ-অনুকরণ করা।
, ১৬ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ২৩ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ০৯ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা বাক্বারা শরীফের ১৩৭ নং আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “যদি তারা আপনাদের মতো (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মতো) ঈমান আনতে পারে; অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে। ”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, কেউ যদি কাউকে অনুসরণ করতে চায়, সে যেন যারা অতীত হয়েছেন (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম) উনাদেরকে অনুসরণ করে। কারণ যারা জীবিত রয়েছে তারা ফেতনা থেকে মুক্ত নয়। আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সর্বোত্তম ব্যক্তিত্ব মুবারক। উনারা অন্তরের দিক থেকে পবিত্র, ইলমের দিক থেকে গভীর ইলমের অধিকারী, সমস্ত প্রকার বানোয়াটি থেকে মুক্ত অর্থাৎ মুখলিছ। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে মনোনীত করেছেন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ারের জন্য এবং (মহান আল্লাহ পাক) উনার দ্বীন ক্বায়েম করার জন্য। তোমরা উনাদেরকে চিনে রাখো, উনাদের বুযুর্গী-সম্মান মুবারক জেনে রাখো, উনাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করো এবং উনাদের আখলাক্ব তথা চরিত্র মুবারক, ছিরত মুবারক যতটুকু সম্ভব আঁকড়ে ধরো। কেননা উনারা ছিরাতুল মুস্তাক্বীমের উপর প্রতিষ্ঠিত অর্থাৎ হিদায়েতপ্রাপ্ত।”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, হিদায়েত লাভ করার জন্য হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মত ঈমান আনতে হবে। আর এজন্য উনাদের সম্পর্কে জেনে উনাদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ-অনুকরণ করতে হবে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যারা উত্তমভাবে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণ করবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন এবং তারাও মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন এমন জান্নাত যার নিম্নদেশ দিয়ে নহর প্রবাহিত হয়, অনন্তকাল তারা সেখানে থাকবে, এটাই বিরাট সফলতা। ”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে-হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের প্রতি হাক্বীক্বীভাবে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করে উনাদেরকে সার্বিকভাবে অনুসরণ-অনুকরণ করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আমি জ্বীন এবং ইনসানকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য। ” ইলমে তাসাউফ অর্জন করা ব্যতীত ইবাদত মূল্যহীন।
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
“ইলম হচ্ছে আমলের ইমাম”। দ্বীনি ইলম অর্জন করা ফরয। এই ফরয আদায় না করলে এর জন্য পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য তাকে শাস্তিও পেতে হতে পারে।
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যদি তোমরা অর্থাৎ মুসলমানগণ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের উপর ইস্তিকামত থাকো এবং হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী হও, তবে কাফির-মুশরিক অর্থাৎ ইহুদী, নাছারা, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসীসহ সমস্ত বিধর্মীদের কোনো ষড়যন্ত্রই তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ! বর্তমানে মুসলমানরা যে সারাবিশ্বে ইহুদী-নাছারাদের দ্বারা যুলুম ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তার একটাই কারণ- মুসলমানরা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। নাঊযুবিল্লাহ!
০৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আত্ তাসিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার বেমেছাল মুবারক শানে জঘন্য অপবাদ আরোপকারীদের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ।
০২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উত্তম কথা উত্তম গাছরে ন্যায় ফলদায়ক। উত্তম কথা ব্যতীত অতিরিক্ত কথা বলার দ্বারা মানুষের অন্তর কঠিন হয়ে যায় এবং মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে দূরে সরে যায়।
০১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যারা কিতাব উনার উপর দায়িম-ক্বায়িম থাকবে অর্থাৎ কিতাব উনার আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে উপর থেকে এবং পায়ের নিচ থেকে কুদরতী রিযিক দান করবেন।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন এবং অন্যদেরকেও পালন করার ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে উনার হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করেন ও উনার পবিত্র যিকির শরীফ বা পবিত্র আলোচনা মুবারক করেন।
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সর্বোচ্চ রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক সালিক বা মুরীদের জন্য নিজ ত্বরীক্বার পবিত্র শাজরা শরীফ সম্পর্কে অবহিত হওয়া বা জানা আবশ্যক।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হাক্বীক্বীভাবে পালন করা হলো সন্তুষ্টিপূর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ শুধু একটি বরকতময় আমলই নয় বরং এটা হলো নাজাতের সনদপত্র অর্থাৎ চূড়ান্ত কামিয়াবীর দলীল। সুবহানাল্লাহ!
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আখেরী যামানার ফিতনা ফাসাদ থেকে নাজাত লাভের একমাত্র উপায় হলো হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা তথা অনুসরণ অনুকরণ করা, জীবনের সকল ক্ষেত্রে উনাদেরকে আদর্শ রূপে গ্রহণ করা।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)