“আত তাক্বউইমুশ শামসী” একটি নতুন সৌর সন (৪)
, ০১ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১০, মে, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
যেভাবে ‘আত তাক্বউইমুশ শামসী’ উনার ব্যবহার শুরু করা যেতে পারে:
১) যে কোন একটি সন ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই সেই সনের একটি ক্যালেন্ডার আপনার হাতের কাছে থাকা প্রয়োজন। শামসী সনের ক্যালেন্ডার ছাপা হয়েছে আপনি সেটি সংগ্রহ করতে পারেন। আর আপনার অফিসে বা বাসার কম্পিউটারে আপনি শামসী ডেট কনভার্টার নিয়ে রাখতে পারেন, এতে আজ শামসী কত তারিখ বা একটা নির্দিষ্ট দিন শামসী কত তারিখ ছিল তা সহজেই জেনে নিতে পারবেন।
২) আপনার প্রতিদিনের কাজের হিসাবগুলো শামসী তারিখ অনুযায়ী করুন তাতে আপনার মনে থাকবে।
৩) খুব সহজ পদ্ধতি হচ্ছে প্রতিমাসে ঈসায়ী বা খৃষ্টাব্দ তারিখের সঙ্গে ১ দিন কি ২ দিন মাত্র পার্থক্য থাকে। প্রতি মাসের শুরুতেই জেনে নিন পার্থক্য কত দিনের এতে আপনার মনে রেখে ব্যবহার করতে সহজ হবে। যেমন এমাসে পার্থক্য হচ্ছে ১ দিন।
৪) তবে শুরুতে মাসের নাম, দিনের নাম, মাস গণনার নিয়ম একটু মুখস্থ করে নিলে সুবিধা হবে।
কবিতায়ে আত-তাকউইমুশ শামসী:
জোড়ের মাসে বিজোড় হবে
বিজোড় মাসে জোড়।
১২ তম মাস ভিন্ন হয়ে
জোড়ে হবে ভোর।
৪ দ্বারা সাল ভাজ্য হলে
১২ তম মাস বিজোড়।
১২৮ দ্বারা ভাজ্য হলে
উল্টো দিকে মোড়।
ব্যাখ্যা:
জোড়ের মাসে বিজোড় হবে।
যেমন- ছানী, রবি’, সাদিস, ছামিন, আশির (৩১ দিনে)
বিজোড় মাসে জোড়।
যেমন- আউওয়াল, ছালিছ, খমিস, সাবি’, তাসি, হাদী আশার (৩০ দিনে)
১২ তম মাস ভিন্ন হয়ে জোড়ে হবে ভোর।
এখানে ১২তম মাস জোড় হবার কারণে ৩১ দিনে হবার কথা কিন্তু ভিন্ন হবে মানে ৩০ দিনে হবে।
এখানে ভোর অর্থ “ছানী আশার” মাস (১২ তম মাস)
শেষ হয়ে নতুন বছর শুরু হয়। ছানী আশার (৩০ দিনে)
৪ দ্বারা সাল ভাজ্য হলে
১২ তম মাস বিজোড়।
যেমন- ১৩৮৪ শামসী সন (৩১ দিনে)
১২৮ দ্বারা ভাজ্য হলে
উল্টো দিকে মোড়।
এখানে উল্টো দিকে মোড় বলতে ৪ দ্বারা বিভাজ্য সাল ৩১ দিনে হলেও ১২৮ দ্বারা বিভাজ্য সাল ৩০ দিনে হবে।
যেমন- ১৪০৮ শামসী সন (৩০ দিনে)।
মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আমাদের এই আত-তাক্বউইমুশ শামসী অনুসরণ-অনুকরণ করার তাওফীক দান করুন। আমীন।
-আল হিলাল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৬)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩৬)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বর্তমান এই পরিস্থিতিতে সমগ্র দেশবাসীর জন্য যা আবশ্যিকভাবে করণীয়
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৪)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৫)
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)