“আত তাক্বউইমুশ শামসী”একটি নতুন সৌর সন (২)
, ১৬ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
বিজ্ঞানের প্রায় সমস্ত আবিষ্কারের নেপথ্যে রয়েছে মুসলমানদের অবদান। আর কাফিরদের তৈরি করা হয়েছে মুসলমানদের খিদমতের জন্য। যেখানে মুসলমানদের রচিত বিষয় থাকবে সেখানে মুসলমানদের বিষয় অনুসরণ করতে হবে। সময় এবং কাল গণনা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ। সেক্ষেত্রে মুসলমান রচিত আত তাক্বউইমুশ শামসী সন অবশ্যই অনুসরণীয়। বিধর্মীদের বিষয়গুলো পরিহার করা ঈমানী দায়িত্ব।
একজন মুসলমান মেয়েকে কখনো এই বলে সম্বোধন করা উচিত নয় যে “মেয়েটি বেশ লক্ষ্মী”। কারণ লক্ষ্মী হচ্ছে হিন্দুদের একটি দেবীর নাম। কিন্তু অনেক মুসলমান অজান্তেই এক দেবীর নাম উচ্চারণ না করলেও প্রতিদিন অনেক দেব-দেবীর নামই উচ্চারণ করে থাকে।
গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির মাধ্যমে অজান্তেই প্রতিদিন অনেক দেব-দেবীর নাম স্মরণ হয়। এই বর্ষপঞ্জির ৬টি মাসের নামকরণ করা হয়েছে দেব-দেবীর নামে (জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন), ৪টি মাসের নামকরণ হয়েছে রোমান শব্দ থেকে (সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর); আর ২টি মাসের নামকরণ করা হয়েছে দুই রোমান শাসকের স্মরণে (জুলাই, অগাস্ট)। ফলে মাসের নাম দ্বারা দেব-দেবীর নাম স্মরণ করা হয়। নাঊযুবিল্লাহ!
রোমানরা গ্রহের সাথে দেবতার সম্পর্ক করতো এভাবে- ঝঁহফধু (Day of God, weavZvi w`b), Monday, (MoonÕs Day, চাঁদের দেবীর সাথে মিলিয়ে), Tuesday (দেবতা Tyr ev TiwÕs দেবতার দেবতার নাম থেকে), Wednesda (WodenÕs day ev Mercury দেবতার নাম থেকে), Thursday –(ঞযড়ৎ দেবতার নাম থেকে), Friday- (দেবী ঋৎরমম-এর নাম থেকে), Saturday- (শনি গ্রহের (Saturn) সম্মানে)। নাঊযুবিল্লাহ! ফলে সপ্তাহের দিনের নাম উচ্চারণ করতে গিয়েও অজান্তেই মুসলমানদের দেব-দেবীর নাম উচ্চারণ করতে হয়। নাউযুবিল্লাহ।
মুসলমানদের জন্য কখনোই এভাবে গ্রহ-নক্ষত্র, দেব-দেবীর নামানুসারে মাসের নাম, দিনের নাম ব্যবহার করা উচিত নয়।
মুশরিকরা গরুকে বলে মা আর মায়ের অংশকে বলে গোশত। ফলে মুসলমানগণ যেহেতু গরুকে মা মনে করে না ফলে তার অংশকে গোশত বলতে পারে না। এরকম অনেক শব্দ আছে যা মুশরিকদের নিজেদের শব্দ, মুসলমানগণ তা ব্যবহার করতে পারে না। অর্থাৎ বাংলা ভাষায় হিন্দুয়ানী শব্দও পরিত্যাজ্য, দেব-দেবীর নাম উচ্চারণও পরিত্যাজ্য।
আত তাক্বউইমুশ শামসীতে মাসের নামকরণ করা হয়েছে আরবী পদ্ধতি অনুযায়ী। যেমন, আরবীতে প্রথমকে বলা হয় আউওয়াল। এভাবে ১ম মাস থেকে ১২তম মাস পর্যন্ত নামকরণ করা হয়েছে- “আউওয়াল, ছানী, ছালিছ, রবি’, খ¦মীস, সাদিস, সাবি’, ছামিন, তাসি, ‘আশির, হাদী ‘আশার এবং ছানী ‘আশার” এভাবে।
আত তাক্বউইমুশ শামসীতে দিনের নামকরণ করা হয়েছে আরবী সপ্তাহের প্রতিটি দিনের নামানুসারে, যথা: ইছনাইনিল আযীম (সোমবার), ছুলাছা (মঙ্গলবার), আরবিয়া (বুধবার), খমীস (বৃহস্পতিবার), জুমুয়া (জুমুয়াবার), সাবত (শনিবার), আহাদ (রোববার)
এখানে মাস গণনা পদ্ধতি হচ্ছে: প্রতিটি বিজোড়তম মাস ৩০ দিনে এবং জোড়তম মাসগুলো ৩১ দিনে শুধু ব্যতিক্রম হবে ১২তম মাস। কিন্তু ৪ দ্বারা বিভাজ্য সালগুলোতে ৩১ দিনে হবে। তবে ১২৮ দ্বারা বিভাজ্য সালগুলো ব্যতীত।
গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিতে ফেব্রুয়ারী মাস ২৮ দিনে, অধিবর্ষে ২৯ দিনে। বছরের দ্বিতীয় মাসে অতিরিক্ত একদিন যোগ হওয়াতে বাকী ১০ মাসই ১ দিন পিছিয়ে যায়। কিন্তু আত-তাক্বউইমুশ শামসীতে অতিরিক্ত একদিন বছর শেষে যোগ হওয়ায় পরিবর্তন লক্ষণীয় নয় (যা চার বছর পর পর করা হয়)। কেননা নতুন বছর শুরু হয়ে যায়।
মাসের সংখ্যা এভাবে বিন্যাস করাতে লাভ হচ্ছে একটি সৌর বছরের সময়কাল হচ্ছে ৩৬৫ দিন, ৫ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট এবং ৪৭ সেকেন্ড। ফলে দেখা যায় আমরা নতুন বছর শুরু করলেও পৃথিবীর ঘূর্ণনের তখনো বাকী থাকে। অনেক বছর পর পর ঘড়ির সময়ের সাথে এই পার্থক্য অনেক হয়ে যায়। কিন্তু শামসী সনে যেভাবে মাসের দিনগুলো বসানো হয়েছে সেখানে এই পার্থক্য অনেক অনেক বছর পর অনেক কম পার্থক্য পাওয়া যাবে।
-আল হিলাল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (২)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৬)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩৬)
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বর্তমান এই পরিস্থিতিতে সমগ্র দেশবাসীর জন্য যা আবশ্যিকভাবে করণীয়
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৪)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬১)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৫)
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)